

সিলেট ব্যুরো : সিলেটে এক নারী গৃহ পরিচারিকাকে প্রাইভেটকারে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ণণের অভিযোগ উঠেছে।
ওই ধর্ষণের ঘটনায় ধর্ষণকারির সাথে জড়িত অপর এক নারী সহযোগিসহ চার জনের নামে সুনামগঞ্জের হতদরিদ্র পরিবারের পাঁচ সন্তানের জননী ভিকটিম সিলেট এসএমপির দক্ষিণ সুরমা থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।
অভিযুক্তরা হলেন, সিলেটের বিশ^নাথ উপজেলার নভাগ কামালবাজার গ্রামের মৃত আবু সালের ছেলে আবু সালমান ওরফে আবুল, একই গ্রামের মৃত মহিবুর রহমানের ছেলে মতিউর রহমান নাজমুল, মৃত আব্দুল হান্নান ওরফে সন্দ’র ছেলে ফাহিম, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ইসলামপুর গ্রামের আরশ আলীর স্ত্রী মাহমুদা বেগম।
রোববার রাতে অভিযোগ প্রাপ্তির সত্যতা নিশ্চিত করেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) দক্ষিণ সুরমা থানার ওসি মিজানুর রহমান। ওসি জানান ওই নারী ভিকটিম ২১ জুন শনিবার থানায় চারজনকে অভিযুক্ত করে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
রোববার রাতে ভিকিটিম ও থানায় দেয়া লিখিত অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, সুনামগঞ্জের দূর্গম গ্রামের হত দরিদ্র পরিবারের পাঁচ সন্তানের জননী একমাত্র স্বামী পঙ্গু হওয়ার কারনে সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ইসলামপুর গ্রামের অপর নারী গৃহপরিচারিকা মাহমুদার সাথে সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার একই বাসায় গৃহ পরিচারিকার কাজ করতেন।
কাজ শেষে ভাড়া বাসায় ফেরার পথে গেল ১৮ জুন বুধবার রাত ৯টার দিকে অন্য একটি বাসায় কাজের কথা বলে মাহমুদা অপর তিন ব্যাক্তির সাথে সঙ্গে থাকা অপর সহকর্মী নারী গৃহ পরিচারিকাকে তুলে দেন প্রাইভেটকারে।
প্রাইভেট কারের ভেতরই ওই নারীর সাথে আপক্তির প্রস্তাবসহ তিন আরোহী শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থানে জোর পূর্বক কয়েক দফা শ্লীলতাহানী ঘটায়।
ওই রাতে ঘন্টা ঘানেক প্রাইভেটকার চালিয়ে দক্ষিণ সুরমা উপজেলার একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বাথরুমের পাশে ওই নারীকে জোরপূর্বক নামানো হয়।
এরপর দুই সহযোগিকে অদুরে পাহাড়ায় রেখে আবু সালমান ওরফে আবুল ওই নারীকে হত্যার ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করে।
এক পর্যায়ে পাহাড়ায় থাকা অপর দু’জন ফের ধর্ষণের চেষ্টা করলে ওই নারী কান্নাকাটি,চিৎকার শুরু করলে নারীকে বিদ্যালয়ের বাথরুমের পাশে ফেলে রেখে আবু সালমান ওরফে আবুল তার সহযোগিদের নিয়ে প্রাইভেটকারে বীরদর্পে চলে যায়।
ভিকিটিম ভাড়া বাসায় ফিরে পরিবারের লোকজন, স্থানীয় লোকজনকে ধর্ষণের ঘটনাটি অবহিত করেন।
এরপর পরিবারের লোকজন ২০ জুন শুক্রবার সিলেট এমজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ওয়ান স্টপ ক্রাইসিজ সেন্টারে চিকিৎসার জন্য ভিকটিমকে ভর্তি কেেন। টিকিৎসা গ্রহন ,ডাক্তারী পরীক্ষা নিরীক্ষার পর ২১ জুন শনিবার ভিকিটিমকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দিলে ভিকটিম ওই দিনই দক্ষিণ সুরমা থানার ওসির নিকট ধর্ষণকারী, তার সহযোগিসহ চার জনের নামে লিখিত অভিযোগ করেন।
রোববার রাতে অভিযুক্তদের বক্তব্য জানতে একাধিকবার মোবাইল ফোনে কল করা হয়।
রোববার রাতে সিলেট এসএমপির দক্ষিণ সুরমা থানার ওসি মিজানুর রহমান জানান,অভিযোগে একাধিক ব্যাক্তির নাম থাকায় তদন্তে সম্পৃক্ততা পেলে পরবর্তীতে থানায় মামলা রুজু করা হবে।