• আজ ৭ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
 সংসদের আসন বাড়িয়ে ৬০০ করার সুপারিশ | মানবিক বাংলাদেশ গড়ার হাতিয়ার শিক্ষার্থীরা; সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিএনপি নেতা আমিনুল হক | বাংলাদেশকে তাবেদারী রাষ্ট্র হিসাবে মনে করতো ভারত –রুহুল কবির রিজভী | রেলপথ ব্লকেড কর্মসূচি শিথিল, ১১টায় বৈঠক | সুনামগঞ্জের মধ্যনগরে মামলার ভয়ে যুবককের আত্নহত্যা! | যে যাই বলুক, জুনের পরে নির্বাচন যাবে না: আসিফ নজরুল | মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী আবদুল্লাহ মারা গেছেন | ফ্যাসিস্টরা নববর্ষকে দলীয় হাতিয়ারে পরিণত করেছিল: নাহিদ | দেশ থেকে অশুভ দূর হয়েছে, যতটুকু আছে তাও চলে যাবে: প্রেস সচিব | ড: ইউনূস পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকবেন কীভাবে, প্রশ্ন মান্নার |

অবশেষে মারা গেলেন সিলেটের সেই প্রবাসী মামিরা

| নিউজ রুম এডিটর ৬:০০ অপরাহ্ণ | আগস্ট ৬, ২০২২ সারাদেশ, সিলেট

আবুল কাশেম রুমন,সিলেট: অবশেষে মারা গেছেন সিলেটের সেই প্রবাসী মামিরা। সিলেটের ওসমানীনগরের একটি বাসা থেকে একই পরিবারের পাঁচ যুক্তরাজ্য প্রবাসীকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধারের ঘটনায় সিলেট এম এ জি ওসমানী হাসপাতালে ১১ দিন আইসিউতে চিকিৎসকধীন থাকার পর মারা গেলেন যুক্তরাজ্য প্রবাসী সামিরা বেগম (২০)। শনিবার (৬ আগষ্ট) রাত দেড়টার দিকে সিলেট এম এ জি ওসমানী হাসপাতালে তিনি মারা যান। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওসমানী নগর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাঈন।

এর আগে একই ঘটনায় সামিরার বাবা রফিকুল ইসলাম (৫০) ও ভাই মাইকুল ইসলাম (১৬) মারা যান। মাঈন উদ্দিন জানান, ঘটনার পর থেকে মারা যাওয়া সামিরার জ্ঞান না ফেরায় শঙ্কায় ছিলেন তার ডাক্তাররা। অবশেষে দীর্ঘ ১১ দিন আইসিউতে থাকার পর তিনি মারা গেলেন। ৫ জনের অজ্ঞানের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩ জন মারা যাওয়ার সুনির্দিষ্ট তথ্য কি আছে পুলিশের কাছে কি আছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,এই ঘটনার অনেক আলামত ফরেনসিক ল্যাবে পাঠানো হয়। ল্যাব থেকে রিপোর্ট আসলে ঘটনার মূল কারণ জানা যাবে। প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) সিলেটের ওসমানীনগরের একটি বাসা থেকে একই পরিবারের পাঁচ যুক্তরাজ্য প্রবাসীকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে ওসমানীনগর থানা পুলিশ। হাসপাতালে নেওয়ার পর এদের মধ্য থেকে রফিকুল ইসলাম (৫০) ও তার ছোট ছেলে মাইকুল ইসলাম (১৬) মারা যান। একই দিন আশঙ্কাজনক অবস্থায় রফিকুল ইসলামের স্ত্রী হোসনে আরা বেগম (৪৫), ছেলে সাদিকুল ইসলাম (২৫) এবং মেয়ে সামিরা ইসলামকে (২০) সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়।

বর্তমানে হোসনে আরা ও ছেলে সাদিকুল ইসলামের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হওয়ায় গত দুদিন থেকে তারা তাদের বাড়িতে অবস্থান করছেন। গত ২৮ জুলাই (বৃহস্পতিবার) ময়না তদন্ত শেষে দুপুর সোয়া ২টায় দয়ামীর ইউনিয়নের পারকুল মাদরাসা মাঠে নিহতদের জানাজার নামাজের পর তাদের পারিবারিক কবর স্থানে দাফন করা হয়।