• আজ ১লা শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
 এনসিপির সমাবেশে হামলা: সরকারের কঠোর বার্তা | সারাদেশে ব্লকেডের ডাক দিলো বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন | গোপালগঞ্জ রণক্ষেত্র, ১৪৪ ধারা জারি | মধ্যরাতে চরমোনাই পিরের দরবারে এনসিপির নেতারা | বিএনপিকে এত সহজে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দেওয়া যাবে না: মির্জা ফখরুল | এখন থেকে আর জাতীয় রাজস্ব বোর্ড নাম থাকবে না: জ্বালানি উপদেষ্টা | একটি পক্ষ সন্ত্রাস ও চাঁদবাজদের লালন করে ক্ষমতায় যেতে চায়: নাহিদ ইসলাম | চাঁদা না দেওয়ায় ব্যবসায়ীকে পাথর মেরে হত্যা যুবদল নেতার, ভিডিও ভাইরাল | পানিহাটা সীমান্তে ১০ বাংলাদেশীকে বিএসএফের পুশইন | ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের প্রস্তুতি শেষ করার নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার |

ঠাকুরগাঁও প্রেসক্লাবের অবৈধ কমিটির বিরুদ্ধে ডিসিকে সদস্যদের লিখিত অভিযোগ!

| নিউজ রুম এডিটর ৬:১৫ অপরাহ্ণ | আগস্ট ২৫, ২০২২ জাতীয়

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ ঠাকুরগাঁও প্রেসক্লাবের অবৈধ কমিটির বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসককে এবার লিখিত অভিযোগ দিয়েছে সদস্যরা। বৃহস্পতিবার (২৫ আগষ্ট) সকালে জেলা প্রশাসক মাহবুবুর রহমানের কাছে লিখিত অভিযোগটি তুলে দেন।

লিখিত অভিযোগে জানা যায়, ঠাকুরগাঁও প্রেসক্লাবের মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটির নির্বাচন দিতে টালবাহানা ও অতিরিক্ত তিন বছর ধরে অবৈধভাবে ক্ষমতা আকড়ে রেখেছে। এ অবস্থায় ব্যবস্থা নিতে সংগঠনের সদস্যরা ক্ষুদ্ধ হয়ে প্রশাসনের কাছে অভিযোগ দেন।

অভিযোগপত্রে প্রেসক্লাবের সদস্যরা উল্লেখ্য করেন, ১৯৭৮ সালে প্রতিষ্ঠার পর হতে প্রতিষ্ঠানটি গণতান্ত্রিক প্রদ্ধুতিতে পরিচালিত হয়ে আসছে। অত্র সংগঠনের নিজস্ব গঠনতন্ত্র রয়েছে। দুই বছর পর পর নেতৃত্বের পরিবর্তন হয়ে আসছে। কিন্তু ২০২০ সালের ৩০ জুন চলমান কমিটির মেয়াদ শেষ হলেও দায়িত্বশীলরা স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে প্রেসক্লাবের কমিটির নির্বাচন না দিয়ে অবৈধভাবে ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রেখেছে। বর্তমানে ওই কমিটি দুই বছরের জন্য নির্বাচিত হলেও অবৈধভাবে ৫ বছর ধরে আছে। শুধু তাই নয়, গঠনতন্ত্রের ধারা-১৮ অনুযায়ী প্রতিবছর সাধারণ সভায় পরবর্তি বছরের বাজেট এবং আয়-ব্যয় ও অন্যান্য কার্যক্রমের অনুমোদন নেওয়ার নিয়ম থাকলেও ওই কমিটি ২০১৮ সালের ৩০ জুন নির্বাচিত হওয়ার পর প্রথম বছর সাধারন সভা আহবান করলেও ৩০ জুন ২০২০ অর্থাৎ ২ বছরের মাথায় কোন সাধারণ সভার আয়োজন করেনি। অর্থাৎ সকল প্রকার কার্যক্রম বছরের পর বছর অবৈধভাবে পরিচালনা করে আসছে। ৩০ জুন ২০২০ সালের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের তফসিল ঘোষনা করা হলেও করোনার অযুহাতে তা স্থগিত রাখা হয়। অথচ গঠনতন্ত্রের ধারা-১১ (ক) উপধারায় স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে কোন প্রাকৃতিক দূর্যোগ বা জাতীয় বিপর্যয় দেখা দিলে সাধারণ সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত মোতাবেক প্রেসক্লাব প্ররিচালনা করতে হবে।

করোনা কেটে গেলেও ইউনিয়ন পরিষদসহ দেশের বিভিন্ন সংসদীয় আসনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলেও চলমান ওই কমিটি একটি মামলার অযুহাতে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা না করে আজও আকড়ে ধরে আছে। অথচ ওই মামলার রায়ে আদালত নির্বাচন স্থগিত রাখার বিষয়ে কোন প্রকার আদেশ দেননি। চলমান কমিটি নিজেরা অবৈধভাবে ক্ষমতায় থাকলেও তাদের অবৈধ কার্যক্রমের প্রতিবাদ করলেই সংগঠনের সদস্যদের বহিস্কার ও ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে।

লজ্জার বিষয় চলমান কমিটির নেতৃবৃন্দ তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সম্প্রতি, একটি প্রশাসনিক কার্যালয়ে সংবাদকর্মীদের উপর হামলা চালায়। পরবর্তিতে সন্ত্রাসী কায়দায় একটি অফিস থেকে মারতে মারতে একজন সংবাদকর্মীকে তুলে আনার ঘটনা সারাদেশে নাড়া দিয়েছে। যা ওই ঘটনায় একাধিক মামলা আদালতে চলমান।

গঠনতন্ত্রের পরিচ্ছেদ ৫,ধারা-১৯ উপধারা (চ) মোতাবেক জেলা প্রশাসক হিসেবে ঠাকুরগাঁও প্রেসক্লাবের নির্বাচন কমিশনার। যেহেতু প্রকাশিত ভোটার তালিকা অনুযায়ী ২০২০ সালের ৩০ জুন আয়োজিত নির্বাচন স্থগিত রয়েছে। সেহেতু ওই তালিকা অনুযায়ী নির্বাচন আয়োজন করা যেতে পারে। তবে সাধারণ সভায় অনুমোদিত নয় এমন সসদ্যদের ভোটার তালিকায় অর্ন্তভুক্তের সুযোগ নেই। এ ক্ষেত্রে জেলার দায়িত্বশীল কর্মকর্তা হিসেবে আপনি আপনার নির্বাহী ক্ষমতা বলে নিজে অথবা আপনার চোখে স্বচ্ছ সংবাদকর্মীদের নিয়ে একটি অর্ন্তবর্তীকালীন আহবায়ক কমিটি গঠন করে সংকট মোকাবেলা করতে পারেন। উপরোক্ত অবস্থামুলে ঠাকুরগাঁও প্রেসক্লাবের বিশৃংখল পরিস্থিতি উত্তোরণে জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা করা হয় অভিযোগপত্রে।

এবিষয়ে ঠাকুরগাঁও প্রেসক্লাবের সভাপতি মো: মুনসুর আলীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি কথা বলতে রাজী হননি।

এব্যাপারে জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো: মাহাবুবুর রহমান জানান, প্রেসক্লাবের সদস্যরা একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।