• আজ ৭ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
 সংসদের আসন বাড়িয়ে ৬০০ করার সুপারিশ | মানবিক বাংলাদেশ গড়ার হাতিয়ার শিক্ষার্থীরা; সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিএনপি নেতা আমিনুল হক | বাংলাদেশকে তাবেদারী রাষ্ট্র হিসাবে মনে করতো ভারত –রুহুল কবির রিজভী | রেলপথ ব্লকেড কর্মসূচি শিথিল, ১১টায় বৈঠক | সুনামগঞ্জের মধ্যনগরে মামলার ভয়ে যুবককের আত্নহত্যা! | যে যাই বলুক, জুনের পরে নির্বাচন যাবে না: আসিফ নজরুল | মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী আবদুল্লাহ মারা গেছেন | ফ্যাসিস্টরা নববর্ষকে দলীয় হাতিয়ারে পরিণত করেছিল: নাহিদ | দেশ থেকে অশুভ দূর হয়েছে, যতটুকু আছে তাও চলে যাবে: প্রেস সচিব | ড: ইউনূস পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকবেন কীভাবে, প্রশ্ন মান্নার |

সবকটি বিশ্বকাপে সাকিব

| নিউজ রুম এডিটর ৬:২৮ অপরাহ্ণ | সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২২ খেলাধুলা

২০০৭ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় শুরু হয়েছিল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের যাত্রা। নানা পথ পেরিয়ে, নানা রোমাঞ্চ, উত্তেজনা, রেণু ছড়িয়ে অষ্টম আসরের পর্দা ওঠার অপেক্ষা।

আগামী অক্টোবর-নভেম্বরে অস্ট্রেলিয়ায় টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের মহাযজ্ঞ অনুষ্ঠিত হবে। অংশগ্রহণকারী দলগুলোর স্কোয়াড গোছানো শেষ পর্যায়ে। প্রায় সবকটি দল স্কোয়াড ঘোষণাও করে ফেলেছে।

বিশ্বকাপের দল ঘোষণার শেষ দিন বৃহস্পতিবার। একদিন আগে আজ বুধবার বাংলাদেশ ১৫ সদস্যের স্কোয়াড ঘোষণা করলো। স্কোয়াড ঘোষণা করার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে সাকিব আল হাসান অনন‌্য এক মাইলফলকে নিজেকে জড়িয়ে নিলেন। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রতিটি আসরে খেলা একমাত্র ক্রিকেটার বাংলাদেশের এই সুপারস্টার।

এ তালিকায় নাম তোলার সুযোগ ছিল মাহমুদউল্লাহ রিয়াদেরও। বিশ্বকাপ দলে নির্বাচনের বিবেচনায় থাকলেও তাকে শেষ পর্যন্ত ১৫ জনের দলে জায়গা দেওয়া হয়নি। এছাড়া মুশফিকুর রহিম অবসর না নিলে এবং তাকে বিশ্বকাপ দলে নেওয়া হলে সাকিবের পাশে বসার সুযোগ ছিল।

ক্রিকেট বিশ্বের খুব কম খেলোয়াড়ের এমন অর্জন আছে। ভারতের রোহিত শর্মা ও সাকিব আল হাসান এখন পর্যন্ত বিশ্বমঞ্চে বৈশ্বিক আসরে টিকে আছেন।

২০০৬ সালে বাংলাদেশ ক্রিকেটে আবির্ভাব সাকিবের। তিনি ও মুশফিক ২০০৬ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশের প্রথম টি-টোয়েন্টি দলে ছিলেন। মুশফিক এশিয়া কাপের পরপরই আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ছেড়েছেন। ফলে দীর্ঘতম খেলোয়াড় বিবেচনায় সাকিবই এখন টিকে আছেন।

বাঁহাতি স্পিন অলরাউন্ডারের নেতৃত্বে এবার বিশ্বকাপে খেলবে বাংলাদেশ। ২০১০ বিশ্বকাপেও তিনি বাংলাদেশের অধিনায়ক ছিলেন। সেবার দুই ম‌্যাচে দুটিতেই হেরেছিল বাংলাদেশ।

বৈশ্বিক মঞ্চে বাংলাদেশের দলগত সাফল‌্য না থাকলেও সাকিবের ব‌্যক্তিগত অর্জনের ঝুলি টইটুম্বুর। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ৩১ ম‌্যাচে ২৬.৮৪ গড়ে ৬৯৮ রান করেছেন। বোলিংয়ে ১৭.২৯ গড়ে ৪১ উইকেট পেয়েছেন। অলরাউন্ড নৈপুণ‌্যে সাকিব ধরাছোঁয়ার বাইরে। বিশ্বকাপে ৫০০ এর বেশি রান ও কমপক্ষে ৩০ উইকেট পাওয়া দুজন ক্রিকেটারের মধ‌্যে একজন বাংলাদেশের অধিনায়ক। খেলা চালিয়ে যাওয়া ক্রিকেটারদের মধ‌্যে হিসেব করলে তিনিই এই রেকর্ডে রাজত্ব করছেন। অবসরে যাওয়া পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক শহীদ আফ্রিদি ৫৪৬ রান করেছেন। উইকেট পেয়েছেন ৩৯টি।