• আজ ৭ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নাটোরের বড়াইগ্রামে পরকীয়ার সন্দেহে স্ত্রীকে জবাই করে হত্যা

| নিউজ রুম এডিটর ৪:৫৩ অপরাহ্ণ | সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২২ নাটোর, সারাদেশ

জেলা প্রতিনিধি, নাটোরঃ নাটোরের বড়াইগ্রামে পরকীয়ার জেরে মেয়ের সামনেই স্ত্রী বিউটি খাতুন (৪৫) কে গলা কেটে হত্যা করেছে পাষন্ড স্বামী আব্দুল বারেক সরকার (৪৮)। শনিবার দিনগত রাত আড়াইটার দিকে নিজ ঘরে স্ত্রীকে ধারালো হাসুয়া দিয়ে জবাই করে পালিয়ে যায় ঘাতক স্বামী। উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের গোপালপুর স্কুলপাড়ায় এই ঘটনা ঘটে। আব্দুল বারেক ওই গ্রামের মৃত আব্দুল আজিজ সরকারের ছেলে। সে পেশায় একজন ভটভটি চালক। নিহত বিউটি ওই এলাকারই আলতাফ হোসেনের মেয়ে। তাদের সংসারে ২ মেয়ে ও ১ ছেলে রয়েছে। ঘটনার রাতে ঘরে ১২ বছর বয়সী মেয়ে মাহি আক্তার উপস্থিত ছিলো এবং মেয়ের সামনেই এই নৃশংস হত্যাকান্ড ঘটে বলে জানা গেছে।

প্রতিবেশী ও থানা সুত্রে জানা যায়, বিউটি খাতুনের একই এলাকার মোয়াজ্জেম হোসেনের ছেলে ওয়ার্কশপ মিস্ত্রি পিন্টুর সাথে সাথে পরকীয়া সম্পর্ক রয়েছে বলে সন্দেহ করতো আব্দুল বারেক। এ নিয়ে তাদের মধ্যে প্রায়ই দাম্পত্য কলহের সৃষ্টি হতো। শনিবার রাতেও মোবাইল ফোনে কথা বলাকে কেন্দ্র করে ঝগড়া শুরু হয়। এক পর্যায়ে স্বামী আব্দুল বারেক ধারালো হাসুয়া দিয়ে স্ত্রী বিউটির গলা কেটে হত্যা করে পালিয়ে যায়। এ সময় মেয়ে মাহি’র চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে বিউটি বেগমের রক্তাক্ত মরদেহ মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখেন। পরে ৯৯৯ এ কল দিলে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নাটোর সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে।

নিহতের মেয়ে মাহি খাতুন বলে, রাতে আমি বাবার সাথে চৌকিতে ও মা মেঝেতে শুইয়েছিল। রাত দুইটার দিকে গোঙড়ানোর শব্দ শুনে ঘুম থেকে জেগে উঠে দেখি মা রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছেন, পাশে বাবা ধারালো হাসুয়া হাতে দাঁড়িয়ে আছেন। তখন আমি ভয়ে চিৎকার শুরু করায় প্রতিবেশীরা এলে বাবা পালিয়ে যান।

বড়াইগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ আবু সিদ্দিক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, ঘাতক স্বামীকে আটক করতে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে। এ ব্যাপারে থানায় হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।