• আজ ২৯শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
 এখন থেকে আর জাতীয় রাজস্ব বোর্ড নাম থাকবে না: জ্বালানি উপদেষ্টা | একটি পক্ষ সন্ত্রাস ও চাঁদবাজদের লালন করে ক্ষমতায় যেতে চায়: নাহিদ ইসলাম | চাঁদা না দেওয়ায় ব্যবসায়ীকে পাথর মেরে হত্যা যুবদল নেতার, ভিডিও ভাইরাল | পানিহাটা সীমান্তে ১০ বাংলাদেশীকে বিএসএফের পুশইন | ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের প্রস্তুতি শেষ করার নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার | কুড়িগ্রামে তিস্তায় নিখোঁজের একদিন পর শিশুর মরদেহ উদ্ধার | বাংলাদেশের ওপর ভারতের অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্ব নির্ভরশীল: নাহিদ ইসলাম | ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দ্বিতীয় দফায় বৈঠকে ট্রাম্প-নেতানিয়াহু | চট্টগ্রামে প্রথম দুই ব্যক্তির শরীরে জিকা ভাইরাস শনাক্ত | তাজিয়া মিছিলে হাজারো মানুষ, সতর্ক অবস্থানে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী |

হাতকড়া লাগানো সেই লাশের পরিচয় মিলেছে, রহস্যও উদঘাটন

| নিউজ রুম এডিটর ৮:৪৬ অপরাহ্ণ | জানুয়ারি ১৯, ২০২৩ আইন ও আদালত

নাটোরের বড়াইগ্রামে উদ্ধার হওয়া হ্যান্ডকাপ লাগানো, পা ও গলায় রশি বাঁধা লাশের পরিচয় মিলেছে। একই সঙ্গে হত্যাকাণ্ডে জড়িত একজনকে গ্রেফতারসহ হত্যারহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ।

নিহত যুবক সিরাজগঞ্জ জেলার বেলকুচি উপজেলার নাকফাটা বয়রা মাসুম গ্রামের সাবের আলীর ছেলে আমিরুল ইসলাম (৩৫)।

এ ঘটনায় পুলিশ একই উপজেলার দারপুর গ্রামের আকছেদ আলীর ছেলে গোলাম আজমকে (৩০) আটক করেছে।

অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড থেকে প্রাপ্ত টাকার ভাগাভাগিকে কেন্দ্র করে সহকর্মীদের হাতে তিনি নিহত হয়েছেন বলে পুলিশের দাবি।

জানা যায়, গত ১০ জানুয়ারি মাঝগাঁও বোয়ালের বিলে গমের জমিতে পড়ে থাকা অবস্থায় হ্যান্ডকাফ লাগানো এবং দুই পা ও গলা বাঁধা অজ্ঞাত লাশ উদ্ধার করা হয়। এরপর তদন্তে নেমে উদ্ধারের আট দিন পর লাশের পরিচয় শনাক্তসহ হত্যারহস্য উদঘাটন করে পুলিশ।

বড়াইগ্রাম থানার ওসি আবু সিদ্দিক জানান, নিহত আমিরুল ও আটক গোলাম আজমসহ মোট চারজন মিলে গরু চুরি ও ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধ কর্মকাণ্ড করতেন; কিন্তু সে কাজে পাওয়া টাকার ভাগাভাগি নিয়ে তাদের মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি হয়। এরপর অপর তিনজন আমিরুলকে হত্যার পরিকল্পনা করে।

সে অনুযায়ী একটি অপারেশনের প্রস্তাব দিয়ে তারা তিনজন ৯ জানুয়ারি সন্ধ্যায় আমিরুলকে নিয়ে সিরাজগঞ্জ থেকে বাসে বনপাড়া আসে। পরে তারা আত্মীয়তার সূত্রে গোলাম আজমের পরিচিত এলাকা মাঝগাঁওয়ে যায়। এরপর বিলের মধ্যে নিয়ে তিনজন মিলে আমিরুলের হাতে হ্যান্ডকাফ লাগিয়ে, পা ও গলায় রশি বেঁধে শ্বাসরোধে তাকে হত্যা করে লাশ ফেলে রেখে যায়।

তবে এ ব্যাপারে নিহতের ভগিনীপতি রেজাউল করিম মোবাইলে জানান, আমিরুল আমার ট্রাকে চালকের সহকারী হিসেবে কাজ করত। সে কোনো অপরাধ কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত নয়। খুনিরা তাকে ডেকে নিয়ে গিয়ে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। আমরা খুনিদের উপযুক্ত বিচার চাই।

নিহতের ছোটভাই রবিউল ইসলাম জানান, আমার ভাইয়ের মিম, মিনা ও মিতু নামে তিনটি শিশু বাচ্চা রয়েছে। সহায়-সম্পদ যা ছিল তা যমুনা নদীতে আগেই বিলীন হয়ে গেছে। এখন আমার বিধবা ভাবি এই তিনটি শিশুসন্তান নিয়ে কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে।

বড়াইগ্রাম থানার ওসি আবু সিদ্দিক আরও জানান, পরিচয় না মেলায় আঞ্জুমানে মফিদুল ইসলামের মাধ্যমে আগ্রান কবরস্থানে লাশটি দাফন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে একজন আসামিকে আটক করা হয়েছে। অন্যদেরও আটকের চেষ্টা চলছে। সব খুনিদের গ্রেফতার করতে পুলিশ কাজ করছে বলে তিনি জানান।