• আজ ২৮শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
 চাঁদা না দেওয়ায় ব্যবসায়ীকে পাথর মেরে হত্যা যুবদল নেতার, ভিডিও ভাইরাল | পানিহাটা সীমান্তে ১০ বাংলাদেশীকে বিএসএফের পুশইন | ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের প্রস্তুতি শেষ করার নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার | কুড়িগ্রামে তিস্তায় নিখোঁজের একদিন পর শিশুর মরদেহ উদ্ধার | বাংলাদেশের ওপর ভারতের অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্ব নির্ভরশীল: নাহিদ ইসলাম | ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দ্বিতীয় দফায় বৈঠকে ট্রাম্প-নেতানিয়াহু | চট্টগ্রামে প্রথম দুই ব্যক্তির শরীরে জিকা ভাইরাস শনাক্ত | তাজিয়া মিছিলে হাজারো মানুষ, সতর্ক অবস্থানে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী | আজ ১০ই মহররম, পবিত্র আশুরা | নতুন বাংলাদেশে মাফিয়াতন্ত্রের সরকার গড়তে দেওয়া হবে না: নাহিদ ইসলাম  |

বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ কাদের খান যেভাবে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে ভূমিকা রাখেন

| নিউজ রুম এডিটর ৮:৫১ পূর্বাহ্ণ | মে ২০, ২০২৩ বাংলাদেশ, রাজনীতি

নিজস্ব প্রতিবেদক : স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি মহান নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশক্রমে ভোলা জেলায় আমি একজন মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক হিসাবে ভোলা জেলার প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য জনাব মোশারফ হোসেন শাজাহান, জনাব নজরুল ইসলাম, জনাব রেজাউল করিম চৌধুরী চুন্নু মিয়া ও জনাব মোতাহার মাস্টার এরা চারজনই প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য ছিলেন।

এদেরকে নিয়ে আমি মুক্তিযুদ্ধের ট্রেনিং এর ক্যাম্প পরিচালনা করি।

১৯৭১ সালের ৩রা মে পাক বাহিনী ভোলাতে প্রবেশ করলে আমরা ক্যাম্পটি সরিয়ে স্থল পথ ছেড়ে নৌ পথে নৌকায় আমরা যোগাযোগের মাধ্যমে পুনরায় সংঘটিত হই, এবং সেনাবাহিনীর সাবেক অফিসার ও বিভিন্ন কর্মকর্তাদেরকে আমাদের ক্যাম্পে নিয়ে আসার ব্যবস্থা করি।

পরবর্তীতে আমরা যুদ্ধ পরিচালনা করার জন্য জনাব মোতাহার মাস্টার ও প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য জনাব রেজাউল করিম চৌধুরী চুন্নু মিয়াকে নিয়ে যুদ্ধ পরিচালনার বাহিনী গঠন করি জয়নাল আবেদীন ও সিদ্দিকুর রহমান কে কমান্ডার হিসেবে এবং ডেপুটি কমান্ডার মাহবুবুল আলম শিশু এদের নেতৃত্বে ভোলার বিভিন্ন অঞ্চলে যুদ্ধ পরিচালনা করি। চরফ্যাশন থানার আমিনাবাদ লালমোহন থানার নাজিরপুর বোরহান উদ্দিন থানার দেউলা এবং বোরহান উদ্দিন শহরে ও টনিরহাট বর্তমান বাংলাবাজার ব্যাপক আকারে দিনরাত ব্যাপী যুদ্ধ সংঘটিত হয়।

এখানে অনেক মুক্তি বাহিনীর সদস্য নিহত হয় যেখানেই যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল সেখানেই গ্রাম ও শহর সর্বক্ষেত্রে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ছারখার করে দিত পাক বাহিনীর সদস্যরা প্রত্যেকটি অঞ্চলেই ছোট বড় আকারে পাক বাহিনীর সাথে মুখোমুখি যুদ্ধ হয় এভাবেই নয়টি মাস অতিবাহিত হয় ।

পরবর্তীতে ১৯৭১ সালের ৯ ডিসেম্বর পাক বাহিনী তাদের দোসরদের নিয়ে লঞ্চযোগে ভোলা থেকে পালিয়ে যায়।