• আজ ৩০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কুড়িগ্রাম গর্ব ও একজন জীবন্ত কিংবদন্তি, বিএনপির রিজভী আহমেদ

| নিউজ রুম এডিটর ৬:৪৪ অপরাহ্ণ | জুন ২৪, ২০২৩ বিএনপি, রাজনীতি

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির প্রায় সৃষ্টি থেকে এখন পর্যন্ত ত্যাগী নেতাদের মধ্যে অন্যতম ও যোগ্য ত্যাগস্বীকারকারি নেতা, ৯০’র গন অভ্যুত্থানের মহানায়ক, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের নির্বাচিত প্রথম সভাপতি, রাকসু’র সাবেক ভিপি, বিএনপি’র কেন্দ্রীয় সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব এডভোকেট রুহুল কবির রিজভী আহমেদ দলের জন্য ত্যাগ স্বীকারের জীবন্ত ইতিহাস। ১৯৯০ সালে সৈরাচারী এরশাদ সরকারের পেটোয়া পুলিশ বাহিনীর নির্যাতনে ক্ষত-বিক্ষত শারীরিক নির্যাতনের মধ্যে দিয়ে স্বাভাবিক ভাবে চলাফেরা করা তার জন্য অনেক কষ্টের। ওয়ান-ইলিভেন এর দুঃসময়ে সর্বকালের শ্রেষ্ঠ মহাসচিব প্রয়াত খন্দকার দেলোয়ার হোসেনকে সার্বক্ষনিক সহযোগীতা করে কান্ডারির ভূমিকা পালন করেছিলেন বিএনপির’র এই জীবন্ত কিংবদন্তি, রুহুল কবির রিজভী আহমেদ। আমরা গর্ববোধ করি তিনি কুড়িগ্রামে জন্মেছেন কুড়িগ্রামের অহংকার তিনি ।

নিশিরাতের সরকারের আমলে বারবার নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে এবং কারাগারে যেতে হয়েছে অনেকবার। জাতীয়তাবাদের আদর্শ থেকে তাকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য বহুবার হত্যা করার ষড়যন্ত্র করেছিল ফ্যাসিষ্ট সৈরাচারী সরকারের দোসররা। কিন্তুু আল্লাহ্তাআলার অশেষ মেহেরবানীতে ও গণমানুষের দোয়ায় বেঁচে আছেন আজও আবার করোনা কালে মৃত্যুর দরজা থেকে ফিরিয়ে দিয়েছেন মহান আল্লাহ তায়ালা, পুলিশী অত্যাচার ও রিমান্ডের নামে তার উপর যে অমানুষিক নির্যাতন করা হয়েছিল তা অকল্পনীয়। পুলিশী জিঙ্গাসাবাদের নামে প্রায় ৬২/৬৩ দিন পরপর রাজধানীর বিভিন্ন থানায় থানায় তাকে রিমান্ডে নেয়া হয়েছিল।

কাশিমপুর কারাগার থেকে প্রিজনভ্যানে কোর্ট আনা হতো কিন্তু বসার জন্য দেওয়া হতো না কিছুই! রিজভী ভাই যে বাসায় থাকতেন সেই বাড়িওয়ালা, কেয়ারটেকার এবং তার আপন ছোট ভাই যারা কখনো রাজনীতির সাথে জড়িত ছিল না, তাদেরকে ও গ্রেফতার করেছিল ওয়ান ইলেভেনের সরকার । তাকে রাখা হয়েছিল ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে।

রিজভী ভাইয়ের যোগ্য সহধর্মিণী আঞ্জুমান আরা আইভী কোর্টের দরজায় দরজায় ঘুরতে ঘুরতে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন এবং অসুস্থ হয়েছিলেন। মাঝে মধ্যে যখন উনাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করানো হত তখন তার শুভাকাঙ্ক্ষীরা নিজেকে অসহায় ভাবত আর আল্লাহকে স্বরন করত। সময়ের পরিক্রমায় প্রতিহিংসার রাজনীতির শিকার হয়েছেন রুহুল কবির রিজভী আহমেদ।

আমাদের মানবতা হয়েছে বিপন্ন, আর পরাজিত হয়েছে মনুষ্যত্ববোধের, আমরা দিয়েছি মূল্যবোধকে মাটিচাপা। তৃনমুল বিএনপির একজন সমর্থক থেকে শুরু করে নেতা- কর্মীরা, তাকে দিয়েছে হৃদয়ে স্হান। বিএনপির নগন্য একজন কর্মি হিসেবে তার মতো নেতার সান্নিধ্য পেয়ে নিজেকে গর্ববোধ করি। তাকে নিয়ে প্রকাশ্য হউক বা গোপনেই হউক একটা বাজে মন্তব্য করার আগে হাজার বার ভেবে দেখবেন। একজন রুহুল কবির রিজভী একদিনেই সৃষ্টি হয়নি, সুতারাং তার বিনাশ কখনোই হবে না ইনশাআল্লাহ্। তিনি অনেকটা সময় অসুস্থ থাকেন, কারণ সৈরাচারের বুলেট এখনো তার শরীরে, তাছাড়াও রোড এ্যকসিডেন্ট এর কারণে পায়ে এখনো রড লাগানো। করোনাকালিন সময়ে আইসিউ, থেকে সিসিউ,তে দীর্ঘদিন জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষনে থেকে সুস্থ হয়ে আবারও মানুষের অধিকার আদায়ে কখনো লাঠিতে ভর করে দিনের বেলা রাজপথে মিছিলে নেতৃত্ব দিচ্ছেন, আবার রাতের বেলা মশাল হাতে নিয়ে মিছিল করছেন। তাতেই তার ছুটি নেই, অসুস্থ শরীর নিয়ে ছুটে চলেছেন টেকনাফ থেকে তেতূলীয়া, সরকারি দল ও পুলিশের হামলায় যারা আহত হচ্ছেন তাদের চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত থাকছেন ।আর যারা শহীদ হচ্ছেন তাদের নামাজে জানায় নিজেই উপস্থিত থেকে শোকসন্তপ্ত পরিবারকে দিচ্ছেন শান্তনা বা যথাসাদ্ধ সহয়াতা ।

এর মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকছেন না, প্রতিনিয়ত দেশের সার্বিক রাজনৈতিক. অর্থনৈতিক,সামাজিক, ব্ন্যা, খড়া, বিভিন্ন দুর্বিপাকে পরিস্থিতি দেশবাসী তথা আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে অবহিত করতে সদা সংবাদ সম্মেলের মাধ্যমে জানিয়ে দিচ্ছেন সমসায়ীক পরিস্থিতি ।এতসব জনকল্যাণে কাজ করছেন তিনি, এসব কর্মকাণ্ড চালিয়ে নিতে তার সুস্থতার বিকল্প নাই। তার সুস্থতার জন্য দেশের সকল মানুষের দোয়া ও সহযোগিতা প্রয়োজন । এখানে বলাই বাহুল্য তার জন্য দোয়া কামনা করতে কোনোই আনুষ্ঠানিকতার দরকার নেই , যে যার মতো করে, দল বা দলের বাহিরে ব্যক্তি পর্যায়েও তার জন্য দোয়া করা যেতে পারে। আল্লাহ্ তায়ালা তাকে ও তার পরিবারকে বিপদমুক্ত সুস্থ রাখুন, এবং আমাদের সকলকে হেফাজতে রাখুন আমিন।