• আজ ২৯শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
 বিএনপিকে এত সহজে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দেওয়া যাবে না: মির্জা ফখরুল | এখন থেকে আর জাতীয় রাজস্ব বোর্ড নাম থাকবে না: জ্বালানি উপদেষ্টা | একটি পক্ষ সন্ত্রাস ও চাঁদবাজদের লালন করে ক্ষমতায় যেতে চায়: নাহিদ ইসলাম | চাঁদা না দেওয়ায় ব্যবসায়ীকে পাথর মেরে হত্যা যুবদল নেতার, ভিডিও ভাইরাল | পানিহাটা সীমান্তে ১০ বাংলাদেশীকে বিএসএফের পুশইন | ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের প্রস্তুতি শেষ করার নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার | কুড়িগ্রামে তিস্তায় নিখোঁজের একদিন পর শিশুর মরদেহ উদ্ধার | বাংলাদেশের ওপর ভারতের অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্ব নির্ভরশীল: নাহিদ ইসলাম | ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দ্বিতীয় দফায় বৈঠকে ট্রাম্প-নেতানিয়াহু | চট্টগ্রামে প্রথম দুই ব্যক্তির শরীরে জিকা ভাইরাস শনাক্ত |

লক্ষ্মীপুরের সজিব হত্যাকাণ্ড অরাজনৈতিক : পুলিশ

| নিউজ রুম এডিটর ৪:১৬ অপরাহ্ণ | জুলাই ১৯, ২০২৩ সারাদেশ

লক্ষ্মীপুরে কৃষক দলের নেতা সজিব হোসেন হত্যাকাণ্ড অরাজনৈতিক। পুলিশ বা কারও গুলিতে নয়, ধারালো অস্ত্র বা ছোরার আঘাতে সজিবের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন লক্ষ্মীপুরের পুলিশ সুপার মো. মাহফুজ্জামান আশরাফ।

বুধবার (১৯ জুলাই) বেলা সোয়া ১১টার দিকে নিজ কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

পুলিশ সুপার বলেন, মরদেহ উদ্ধারের স্থান থেকে সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। সজিব আহত অবস্থায় ফিরোজা ভবন নামের একটি বাসায় ঢুকে পড়ে। মৃত্যুর আগে সেখানকার এক ব্যক্তির সঙ্গে সজিবের কথা হয়েছে। সজিব ওই ব্যক্তিকে বলেছে, সে বিএনপির প্রোগ্রামে আসেনি। ৪-৫ জন লোক তাকে কুপিয়েছে। তার কাছে তারা টাকা পায়। এরপর সজিব আর কোনো কথা বলতে পারেনি।

পুলিশ সুপার আরও বলেন, ঘটনাস্থলে থাকা ব্যক্তিরা ৯৯৯-এ কল করে সজিবের চিকিৎসার জন্য পুলিশের সহযোগিতা চেয়েছেন। কয়েকটি অ্যাম্বুলেন্স চালককেও কল করেছেন। কিন্তু বিএনপির সঙ্গে হামলার ঘটনার কারণে অ্যাম্বুলেন্স চালকরা যেতে পারেনি। পুলিশ যাওয়ার আগেই প্রচুর রক্তক্ষরণে সজিব মারা যায়। বিএনপির হামলায় আমাদের ২৫-৩০ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। বিএনপির লোকজন হাসপাতাল ও দোকানঘর ভাঙচুর করেছে। এছাড়া আগুন দিয়ে কয়েকটি মোটরসাইকেলেও পুড়িয়ে দিয়েছে।

মঙ্গলবারের সংঘর্ষের ঘটনায় কোনো মামলা হয়েছে কিনা ও কত রাউন্ড রাবার বুলেট, টিয়ারশেল, গুলি ছোড়া হয়েছে এ বিষয়ে পুলিশ সুপার কিছু জানাননি।

এদিকে মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) বিএনপি, আওয়ামী লীগ ও পুলিশের ত্রিমুখী সংঘর্ষ এবং সজিব হত্যাকাণ্ডে লক্ষ্মীপুর শহরে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। আজ বুধবার দুপুর সোয়া ১টার দিকে লক্ষ্মীপুর শহরে র‌্যাব-১১ এর ৪টি গাড়িকে টহল দিতে দেখা গেছে।

প্রসঙ্গত, বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচিতে ছাত্রলীগের হামলার পর লক্ষ্মীপুরে কৃষক দল নেতা সজিব হোসেনের হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। সজিব সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ধন্যপুর গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে। তিনি চন্দ্রগঞ্জ থানা কৃষক দলের সদস্য। আজ দুপুরে ধন্যপুর গ্রামে তার দাফন সম্পন্ন হয়েছে।