• আজ ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে অবৈধভাবে ব্রক্ষপুত্র নদ থেকে বালু উত্তালনে হুমকির মুখে সড়ক ও সেতু

| নিউজ রুম এডিটর ৪:১৬ অপরাহ্ণ | জুলাই ২৩, ২০২৩ সারাদেশ

৩ জুলাই,মোঃ ছাবির উদ্দিন রাজু ,ভৈরব ( কিশারগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর ব্র্রক্ষপুত্র নদ থেকে অবৈধ ভাবে বালু উত্তালনের ফলে কুলিয়ারচর- বেলাব সড়ক সেতুটি হুমকির মুখ পড়েছে । যে কোন সময় সেতুটি ধসে বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটতে পারে । ফলে নদীর ২ পারের বাসিন্দাদের যােগাযোগ ব্যবস্থাবন্ধ হয়ে যেতে পারে ।তাই সেতুটি রক্ষায় সেতুর নীচ থেকে বালু উত্তালন বন্ধে প্রশাসনের জরুরী হস্তক্ষপ কামনা করছেন স্থানীয়রা । এদিকে প্রশাসন বলছে এলাকাবাসিদের অভিযোগ পেয়েছি বালু উত্তালন বন্ধ প্রয়াজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে ।

কিশারগঞ্জর কুলিয়ারচরের গোবরিয়া আবদুল্লাহপুর ও নরসিংদীর বেলাব ২ উপজেলা বাসির দীর্ঘদিনের স্বপ পূরন আওয়ামীলীগ সরকারর আমলে ব্রক্ষপুত্র নদীর উপর সংযোগ সেতু হওয়ায় বেলাব কুলিয়ারচর বাসির যোগাযোগ ব্যবস্থা, ব্যবসা-বাণিজ্যর উন্নয়ন ত্বরান্নিত হয়েছে। প্রতিদিন ২ উপজলার শত শত স্কুল কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী, পথচারী সেতু পার হয়ে যাতায়াত করে থাকে । এছাড়া ছোট বড় যানবাহন সেতু দিয়ে চলাচল করে। প্রশাসনক বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে দীর্ঘদিন ধরে রুবল মিয়া নামের প্রভাবশালী ব্যক্তি সেতুর প্রায় ১ শ গজ দূরে ব্রক্ষপূত্র নদে অবৈধভাবে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তালন করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে । প্রতিদিন কয়েক লাখ টাকার বালু উত্তালন করে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করছে। এভাবে বালু উত্তালনের ফলে যে কোন সময় সেতুর পিলারের নীচ থেকে মাটি সরে সেতু দেবে বা ধসে বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটতে পারে। শুধু তাই নয় বালু উত্তালনর ফলে নদীর আশ-পাশ বাড়ি-ঘর ও ফসলি জমি ও ক্ষতির মুখ পড়ছে । তাই বালু উত্তালন বন্ধে প্রশাসনের জরুরী হস্তক্ষপ কামনা করছেন স্থানীয়রা ।

এ বিষয়ে স্থানীয় এলাকাবাসি জজ মিয়া,ইব্রাহিম মিয়া, শিক্ষার্থী রাকিব মিয়াসহ অনেকেই জানান, ব্রক্ষপূত্র নদ সেতু নিমার্ণ দীর্ঘদিনের দাবী ছিলো । সেই দাবী পূরণ হয়ছে । সেতুর কাছ থেকে ড্রেজার বালু উত্তালনের ফলে যে কােন সময় মাটি সরে সেতু দেবে বা ধসে বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটতে পারে ।শুধু তাই নয় বালু উত্তালনর ফলে নদীর আশ-পাশ বাড়ি-ঘর, ফসলি জমি ও ক্ষতির মুখে পড়েছে । তাই বালু উত্তালন বন্ধে প্রশাসন যেন জরুরী পদক্ষেপ গ্রহন করে সেই প্রত্যাশায় রয়েছে সেতুর দুই পাড়ের জনগণ।