• আজ ২২শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিক্ষুব্ধ অভিভাবকদের তোপের মুখে পালিয়ে রক্ষা

| নিউজ রুম এডিটর ৩:৫১ অপরাহ্ণ | জুলাই ২৬, ২০২৩ সারাদেশ

রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার হুজরাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে তিনটি পদে কর্মচারী নিয়োগে বড় অঙ্কের অর্থ বাণিজ্যের জেরে ফুঁসে উঠেছে জনগণ। স্থানীয়রা যেকোনো সময় ঐক্যবদ্ধ হয়ে নাটের গুরু আবুল কালাম আজাদকে গণপিটুনি বা গণধাওয়া দিয়ে এলাকাছাড়া করতে পারেন বলে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, উপজেলার হুজরাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে নিয়োগের নামে ওই স্কুলের সহকারি শিক্ষক ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক ধর্মবিষয়ক সম্পাদক আব্দুল কালাম আজাদ ও স্কুল কমিটির সভাপতি মতিউর রহমান তারা দুজন এমপির নাম ভাঙিয়ে তিন প্রার্থীর কাছে থেকে প্রায় সাড়ে ৩৪ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়োগ দিয়েছে। এখন তাদের অবৈধ পন্থায় স্কুলে যোগদান করাতে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোজাহার আলীকে চাপ প্রয়োগসহ নানাভাবে ভয়ভীতি এমনকি চাকরিচ্যুৎ করার হুমকি দেয়া হচ্ছে। পরিচ্ছন্নতা কর্মী , নিরাপত্তা প্রহরী ও আয়া পদে নিয়োগ দেয়া তিনজনকে অবৈধ পন্থায় যোগদান না করালে স্কুলের শিক্ষকদের প্রাণনাশের হুমকি দেয়া হয়েছে। সহকারি শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ এমপি ও আওয়ামী লীগের নাম ভাঙ্গিয়ে নিয়োগ বাণিজ্য, স্কুলে শিক্ষকদের মাঝে বিশৃঙ্খলা সুষ্টিসহ তার নানান অপকর্ম করে চলেছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।এছাড়াও আবুল কালাম আজাদ নামসর্বস্ব ভূয়া অনুমোদনহীন অনলাইনে নিজেদের মনগড়া মন্তব্য তৈরী করে অপপ্রচর করায় সচেতন মহল বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে।

এদিকে এসব ঘটনা নজরে আসলে এলাকাবাসি সহকারি শিক্ষক আবুল কালাম আজাদের উপর বিক্ষুদ্ধ হয়ে উঠে। গত ২৪ জুলাই সোমবার সকালে প্রতিষ্ঠানের সুনাম রক্ষার্থে স্থানীয় অভিভাবক আজিজুলের নেতৃত্বে প্রায় শতাধিক অভিভাবক স্কুল চত্ত্বরে সমবেত হয়। এ সময় সহকারি শিক্ষক আবুল কালাম আজাদকে অবরুদ্ধ করে স্কুলের নিয়োগ বাণিজ্যসহ নানান বিষয়ে তার কাছে জানতে চাই।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান,এসময় শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ কড়া মেজাজে উল্টো তাদেরকেই প্রশ্ন করেন কি জানতে চান ? তিনজনকে যোগদান করাতে প্রধান শিক্ষক তার কাছে ৪ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেছে। তিনি এই কথা বলার সঙ্গে সঙ্গে উপস্থিত অভিভাবকগণ বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠে। জনরোষের মূখে পড়ে অবস্থা বেগতিক বুঝতে পেরে শিক্ষক আব্দুল কালাম আজাদ, প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেবার কথা বলে কৌশলে ভোঁদৌড়ে ফসলি জমির আইল ভেঙে পালিয়ে। এ সময় ধর ধর চিৎকারে কয়েকজন তার পিছু পিছু ধাওয়া করে। স্থানীয় বাসিন্দা জনৈক আব্দুর রহিম, আনোয়ার হোসেন ও টিটু বলেন, সভাপতির অপসারণ এবং সহকারী শিক্ষক আবুল কালাম আজাদকে বরখাস্ত বা তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা না করলে তারা তাদের সন্তানদের এখানে পড়ালেখা করাবেন না।

এ বিষয়ে আজিজুল ইসলাম বলেন, হুজরাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে কর্মচারী নিয়োগে শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ ও সভাপতি মতিউর রহমানকে নিয়ে কয়েকদিন থেকে আওয়ামী লীগ ও এমপির নাম ভাঙ্গিয়ে মোটা অংকের নিয়োগ বাণিজ্য ও শিক্ষকদের প্রাণ নাশের হুমকির খবর বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ হচ্ছে। এছাড়াও শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ এলাকায় নানান ধরনের অপর্কম করে এমন খবর পাই। তাই তার কাছে জানতে গিয়েছিলাম। আমরা এলাকাবাসী একহয়ে তিনদিন সময় দিয়েছি সবকিছুর সমাধান করার জন্য। যদি সমাধান না করা হয় তাহলে পরবর্তিতে আমরা নিজেরা ব্যবস্থা নিবো বলে জানান। এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক মোজাহার আলী বলেন, স্থানীয়রা স্কুলে এসেছিলো। শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ তাদের কাছে অভিযোগ করে আমরা নাকি চাঁদা চেয়েছি। আবুল কালাম আজাদ নিজে বাঁচতে নানান জনকে একেক রকমের কথা বলে বিভ্রান্ত সৃষ্টি করছে। স্থানীয়দের কাছে আমরা সত্যতা তুলে ধরে বুঝিয়ে বলার পর তারা চলে যায়।