স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, যুদ্ধ বিধ্বস্ত একটি দেশ পুনর্গঠনে নেমে বঙ্গবন্ধু মাত্র সাড়ে তিন বছরে ৯৪ ডলার মাথাপিছু আয় থেকে ২৭৭ ডলারে মাথাপিছু জিডিপি উন্নত করেছিলেন। আর সামরিক শাসকেরা ২১ বছরে মাত্র ৫২ ডলার জিডিপি প্রবৃদ্ধি করেছিল দেশের। এ চিত্র থেকে বোঝা যায় বাংলাদেশ কতটা পিছিয়ে পড়েছিল সামরিক নেতৃত্বের কারণে।
বুধবার (২৬ জুলাই) রাজধানীর মিরপুরে মিলিটারি ইন্সটিটিউট অব সায়েন্স এন্ড টেকনোলজিতে (এমআইএসটি) ‘এডভান্সেস ইন সিভিল ইনফ্রাসট্রাকচার এন্ড কন্সট্রাকশন মেটারিয়ালস’ শীর্ষক তিনদিনব্যাপী ২য় আন্তর্জাতিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। এতে বাংলাদেশসহ পৃথিবীর আরো ১০টি দেশের বিশেষজ্ঞরা অংশগ্রহণ করেন।
মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ১৯৯৬ সালে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন ক্ষমতা নেন তখন বাংলাদেশের জিডিপি ছিল ৩২৯ ডলার। খাদ্য ঘাটতির বাংলাদেশকে মাত্র পাঁচ বছরে তিনি খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করেন। সমাজের সকল শ্রেণী পেশার মানুষকে একসাথে নিয়ে দেশের উন্নয়নে ঝাঁপিয়ে পড়েন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যে কারণে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের কাতারে শামিল হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছে।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, বিগত ১৫ বছরে বাংলাদেশের মাথাপিছু জিডিপি ২৮০০ ডলারেরও বেশি উন্নীত করতে পেরেছেন শেখ হাসিনা, আজকের বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ, শতভাগ বিদ্যুৎতায়নের দেশ। দেশের এই অর্থনৈতিক অগ্রগতির ফলে আজকে আমরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে টেকসই ও মানসম্মত অবকাঠামো নির্মাণ বিষয়টি প্রাসঙ্গিকভাবে আলোচনা করছি।
একটি দেশের উন্নয়নে অবকাঠামগত স্থাপনা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে এবং সিভিল ইঞ্জিনিয়াররা এ ক্ষেত্রে অগ্রগামী ভূমিকা রাখেন উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, এ সম্মেলনের মাধ্যমে বিভিন্ন দেশের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞরা তাদের অর্জিত জ্ঞান বিনিময়ের মাধ্যমে নিজেরা যেরকম সমৃদ্ধ হবেন তেমনি বাংলাদেশের সিভিল ইঞ্জিনিয়াররাও সমৃদ্ধ হবেন।
প্রফেসর ড. আইনুন নিশাদ এ সময় পদ্মা সেতুসহ বিভিন্ন মেগা প্রকল্পের অবকাঠামোগত বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. ওয়াহিদুল ইসলাম, মেজর জেনারেল আবু সাঈদ মো. মাসুদ। এতে মূল বক্তা ছিলেন নিউজিল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি অব ক্যান্টারবেরির প্রফেসর গ্রেগরি ম্যাকরে।