• আজ ২৯শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জাফরুল্লাহ চৌধুরীর বাসায় এডিসের লার্ভা, ছেলেকে জরিমানা

| নিউজ রুম এডিটর ৮:০৯ অপরাহ্ণ | জুলাই ২৬, ২০২৩ জাতীয়

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি প্রয়াত ডা. জাফরুল্লাহর চৌধুরীর বাসায় এডিসের লার্ভা পাওয়ায় তার ছেলে বারীশ হাসান চৌধুরীকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ভ্রাম্যমাণ আদালত।

বুধবার (২৬ জুলাই) কর্পোরেশনের অঞ্চল-১ এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস এম মনজুরুল হক ধানমন্ডি ৯/এ এলাকার ৫১ নম্বর হোল্ডিংস্থিত প্রয়াত ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর ‘বৈভ্রাজ’ নামক বাসভবনের চারপাশে ও বাসার ছাদে মশার লার্ভা পাওয়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালত এ জরিমানা করে।

এছাড়াও কর্পোরেশনের আওতাধীন খিলগাঁও, মায়াকানন, ঝাউচর, হাজারীবাগ, ঝিগাতলা, টিকাটুলি, পশ্চিম নন্দীপাড়া, উত্তর মান্ডা, কাজীরগাঁও, কুতুবখালী, মেরাজনগর ও জিয়া সরণি এলাকায় আরও ৯টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মুখপাত্র আবু নাছের জানান, আজকের অভিযানে ডিএসসিসর ২ নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তানভীর-আল-নাসীফ ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মায়াকানন এলাকায় ৪১টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করেন। আদালত এ সময় কোনো স্থাপনায় এডিসের লার্ভা পাননি।

এছাড়াও ২ নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আর এম শাহনেওয়াজ ১ নম্বর ওয়ার্ডের খিলগাঁও এলাকায় ৫০টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করেন। আদালত এ সময় কোনো স্থাপনায়ি এডিসের লার্ভা পাননি।

৩ নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তায়েব-উর-রহমান ৫৫ নম্বর ওয়ার্ডের ঝাউচরের শাজাহান মার্কেটের স্বপ্ন ডাঙ্গা আবাসিক এলাকায় ১০৮টি স্থাপনা পরিদর্শন করেন। আদালত এ সময় ব্যক্তি মালিকানার ৩টি নির্মাণাধীন ভবনে এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ৩ মামলায় ১ লাখ ৬০ হাজার জরিমানা আদায় করেন।

৩ নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আকন্দ মোহাম্মদ ফয়সাল উদ্দিন ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের ঝিগাতলা এলাকায় ৩১টি স্থাপনা পরিদর্শন করেন। আদালত এ সময় কোনো স্থাপনায় এডিসের লার্ভা পাননি।

৫ নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নজরুল ইসলাম ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডের টিকাটুলি ও হাটখোলা এলাকায় ৪৫টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান পরিচালনা করেন এবং ২টি স্থাপনায় এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ২ মামলায় ১৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।

৬ নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাহরিয়ার হক ৭৪ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম নন্দীপাড়া এলাকায় ৬০টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করেন এবং ২টি স্থাপনায় মশার লার্ভা পাওয়ায় ২ মামলায় ৪ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।

অঞ্চল-৭ এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাওসীফ রহমান ৭২ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর মান্ডা এলাকায় ৩০টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করেন এবং ১টি স্থাপনায় লার্ভা পাওয়ায় ১ মামলায় ৩ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।

৯ নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আমিনুল ইসলাম ৬৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাজীরগাঁও এলাকায় ৩৮টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান পরিচালনা করেন এবং ১টি স্থাপনায় লার্ভা পাওয়ায় ১ মামলায় ২ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।

১০ নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাসুদ রানা ৫৯, ৬০ ও ৬১ নম্বর ওয়ার্ডের কুতুবখালী, মেরাজনগর ও জিয়া সরণি এলাকায় ৮৫টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান পরিচালনা করেন এবং ৩টি স্থাপনায় মশার লার্ভা পাওয়ায় ৩ মামলায় ৮২ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।

আবু নাছের জানান, সবমিলিয়ে আজ ১০টি ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে সর্বমোট ৫৩৮টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করা হয়েছে। এ সময় ১৩টি বাসাবাড়ি ও নির্মাণাধীন ভবনে মশার লার্ভা পাওয়ায় ১৩ মামলায় সর্বমোট ২ লাখ ৮৬ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।