• আজ ১লা শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
 মধ্যরাতে চরমোনাই পিরের দরবারে এনসিপির নেতারা | বিএনপিকে এত সহজে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দেওয়া যাবে না: মির্জা ফখরুল | এখন থেকে আর জাতীয় রাজস্ব বোর্ড নাম থাকবে না: জ্বালানি উপদেষ্টা | একটি পক্ষ সন্ত্রাস ও চাঁদবাজদের লালন করে ক্ষমতায় যেতে চায়: নাহিদ ইসলাম | চাঁদা না দেওয়ায় ব্যবসায়ীকে পাথর মেরে হত্যা যুবদল নেতার, ভিডিও ভাইরাল | পানিহাটা সীমান্তে ১০ বাংলাদেশীকে বিএসএফের পুশইন | ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের প্রস্তুতি শেষ করার নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার | কুড়িগ্রামে তিস্তায় নিখোঁজের একদিন পর শিশুর মরদেহ উদ্ধার | বাংলাদেশের ওপর ভারতের অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্ব নির্ভরশীল: নাহিদ ইসলাম | ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দ্বিতীয় দফায় বৈঠকে ট্রাম্প-নেতানিয়াহু |

না ফেরার দেশে পান্না কায়সার

| নিউজ রুম এডিটর ২:০৮ অপরাহ্ণ | আগস্ট ৪, ২০২৩ জাতীয়, বাংলাদেশ, লিড নিউজ

বরেণ্য লেখক-গবেষক, বুদ্ধিজীবী, সাংস্কৃতিক সংগঠক ও সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক পান্না কায়সার মারা গেছেন। শুক্রবার সকাল ১০টায় রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। যুগান্তরকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন পান্না কায়সারের মেয়ে অভিনেত্রী শমী কায়সার।

কান্নাজড়িত কণ্ঠে শমী কায়সার টেলিফোনে জানান, মায়ের তেমন কোনো জটিল রোগ ছিল না। তবে দীর্ঘদিন ধরে ডায়াবেটিসে ভুগছিলেন। এর বাইরে অন্য বড় কোনো জটিলতা ছিল না।

পান্না কায়সার একাত্তরের শহিদ বুদ্ধিজীবী লেখক ও রাজনীতিবিদ শহীদুল্লাহ কায়সারের স্ত্রী। তার জন্ম ১৯৫০ সালের ২৫ মে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের স্নাতকোত্তর এই শহিদ জায়া শিক্ষকতা করেছেন বেগম বদরুন্নেসা কলেজে। স্বাধীনতা সংগ্রামের উত্তাল সময়কালে শহীদুল্লাহ কায়সারের হাত ধরে শুরু হয় তার প্রায় সাড়ে চার দশকের পথচলা আধুনিক সাহিত্যের সঙ্গে, বাঙালি সংস্কৃতি আর প্রগতিশীল রাজনীতির সঙ্গে।

১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় শহীদুল্লাহ কায়সারকে তার বাসা থেকে ধরে নিয়ে যায় আলবদর বাহিনী। এর পর তিনি আর ফেরেননি। এর পর থেকে পান্না কায়সার একা হাতে মানুষ করেছেন তার দুই সন্তান শমী কায়সার ও অমিতাভ কায়সারকে।

কিন্তু তিনি শুধু সংসার জীবনে নিজেকে সীমাবদ্ধ রাখেননি। তিনি শিশু-কিশোর সংগঠন ‘খেলাঘর’-এর প্রেসিডিয়াম মেম্বার ছিলেন সেই ১৯৭৩ সাল থেকে। ১৯৯০-তে তিনি এই সংগঠনের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

পান্না কায়সার ১৯৯৬-২০০১ সালের জাতীয় সংসদে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে একজন সংসদ সদস্য ছিলেন। তার দুই সন্তানের মধ্যে শমী কায়সার টেলিভিশন ও চলচ্চিত্রে একজন গুণী অভিনেত্রী হিসাবে খ্যাতি অর্জন করেছেন।