

নিজস্ব প্রতিবেদক : কথিত কিছু অনলাইন প্রতারক থাইল্যান্ডের লটারির নামে প্রবাসীদের সর্ব সান্ত করে দিচ্ছে। তেমনই একটা গ্রুপের ফাদে পা দিয়েছে সৌদি প্রবাসী বাংলাদেশি যুবক আসাদুজ্জামান, যার পাসপোর্ট নাম হচ্ছে জামান, পিতা: মাজহারুল ইসলাম। ঠিকানা রাজধানীর বাড্ডায়।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইমুতে পিপলস নিউজকে প্রবাসী জামান জানিয়েছে বাংলাদেশেরই তিনজন সব আরো কিছু চক্রধারী প্রতারক মিলে থাইল্যান্ডে বসে ভুয়া কাগজপত্র দেখিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে বিভিন্নভাবে প্রবাসীদের কাছ থেকে।
প্রথমে তারা কল করে বলে আপনি থাইল্যান্ডের লটারি পাওয়ার জন্য কিছু টাকা জমা করেন, তারপর আমরা আপনার কাগজপত্র রেডি করে আপনার সাথে যোগাযোগ করবো। যে-ই কথা সেই কাজ ২০০ রিয়াল জমা দিয়ে দিলো সহজ সরল জামান।
পরেরদিনই জামানের সাথে যোগাযোগ করে বলে আপনি তো ভাই ভাগ্যবান আপনি লটারি পেয়ে গেছেন। কিন্তু কথা হচ্ছে থাইল্যান্ড লটারির টাকা পাওয়ার জন্য আপনাকে ৬০ হাজার টাকা জমা দিতে হবে। জামান কোথায় দিবো জিজ্ঞেস করতেই বললো আমি বিকাশ নাম্বার দিচ্ছি সেই নাম্বারে জমা করে দিবেন, জমা দিয়ে আমাদেরকে বিকাশ আইডি নাম্বার দিবেন। আপনার টাকা পাওয়ার ১০ থেকে ১৫ মিনিট পরেই আমরা আপনার একাউন্টে লটারিতে পাওয়া টাকা ট্রান্সফার করে দিবো। জামান বাংলাদেশে ফোন দিয়ে তার বোনদের থেকে টাকা চায় এবং বিকাশ নাম্বার দেয় যেনো টাকা পাঠিয়ে দেয়। তার বোনরা সময় মতো টাকা বিকাশ করে দিয়েছে, কিন্তু কেউ কখনো জানতে চাইনি কেন কি কাজের জন্য টাকা নিচ্ছে।
যাইহোক টাকা পাঠিয়ে দিয়ে থাইল্যান্ডে যারা থাকে তাদের একজনের নাম হলো আবুল বাসার, আরেকজন হলো আশারাফ হাজি। তাদেরকে বলে যে টাকা দিয়েছে দেখেন।
শুরু হলো লুকোচুরি খেলা, আবার ফোন এলো জামান ভাই আপনি এই অল্প টাকা নিয়ে তো লাভ নাই আপনি ২ লাখ টাকা দেন তাহলে আপনি টাকা পাবেন ২২ লাখ।এই শুরু হলো গোলকধাঁধার খেলা।
আবার ফোন এলো বাংলাদেশে এবার তার বড় বোনকে বললো আপা আমাকে ইমার্জেন্সি ২ লাখ টাকা দেন আমি আবার দুপুরের মধ্যেই আপনার টাকা দিয়ে দিবো ইনশাআল্লাহ। বোন বিশ্বাস করে আবারও সেই বিকাশ নাম্বার দিলো টাকা পাঠানোর জন্য, কিন্তু তার দুলাভাই কার জন্য টাকা নিচ্ছে নিশ্চয়ই শশুর বাড়ি দিবে সেটা জানার জন্য সেই বিকাশ নাম্বার এ কল দেয়। কল দিয়ে জানতে চাইলো এটা কোথায় তারা বলে এটা উত্তরা ৯ নাম্বার সেক্টর ৩ নং বাড়ি।
তারপর টাকা যাচ্ছেনা বলে সেই নাম্বারে তার বড় বোন ফোন দিয়েছে (সেই বিকাশ নাম্বারে) তারা আবারও একটা নাম্বার দিলো জিজ্ঞেস করলে বললো এটা উত্তরা।
বিভিন্ন নাম্বারে টাকা পাঠিয়ে দিলো তার বড় বোন নীলা।
দুপুর হতেই টাকা ফিরত দেয়ার জন্য ফোন দিলে জামান বলে এখনো তারা টাকা দেয়নি বিকেলের মধ্যেই দিবে। কি এক উত্তেজনা কাজ করছে সবার মধ্যেই। তারা কারা জিজ্ঞেস করলেও জামান উত্তর দিচ্ছেনা সত্যি টা জানাতে ভয় পাচ্ছে তখন তাকে বড় বোন সাহস দিয়ে বলে কি হয়েছে আমাকে সত্যি টা বল।তারপর বিস্তারিত বললো। সব শুনে বোন নীলা তাকে বললো এইসব ভুয়া তুই এই ফাদে পা দেয়ার আগে আমাকে একটু জানাতে পারতি।
আবারও ফোন এলো আসাদুজ্জামান ভাই আপনার ভালোর জন্যে একটা পরামর্শ দিচ্ছি আর মাত্র১ লাখ টাকা দেন তাহলে আপনি ৪৮ লাখ টাকা পাবেন, আপনার টাকা বিকাশ করার ১০ মিনিট পরেই আমরা আপনাকে লটারিতে জেতা টাকা দিয়ে দিতে পারবো। শুধু আপনি টাকা দিয়ে আমাকে জানান।
এবার আর জামান বিশ্বাস করেনা তাদের কথা। তখন তারা পবিত্র কোরআন মাজিদ ধরে শপথ করে ভিডিও পাঠায়, যাতে বলেছে এই কোরআন শপথ করে বলছি আপনার সাথে কোন চিটারি বাটপারি মিথ্যা বলছিনা।
বাকিটা আগামী প্রতিবেদনে আসবে