• আজ ৯ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

তানোরে ইউপি সদস্যর বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ

| নিউজ রুম এডিটর ৮:৪৩ অপরাহ্ণ | আগস্ট ২৮, ২০২৩ সারাদেশ

তানোর(রাজশাহী)প্রতিনিধিঃ রাজশাহীর তানোরের কামারগাঁ ইউনিয়নের (ইউপি) ৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত সদস্য (মেম্বার) রশিদা বেগমের বিরুদ্ধে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা ইত্যাদি উপকারভোগীদের তালিকা প্রণয়নে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় গত ২৩ আগস্ট ভুক্তভোগীরা টাকা ফেরত ও বিচার চেয়ে মেম্বারের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

অভিযোগে বলা হয়েছে, গত প্রায় এক বছর আগে প্রতিবন্ধী কার্ড করে দেয়ার জন্য জাতীয় পরিচয় পত্র ও নগদ ৫ হাজার টাকা করে নেয় মেম্বার রশিদা বেগম। কিন্তু এখনো কার্ড হয়নি। টাকা ফেরত চাইলে নানা ভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন মেম্বার। ভুক্তভোগী প্রতিবন্ধী আঙ্গুরা ও মোজাফফর বলেন, তাদের কাছে থেকে প্রায় এক বছর আগে মেম্বার প্রতিবন্ধী কার্ড দিবে বলে নগদ ৫ হাজার টাকা করে নিয়েছেন। কিন্তু এখানো কার্ড দেয়নি।

আমরা গরীব অসহায় প্রতিবন্ধী মানুষ টাকা ফেরত চাইলে নানাভাবে হুমকি দেয় মেম্বার তার স্বামী ও পুত্র। ফলে বাধ্য হয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। একাধিক গ্রামবাসি জানান, দু’এক জনের কাছ থেকে টাকা নিলে হয়। অনেকের কাছে টাকা আদায় করেছে। এমনকি যারা কার্ড পাওয়ার যোগ্য তাদের কাছেও নিয়েছে, যারা যোগ্য না তাদের কাছ থেকেও টাকা আদায় করেছেন। কখানো উপজেলা চেয়ারম্যান কখানো ইউপি চেয়ারম্যান আবার কখানো অফিসে দেবার নামে এসব টাকা আদায় করেছে। এমন টাকা খোর মেম্বারের জন্য সরকারের মহৎ উদ্দেশ্য গুলো নষ্ট হচ্ছে। এদের হয় বরখাস্ত না হয় শাস্তিমুলুক কিছু করা দরকার, যা দেখে অন্যরা ভয় পায় বা সতর্ক হয়।

এবিষয়ে জানতে চাইলে কামারগাঁ ইউপির চেয়ারম্যান ফজলে রাব্বি ফরহাদ বলেন, আমি ঘটনা শোনার পর যাদের কাছ থেকে টাকা নেয়া হয়েছে তাদের ফেরত দিতে বলেছি এবং এধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি হলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। সহকারী কমিশনার ভূমি ও অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা আবিদা সিফাতের সরকারি মোবাইল নম্বরে একাধিকবার ফোন দেয়া হলেও তিনি রিসিভ করেন নি। এবিষয়ে জানতে চাইলে মহিলা মেম্বার রশিদা বেগম বলেন, সমাজ সেবা অফিসের কিছু কর্মকর্তারা টাকা ছাড়া কোন কাজ করে দেন না।

বিশেষ করে প্রয়াত মুনতাজ টাকা নিয়ে কাজ করতেন। আমি যাদের কাছ থেকে অফিস খরচের টাকা নিয়েছি সবার কার্ড হয়েছে। আপনি কি টাকার বিনিময়ে কার্ড দিতে পারেন জানতে চাইলে তিনি জানান, ভোটের সময় কেউ তো বিনা টাকায় ভোট দেয়নি, তারা ভোটের সময় নিয়েছে আমি এখন নিবো, আর এসব টাকা তো আমি খায় না, অফিসে খরচ করতে হয়।