

পাবনার সাঁথিয়ায় মিছিলে প্রকাশ্যে আওয়ামী লীগ নেতা শফিকুল ইসলাম শফির অস্ত্র প্রদর্শনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এ ঘটনায় আলোচনার ঝড় উঠলে মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) শফির কাছ থেকে একটি অস্ত্র জব্দ ও সাধারণ ডায়েরি করে পুলিশ।
শফিকুল ইসলাম শফির উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক প্রচার সম্পাদক।
মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) রাতে পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সাঁথিয়া থানা সূত্র জানায়, শুক্রবার রাতে সাঁথিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় ভাঙচুরের ঘটনায় পাবনা-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী অধ্যাপক আবু সাইয়িদের প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট আব্দুল বাতেনসহ সমর্থকদের দায়ী করে মামলা হয়। ওই মামলার আসামিদের গ্রেফতার দাবিতে শনিবার বিকেলে সাঁথিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় থেকে বেড়া পৌর মেয়র ও নৌকার প্রার্থী অ্যাড. শামসুল হক টুকুর ছেলে আসিফ শামস রঞ্জন, সাঁথিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি হাসান আলী, সাবেক প্রচার সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শফিক, সাঁথিয়া পৌর মেয়র মাহবুবুল আলম বাচ্চুর নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল হয়।
সে মিছিলে শফিকুল ইসলাম শফি কোমরে পিস্তল নিয়ে অংশ নেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে শফিকে অস্ত্রসহ দেখা গেলে আলোচনা শুরু হয়। মঙ্গলবার সাঁথিয়া থানা পুলিশ শফির কাছ থেকে অস্ত্রটি জব্দ করে এবং সাধারণ ডায়েরি করে।
পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম জানান, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ করার লক্ষ্যে গত ২১ ডিসেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন অনুসারে ২১ ডিসেম্বর থেকে ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত সব বৈধ আগ্নেয়াস্ত্র বহন ও প্রদর্শন নিষিদ্ধ ঘোষণা করে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেন পাবনা জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মু. আসাদুজ্জামান।
শফিকুল ইসলাম নির্দেশনা অমান্য করে লাইসেন্স করা পিস্তল প্রদর্শন করেছেন। এতে, অস্ত্র আইন ১৮৭৮ এর লঙ্ঘন হওয়ায় শফিকুল ইসলামের অস্ত্র জব্দ করা হয়েছে। বৈধ অস্ত্রের অবৈধ ব্যবহার হওয়ায় এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতিবেদন পাঠানো হবে।
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে, শফিকুল ইসলাম শফিকে কয়েকবার ফোন করা হলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।
পাবনা জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মু. আসাদুজ্জামান বলেন, নির্বাচন অবাধ,সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ করতে প্রশাসন তৎপর রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সব ধরণের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। নির্বাচনী আইন লঙ্ঘন হলে, কঠোর ব্যবস্থা নেবে প্রশাসন।