আজিজুল ইসলাম বারী,লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ অর্থের অভাবে চিকিৎসা থেমে গেছে কিডনি রোগে আক্রান্ত সাইদুল ইসলাম (মুন্সি) (৩৩)। ছেলের চিকিৎসার টাকা যোগাতে বৃদ্ধ অসহায় বাবা লাল মিয়া(৬৫) মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। পরিবারের নুন আনতে পান্তা ফুরার অবস্থা। ছেলের কিডনি পরিবর্তনের এত টাকা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন পরিবারটি।
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার ভেলাগুড়ি ইউনিয়নের পশ্চিম কাদমা গ্রামের লাল মিয়ার ছেলে সাহিদুল ইসলাম (মুন্সি) (৩৩)। তাদের জায়গা জমি বলতে কিছুই নেই। চেতনার বাজার সরকারি আবাসনের জমিতে তাদের বসবাস। কিডনি রোগে আক্রান্ত সাইদুল মুন্সী স্থানীয় চেতনার বাজারে বয়লার মুরগির মাংস বিক্রি করে কোন মতই সংসার চালান। বর্তমানে অভাবের তাড়নায় তার ব্যবসা থেমে গেছে। ওষুধ খেতে হয় প্রতিদিন ২০০ থেকে ৩০০ টাকার।
অসুস্থ সাহিদুলের স্ত্রী ও ছেলে আরিফুল স্থানীয় চেতনার বাজার সরকার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র।
অসুস্থ সাহিদুল মুন্সি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়তেন স্থানীয় মসজিদে। বর্তমানে অসুস্থ হওয়ার পরও পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ছাড়েননি। ইবাদাত বন্দেগির মধ্যেই দিন পার করছেন সে। অসুস্থতায়ই শুধু দোয়ার ইবাদত করে আল্লাহকে ডাকছেন।
জানা গেছে, কত রমজান মাসে হঠাৎ জ্বর। এরপর বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসা নিয়েও তার জ্বর ভাল হয়নি। পরে রংপুরে গিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা যায় তার দুই কিডনি বিকল। এরপর ঢাকায় গিয়ে কিডনি বিশেষজ্ঞের ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের কিডনি বিশেষজ্ঞ ও সার্জন (কিডনী সার্জারী) ডাঃ হাফিজ আল আসাদ পরামর্শ নিলে তিনি বলেন,তার দুইটি কিডনি অকেজো হয়ে গেছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে তার কিডনি পরিবর্তন করতে হবে।
স্থানীয় ও আকবর হোসেন বলেন, সাহিদুল ইসলাম খুব ভালো ছেলে। সে পাঁচ ছয় মাস ধরে কিডনি রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। সে খুব গরিব এই জায়গা জমিতে ঘরবাড়ি করে আছে। পাশাপাশি অসুস্থ অবস্থায়ও সে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করছেন। তার পাশে সবাইকে দাঁড়ানোর জন্য অনুরোধ করছি।
অসুস্থ সাহিদুল ইসলাম মুন্সী বলেন, হঠাৎজ্বর থেকে জানতে পারি আমার দুইটি কিডনি ড্যামেজ। চিকিৎসক বলছেন কিডনি পরিবর্তন করতে হবে। কিন্তু আমি অসহায় গরিব এত টাকা কই পাবো। প্রতিদিন ৩০০ থেকে ৪০০ টাকার ওষুধ খেতে হয়। তাই সমাজের বিত্তবানদের সাহায্যের আকুল আবেদন করছি।
স্ত্রী আরজিনা বেগম বলেন, স্বামী অসুস্থ কি করে সংসার চলবে । একটি সন্তান নিয়ে কি করে বাঁচবো তাই সমাজের মানুষের কাছে অনুরোধ স্বামীর চিকিৎসার জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছি।
বাবা লাল মিয়া কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন,অর্থের অভাবে আমার ছেলের চিকিৎসার করতে পারছিনা। আমার কিছুই নাই আমি সরকারি গুচ্ছগ্রামে থাকি। এই বয়সে আমি আর পারছিনা। আমার ছেলের পাশে দাঁড়িয়ে একটু সাহায্য করেন।
ভেলাগুড়ি ইউনিয়ন পরিষদ ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আব্দুল হালিম বলেন,সাহিদুল ইসলাম মুন্সির দুটি কিডনি নষ্ট হয়ে গেছে আমরা বিষয়টি জেনেছি। ইউনিয়ন পরিষদ পক্ষ থেকে তাকে সাহায্য করা হবে পাশাপাশি দেশ ও বিদেশের বিত্তবানদের কাছে অনুরোধ করছি তার পাশে দাঁড়ানোর জন্য।
অসুস্থ সাহিদুল ইসলাম মুন্সির পাশে দাঁড়ানোর জন্য যোগাযোগ ও বিকাশ, নগদ রকেট -01723-206182 অথবা ব্যাংক হিসাব নম্বর -রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক -631612200010629