

সিরাজদিখান প্রতিনিধিঃ মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলা যুবদলের আহবায়ক ইয়াসিন সুমনের বিরুদ্ধে পদ ছাত্রদলের কমিটি দেওয়ার ১০ হাজার টাকা পদবানিজ্যের অভিযোগ তোলেন ইয়াসিন সুমনের রাজনৈতিক জীবনের ঘনিষ্ট ছোট ভাই মালখানগর ইউনিয়ন বিএনপির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক সাব্বির মৃধা।
তিনি সম্প্রতি যুবদলের আহবায়কের বিরুদ্ধে মালখানগর ইউনিয়ন ছাত্রদলের পদ বানিজ্যের অভিযোগ তোলার পাশাপাশি কমিটির জন্য দেওয়া ১০ হাজার টাকা ফেরৎ চাওয়ার পর না পেয়ে ফেইসবুক স্ট্যাটাস দেওয়ার কারণে যুবদল আহবায়কের সাজানো লোকজনের হাতে মারধরের শিকার হয়েছেন মর্মে সাংবাদিকদের কাছে ভিডিও বক্তব্যের মাধ্যমে অভিযোগ করেন।
তার দেওয়া বক্তব্য ও অভিযুক্ত যুবদল আহবায়ক ইয়াসিন সুমনের দেওয়া ফোন কল বক্তব্যের ভিত্তিতে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের মধ্য দিয়ে বিষয়টি তুলে ধরেন সাংবাদিকরা। তবে যুবদল আহবায়কের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে পদ বানিজ্যের অভিযোগ তোলা হলেও এ নিয়ে তিনি কোন তোয়াক্কাই করেন নি বরং উল্টো তারই রাজনৈতিক জীবনের ঘনিষ্ট ছোট ভাই সাব্বির মৃধাকে নানা ভাবে নানা মহলে মানসিক রোগী সাজানোর চেষ্টা করেন ইয়াসিন সুমন।
এমন অভিযোগ তুলছেন সাব্বির মৃধার রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী ও তার রাজনৈতিক সহযোদ্ধারা।
বিষয়টি ধামাচাপা দিতে সাব্বির মৃধাকে নানা ভাবে চাপ প্রয়োগের বিষয়টিও সামনে আনছেন কেউ কেউ। তবে যুবদলের আহবায়ক ইয়াসিন সুমনের পদ বানিজ্যের বিষয়টি নিয়ে খোলাসা করেছেন ওই কমিটির সভাপতি প্রার্থী ইমতিয়াজ আহমেদ।
বর্তমানে তিনি আমেরিকায় অবস্থান করছেন। সম্প্রতি তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে রেকর্ডকৃত একটি ভিডিও বক্তব্য পোষ্ট করেন। তার পোষ্ট করা ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছে। ভাইরাল হওয়া ভিডিওটিতে তিনি বলেন, ২০২২ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারী মালখানগর ইউনিয়ন ছাত্রদলের আংশিক কমিটির অনুমোদ দেওয়া হয়।
আমি ওই কমিটির সভাপতি পদ প্রার্থী ছিলাম। কিন্তু আমাকে সভাপতি না দিয়ে সিনিয়র সহ-সভাপতি করা হয়। কমিটি দেওয়ার ব্যাপারে যেদিন আলাপ হয় সেদিন রাত ১১ টার দিকে সাব্বির ভাই আমাকে ফোন দিয়ে বললো ইয়াসিন ভাই বলেছে কমিটি আনতে হলে তোমার ৫ হাজার টাকা আর মেহেদীর ৫ হাজার টাকা লাগবে। আমি বললাম আমার কাছে টাকা নাই, টাকা দেওয়াও আমার পক্ষে সম্ভব না। সাব্বির ভাই বললো, তুমি টাকার চিন্তা করো না, টাকা আমরা এরেঞ্জ করে দিচ্ছি কিন্তুু নাম হবে তোমার। আমি বললাম ঠিক আছে তাহলে। পরে ভাই ব্রাদার বন্ধু বান্ধব মিলে টাকাটা এরেঞ্জ করে উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ধীরেন কুদ্দুসের বাসায় যুবদলের আহবায়ক ইয়াসিন সুমনের কাছে দেওয়া হলো। টাকাটা সাব্বির ভাইয়ের মাধ্যমে ইয়াসিন ভাইয়ের হাতে দেওয়া হইছে। সেসময় আমরা সকলেই সেখানে ছিলাম। এখন ইয়াসিন ভাই যদি বলেন যে টাকাটা উনি নেন নাই, সবার সামনে বললেও আমার সামনে সে টাকাটা উনি নেয় নাই এটা উনি বলতে পারবেন না।
এখন কথা হচ্ছে টাকাটা কি উনি নিজে রাখছে নাকি উনার উপর মহলে দিয়েছেন সেটা আমার জানা নেই। আর আমার জানার কথাও না বা আমি জানতেও চাইনি। তবে কমিটির জন্য টাকাটা সাব্বির ভাই ইয়াসিন সুমন ভাইয়ের হাতে দিয়েছে এটাই সত্য। আমি যেটা সত্য সেটাই বললাম।
এদিকে ছাত্রদলের কমিটির পদ বানিজ্যের বিষয়টি বরাবরই অস্বীকার করে আসছেন উপজেলা যুবদলের আহবায়ক ইয়াসিন সুমন।
তিনি কারো কাছ থেকে কমিটির ব্যপারে কোন টাকা নেন নি মর্মে সাংবাদিকদের একাধিক স্বাক্ষাৎকারে বক্তব্য দিয়েছেন। অন্যদিনে যুবদলের আহবায়ক ইয়াসিন সুমনের কমিটি বানিজ্যের বিষয়টি প্রকাশ পাওয়ায় ভুক্তভোগী তারই ঘনিষ্ট ছোট ভাই সাব্বির মৃধাকে মানসিক ভারসাম্যহীন সাজাতে ব্যর্থ হয়ে তার বাসায় গিয়ে সাব্বির মৃধার সাথে ছবি তুলে কমিটির বানিজ্যের বিষয়টি ধামাচাপা দিতে চাইছেন মর্মে অভিযোগ মালখানগর ইউনিয়নের একাধিক বিএনপি নেতাকর্মীর।