মোঃ ইব্রাহিম হোসেনঃ বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দায়ের করা সকল ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলার প্রত্যাহার করতে হবে বলে জানিয়েছেন, বিজ্ঞানী ড.এম এ ওয়াজেদ মিয়া স্মৃতি পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা,পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এর কেন্দ্রীয় কৃষি ও সমবায় বিষয়ক উপকমিটির সদস্য, নূরুন নবী ভোলা।
শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) ধানমন্ডি-৩২ নম্বরের বঙ্গবন্ধু ভবনে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এর সভানেত্রী শেখ হাসিনা’র ৭৮ তম জন্মদিন উপলক্ষে আলোচনা সভা, দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, একাত্তরের পরাজিত শক্তি ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এদেশীয় কিছু দালাল এই দেশকে অস্থিতিশীল করে বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সম্পদ লুন্ঠন ও বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ঘাটি স্থাপনের জন্য ষড়যন্ত্র করে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করে ড.মোহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে যুক্তরাষ্ট্রের মদদপুষ্ট অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা হয়।
তিনি আরো বলেন, গত ৫ই আগস্ট শেখ হাসিনা দেশ থেকে ভারতে যাওয়ার পর থেকে জামায়াতে ইসলামী,ছাত্র শিবির, বিএন পি’র সন্ত্রাসীরা সারা বাংলাদেশে দেশের ঐতিহাসিক স্হাপনাগুলোতে অগ্নি সংযোগ,লুটপাট, প্রকাশ্যদিবালোকে আওয়ামী লীগ এর নেতা-কর্মীদের পিটিয়ে হত্যা,থানায় ঢুকে পুলিশ সদস্যদের হত্যা,অস্ত্র লুট এবং শেখ হাসিনা সহ আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের নামে হাজার হাজার মিথ্যা হত্যা মামলা দায়ের করে। পুরো বাংলাদেশে আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতি ঘটেছে,এখন সারা বাংলাদেশের মানুষ বলতে শুরু করেছে শেখ হাসিনা’র আমলে বাংলাদেশে যে শান্তি-শৃঙ্খলা,সুশাসন ছিলো তা এখন আর নেই। তাই সারা বাংলাদেশের মানুষ এখন শেখ হাসিনাকে পুনরায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রক্ষমতায় দেখতে চায়।
নূরুন নবী ভোলা বলেন, আমরা আজকের এই সভা থেকে অন্তর্বর্তী সরকারের নিকট জোর দাবি জানাচ্ছি, অবিলম্বে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দায়ের করা সকল ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। বাংলাদেশের গনতন্ত্র, সুশাসন ও উন্নয়নের জন্য শেখ হাসিনা’র নেতৃত্ব অপরিহার্য।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন, পাঠাগার পরিচালনা কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এর কেন্দ্রীয় কৃষি ও সমবায় বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য বাবু ছবি বিশ্বাস এবং সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এর কেন্দ্রীয় ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটির সদস্য সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা রফিকুল ইসলাম মৃধা।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগ নেতা সিরাজুল ইসলাম খাঁন, কৃষক লীগ নেতা সালাউদ্দিন কাওসার, বঙ্গবন্ধু জাদুঘরের কর্মকর্তা এ্যাডভোকেট নান্টু, নারায়ণ চন্দ্র, স্বপন ভৌমিক সহ পাঠাগার পরিচালনা কমিটির নেতৃবৃন্দ।
আলোচনা সভা, দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে বঙ্গবন্ধুর রেখে যাওয়া রক্তের উত্তরাধিকার ও পবিত্র আমানত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং শেখ রেহানাসহ তাঁদের পরিবারবর্গের দীর্ঘজীবন ও সুস্থতা কামনায় দোয়া প্রার্থনা করা হয় এবং ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নিহত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের শহীদ সদস্যদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। মুনাজাত পরিচালনা করেন, মাওলানা মনির হোসেন।