• আজ ২৮শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
 এমবিবিএস ও বিডিএস ডিগ্রি ছাড়া কেউ ডাক্তার লিখতে পারবে না | শাহবাগীদের সতর্ক করে হাসনাত আবদুল্লাহ’র পোস্ট | হাবিবুল্লাহ বাহারের  উপাধ্যক্ষকে কুপিয়ে হত্যা, ফরিদপুর থেকে দম্পতি গ্রেফতার  | গণজাগরণের লাকির গ্রেপ্তারের দাবিতে মধ্যরাতে উত্তাল ঢাবি | হত্যাকান্ড ধামাচাঁপা দিতে ওসির ‘জজ মিয়া’ নাটক | নারী নিপীড়ন ইস্যুতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি | শেখ হাসিনা-রেহানা পরিবারের জমি-ফ্ল্যাট জব্দের আদেশ | মাগুরায় শিশু ধর্ষণ : গভীর রাতে শুনানি, ৪ আসামি রিমান্ডে | গাড়ি চাপায় পোশাক শ্রমিক নিহত বনানী – মহাখালী রাস্তা অবরোধ | আশুলিয়া ককটেল ফাটিয়ে স্বর্ণের দোকানে ডাকাতি |

সাবলেট থেকে ডাকাতি লুটপাটের পর কোলের শিশুকেও নিয়ে গেছে ডাকাতরা

| নিউজ রুম এডিটর ৯:১৫ পূর্বাহ্ণ | নভেম্বর ১৬, ২০২৪ ঢাকা, সারাদেশ

 

ছুটির দিনে সকালবেলায় রাজধানীর একটি বাসায় ভাড়াটিয়ার আত্মীয় সেজে বেড়াতে আসেন দুই ব্যক্তি। তারপর ওই বাসার মালপত্রের সঙ্গে আট মাস বয়সী শিশুকেও নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা।

পুরান ঢাকার লালবাগ এলাকার একটি বাড়িতে গতকাল শুক্রবার সকালে ঘটে এই ঘটনা। আর ডাকাতির ঘটনায় জড়িত ওই বাসায় সাবলেটে থাকা এক তরুণী।

ডাকাতি হওয়া বাসার গৃহকর্ত্রী ফারজানা আখতার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগে কর্মরত। ঘটনার পর পুলিশের একাধিক টিম শিশুকে উদ্ধার এবং ডাকাতদের গ্রেপ্তারে মাঠে নেমেছে।

সূত্র জানায়, ফারজানা ও তাঁর স্বামী ধানমণ্ডির আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালের কর্মী আবু জাফরের লালবাগের ১২/আই নম্বর বাড়ির নিচতলার একটি ফ্ল্যাটে বেশ কিছুদিন ধরে ভাড়া থাকেন। তাঁদের একটি কক্ষ খালি পড়ে থাকায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী পরিচয় দেওয়া এক তরুণীকে সাবলেট দেওয়া হয়।

বৃহস্পতিবার রাতে তিনি বাসায় ওঠেন।
গতকাল শুক্রবার সকালে ফারজানাকে সাবলেটে থাকা তরুণী জানান, তাঁর ভাই আসবেন। সকাল ৯টার দিকে দরজায় কড়া নাড়লে ফারজানাই দরজা খুলে দেন। আর ওই সুযোগে দুজন বাসায় ঢুকে যান।

এ সময় ফারজানার স্বামীও বাসায় ছিলেন। দুই আগন্তুক বাসায় ঢুকেই ফারজানাকে ধাক্কা দিয়ে তাঁর স্বামী যে কক্ষে রয়েছেন, সেটিতে ফেলে বাইরে থেকে দরজা আটকিয়ে দেন। তারপর ওই তরুণীসহ তাঁরা তিনজন বাসা তছনছ করে তিন-চার ভরি স্বর্ণালংকার ও দেড় লাখ টাকা নিয়ে যান। সঙ্গে নিয়ে যান ফারজানা দম্পতির আট মাস বয়সী শিশু জাইফাকে।
গতকাল দুপুরে ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনেক কর্মকর্তা ফারজানার বাসায় গিয়ে তাঁকে সান্ত্বনা জানান।

পুলিশও যায় ওই বাসায়।
এক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে ডাকাতির পরিকল্পনার অংশ হিসেবেই ওই তরুণী বাসায় সাবলেটে ওঠেন। তিনি গৃহকর্ত্রীর কাছ থেকে কোথায় কী আছে তা কৌশলে জেনে নেন। কিন্তু শিশুকে কেন নিয়ে গেল সেই উত্তর পাওয়া যাচ্ছে না। ওই তরুণীকে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই আটক করতে পারবে বলে পুলিশ আশাবাদী।

লালবাগ থানার ওসি কিয়াসলু মারমা বলেন, ‘আমরা ডাকাতদের ধরতে ও শিশুকে উদ্ধারে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাচ্ছি। এখনো মামলা হয়নি। অভিযোগ দিতে গৃহকর্তা থানায় এসেছেন।’