

মোঃরফিকুল ইসলাম মিঠু ঢাকা।।রাজধানীর খিলক্ষেত থানা এলাকা থেকে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা ও ইয়াবা পরিবহণে ব্যবহৃত প্রাইভেটকারসহ চার মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ এর গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।
গ্রেফতারকৃতরা হলো- লায়লা বানু ওরফে রাশেদা বেগম (৩৮), আব্দুস সাত্তার ওরফে আকাশ (৩৬), মোঃ মোকলু মিয়া (২৬) ও মোঃ সাখাওয়াত হোসাইন শিপন (৩৩)। গ্রেফতারের সময় তাদের হেফাজত থেকে ১০,২০০ পিস ইয়াবা ও ইয়াবা পরিবহনে ব্যবহৃত একটি প্রাইভেটকার উদ্ধার করা হয়।
বৃহস্পতিবার আনুমানিক ৮:৫৫ ঘটিকায় খিলক্ষেতের নামাপাড়ার হাজী আলমাস রোডে অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেফতার করে ডিবি-সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম (উত্তর) বিভাগের ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিম।
ডিবি-সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম (উত্তর) বিভাগ সূত্রে জানা যায়, রাজধানীতে মাদক উদ্ধারে বিশেষ অভিযান পরিচালনাকালে ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিম বৃহস্পতিবার গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারে একজন মাদক কারবারি প্রাইভেটকারে করে ইয়াবা বিক্রয়ের জন্য খিলক্ষেতের নামাপাড়ার হাজী আলমাস রোডে অবস্থান করছে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে উক্তস্থানে অভিযান পরিচালনা করে ডিবি পুলিশের একটি চৌকস টিম। অভিযানকালে মাদক কারবারি লায়লা বানু ওরফে রাশেদা বেগম,আব্দুস সাত্তার ওরফে আকাশ, মোঃ মোকলু মিয়া ও মোঃ সাখাওয়াত হোসাইন শিপনকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় অজ্ঞাতনামা আরো ২/৩ জন মাদক কারবারি পালিয়ে যায়। গ্রেফতারের সময় তাদের দেহ তল্লাশী করে এক হাজার ২০০ পিস ইয়াবা ও তাদের ব্যবহৃত প্রাইভেটকার তল্লাশী করে গাড়ির গ্যাস সিলিন্ডারের মধ্যে বিশেষ প্রক্রিয়ায় তৈরিকৃত আলাদা বাক্সের ভিতরে লুকানো অবস্থায় আরো নয় হাজার পিস ইয়াবাসহ মোট ১০ হাজার ২০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয় এবং মাদক বিক্রয়ের কাজে ব্যবহৃত প্রাইভেটকারটি জব্দ করা হয়েছে। উদ্ধারকৃত ইয়াবা ট্যাবলেটসমূহের আনুমানিক মূল্য ২০ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা। এ ঘটনায় গ্রেফতারকৃতরাসহ পলাতক আরো ২/৩ জনের বিরুদ্ধে খিলক্ষেত থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা রুজু করা হয়েছে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্য সম্পর্কে জানা যায়, গ্রেফতারকৃতরা দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত। গ্রেফতারকৃত লায়লা বানু চট্টগ্রামের অক্সিজেন মোড় থেকে ইয়াবাগুলো সংগ্রহ করে প্রাইভেটকারযোগে ঢাকায় এনে গ্রেফতারকৃত আসামি আব্দুস সাত্তার, মোকলু মিয়া ও সাখাওয়াতের নিকট হস্তান্তর করার জন্য ঘটনাস্থলে অবস্থান করছিলো। তারা পরস্পর যোগসাজশে বিভিন্ন কৌশলে ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলাকায় ইয়াবা সরবরাহ করতো মর্মে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে।
গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন। পলাতক অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।