

সিরাজদিখান প্রতিনিধিঃমুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে নগদ অর্থ ও স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে সোয়া আক্তার নামে এক সাইফ্রাস প্রবাসীর স্ত্রীর উধাও হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
গত ৬ মার্চ সন্ধ্যা অনুমান ৭ টার দিকে উপজেলার মালখানগর ইউনিয়নের দেবিপুরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। উধাও হওয়া গৃহবধূ সোয়া আক্তার দেবিপুরা গ্রামের মো. জামাল হোসেনের ছেলে সাইফ্রাস প্রবাসী ইসমাঈলে স্ত্রী ও একই গ্রামের নুর জামালের মেয়ে।
এ ঘটনায় সাইফ্রাস প্রবাসী ইসমাঈলের বাবা মো. জামাল হোসেন তার পূত্রবধূ সোয়া আক্তারকে বিবাদী করে ঘটনার দিন সিরাজদিখান থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
লিখিত অভিযোগ ও ঘটনার বিবরণে জানা যায়, প্রায় দুই বছর পূর্বে মালখানগর ইউনিয়নের দেবিপুরা গ্রামের মো. জামাল হোসেনের ছেলে ইসমাইলের সাথে একই গ্রামের নুর জামালের মেয়ে সোয়া আক্তারের সাথে প্রথমে প্রেমের সম্পর্ক পরে ইসলামী সরিয়ত মোতাবেক বিয়ে হয়।
অনুমান দেড় বছর পূর্বে জীবিকার তাগিদে স্বামী ইসমাইল সাইফ্রাস প্রবাসে পাড়ি জমায়। স্বামী ইসমাঈল প্রবাসে থাকার সুবাদে স্ত্রী সোয়া আক্তার প্রায় সময় তার বাবার বাড়ীতে বেড়াতে যাওয়া আসার সুবাদে বিভিন্ন ছেলের সাথে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পরে। গত ৬ এপ্রিল সন্ধ্যা অনুমান ৭ টার দিকে ছোয়া আক্তার তার শ্বশুর বাড়ীর কাউকে কিছু না বলে বসত ঘরের আলমারিতে থাকা নগদ ১ লাখ টাকা, ১ ভরি ওজনের গহনা (স্বর্ণালঙ্কার) ও একটি দামী মোবাইল ফোন নিয়ে বাড়ী থেকে চলে যায়। ওইদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে শ্বশুর জামাল হোসেন তার ছেলের শ্বশুর বাড়ীতে গিয়ে পুত্রবধূর কথা জিজ্ঞেস করলে তারা তাদের মেয়ের ব্যপারে জানে না বলে জানায়। পরে শ্বশুর জামাল হোসেন সম্ভাব্য সব জায়গায় পুত্রবধূর সন্ধান করে না পেয়ে সিরাজদিখান থানায় নগদ অর্থ ও স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে শ্বশুর বাড়ী থেকে না বলে বেরিয়ে যাওয়ার অভিযোগ এনে পুত্রবধূ সোয়া আক্তারকে বিবাদী করে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী অভিযোগকারী শ্বশুর জামাল হোসেন বলেন, আমি থানায় অভিযোগ করার পর পুলিশ এসেছিল তদন্ত করে গেছে। কিন্তু এখনো আমি আমার পুত্রবধূর কোন সন্ধান পাইনি।
এবিষয়ে অভিযোগের তদন্তকারী এসআই পান্নু শেখের কাছে মুঠো ফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে বক্তব্য তো দিব না, থানায় এসে বক্তব্য নিয়ে যান।