• আজ ২৯শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

লন্ডন পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা

দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদারের লক্ষ্যে চার দিনের সরকারি সফরে যুক্তরাজ্যের লন্ডনে পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

মঙ্গলবার (১০ জুন) লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে স্বাগত জানান যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার আবিদা ইসলাম।

মঙ্গলবার (১০ জুন) স্থানীয় সময় সকাল ৭টা ৫ মিনিটের দিকে লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরে তাকে বহন করা এমিরেটসের একটি ফ্লাইটটি অবতরণ করে।

প্রধান উপদেষ্টার উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে সোমবার (৯ জুন) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে প্রধান উপদেষ্টা এবং তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী এমিরেটস এয়ারলাইনসের ফ্লাইটটি লন্ডনের উদ্দেশে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এ তথ্য জানান।

গত ৪ জুন ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব রুহুল আলম সিদ্দিক সফর সম্পর্কে ব্রিফিংয়ে বলেন, প্রধান উপদেষ্টাকে রাজা তৃতীয় চার্লসের সঙ্গে সাক্ষাতের অনুমতি দেয়া হবে এবং ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ার স্টারমারের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি, অন্যান্য সিনিয়র মন্ত্রী, রাজনৈতিক নেতা এবং ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের প্রভাবশালী ব্যক্তিত্বরা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

বিশ্বব্যাপী গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ অধ্যাপক ইউনূসকে রাজা তৃতীয় চার্লস ‘কিং চার্লস তৃতীয় হারমনি অ্যাওয়ার্ড ২০২৫’-এর জন্য মনোনীত করেছেন। জনগণ এবং পরিবেশের মধ্যে শান্তি, স্থায়িত্ব এবং সম্প্রীতি প্রচারে তার আজীবন কাজের সম্মানার্থে এ পুরস্কারে ভূষিত করা হবে।

মঙ্গলবার (১০ জুন) লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে স্বাগত জানান যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার আবিদা ইসলাম।

১২ জুন লন্ডনের সেন্ট জেমস প্যালেসে এক অনুষ্ঠানে এ পুরস্কার প্রদান করা হবে।

১৯৯০ সালে প্রতিষ্ঠিত দ্য কিংস ফাউন্ডেশন তৎকালীন প্রিন্স অব ওয়েলসের প্রতিষ্ঠিত যুক্তরাজ্যভিত্তিক একটি দাতব্য সংস্থা। প্রতিবছর টেকসই উন্নয়ন এবং মানবিক কারণে অনুকরণীয় সাফল্য অর্জনকারী ব্যক্তিদের এ মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার দেয় দ্য কিংস ফাউন্ডেশন।

সফরকালে অধ্যাপক ইউনূস কমনওয়েলথ এবং আন্তর্জাতিক সমুদ্র সংস্থার (আইএমও) মহাসচিবদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। সেখানে তিনি বাংলাদেশের বৃহত্তর আন্তর্জাতিক কর্মকাণ্ড তুলে ধরবেন। তিনি ১১ জুন রয়্যাল ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স, চ্যাথাম হাউসে একটি বিশেষ ভাষণ দেবেন। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় সূত্র জানায়, প্রধান উপদেষ্টার এই সফরে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণে যুক্তরাজ্যের সমর্থনের বিষয়টি বিশেষ গুরুত্ব পাবে। এর পাশাপাশি পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার বিষয়টিতে প্রাধান্য দেবে বাংলাদেশ। প্রধান উপদেষ্টা ১৪ জুন দেশে ফিরবেন বলে আশা করা হচ্ছে।