
সিরাজদিখান প্রতিনিধিঃ মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলায় জমি জমা সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের রক্তক্ষয়ী হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন। তাদের মধ্যে ৩ জনের অবস্থা গুরুত্বর বলে জানা গেছে। আহতরা হলের, আওলাদ হোসেন, তার বড় ভাই সোহেল ও চাচাত ভাই রাসেল, মোঃ পারভেজ, স্ত্রী লাভলী, আত্নীয় সুরমি, পপি ও লাকী আহত হয়েছেন।
এর মধ্য আওলাদ হোসেন, সোহেল ও রাসেল গুরুত্ব আহত হন। গত ৩১ আগস্ট রবিবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার মালখানগর ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের উদ্ধার করে সিরাজদিখান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হলে ওই দিন বিকাল ৫টার দিকে সেখানে আবারও হামলার চেষ্টা চালায় মোঃ কবির হোসেন পোদ্দারসহ তার লোকজন। তবে চিকিৎসক ও স্থানীয়দের সহায়তায় ভুক্তভোগীরা রক্ষা পান।বর্তমানে গুরুতর আহত আওলাদ, সোহেল ও রাসেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। অন্যান্য আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় হামলার শিকার ভুক্তভোগী আওলাদ হোসেন বাদী হয়ে প্রতিপক্ষ মো. কবির হোসেন পোদ্দারসহ মহসিন, মামুন, রুবেল,শাহ আলম,সিয়াম,
রমজান কাল, অলিউল্লাহ, সাহাব উদ্দিন কাজী,শিমুল,শুভ,মায়া আক্তার,তানিয়া,
টুম্পা আক্তার, ইয়াসমিন, ইমন পোদ্দার, সাকিব, সুমি আক্তার, রিভা আক্তার ও ডলি আক্তার সহ মোট ২১ জনকে আসামি করে সিরাজদিখান থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। যার নং-৫।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, আসামিরা দেশীয় অস্ত্র, লোহার রড ও বাঁশের টুকরা নিয়ে হঠাৎ তাদের বিরোধীয় জমিতে প্রবেশ করে জোরপূর্বক সাইনবোর্ড টাঙাতে যায়। বাধা দিতে গেলে আওলাদ হোসেন, তার বড় ভাই সোহেল ও চাচাতো ভাই রাসেলের উপর হামলা চালায় কবির হোসেন পোদ্দারসহ তার লোকজন। এতে আওলাদের সামনের দাঁত ভেঙে যায় এবং মুখে গুরুতর জখম হয়। সোহেলের মাথায় দা দিয়ে কোপ মেরে রক্তাক্ত জখম করা হয়, আর রাসেলের হাত ভেঙে যায়। পরবর্তীতে আসামিরা ধারাবাহিকভাবে আওলাদ হোসেনের স্ত্রী লাভলী,চাচাতো ভাই পারভেজ, আত্মীয় সুরমি, পপি, ও লাকীসক আরও বেশ কয়েক জনকে মারধর ও শ্লীলতাহানির করে প্রতিপক্ষ মোঃ কবির হোসেন পোদ্দার গংয়ের লোকজন। এছাড়া আওলাদ হোসেনের বসত বাড়িতে ভাঙচুর চালিয়ে তার বসত ঘরের আলমারী ভেঙে নগদ ১০ লাখ টাকা, ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা মূল্যমানের ৫ ভরি স্বর্ণালঙ্কার লুটসহ ভাঙচুর করে আরো ৩ লাখ টাকার ক্ষতি সাধন করা হয়েছে বলে দাবী করেন ভুক্তভোগী আওলাদ হোসেন।
ভুক্তভোগী আওলাদ হোসেনের দায়ের করা মামলার
১ নং আসামী মো. কবির হোসেন পোদ্দার ধরাছোয়ার বাইরে থাকলেও মামলার ২ নং আসামী মহসিন ও ৩ নং আসামী মামুন আদালত হাজিরা দিতে গিয়ে গ্রেফতার হয়েছে। মামলার অন্যান্য আসামাীরা আদালতে হাজির হয়ে জামিন লাভ করেছেন।
এদিকে আওলাদ হোসেনের দায়ের করা মামলার দায় এড়াতে ১ নং আসামী মোঃ কবির হোসেন পোদ্দার বাদী হয়ে আওলাদ হোসেন পোদ্দারসহ ৯ জনকে এজাহার নামীয় আসামীসহ অজ্ঞাতনামা আরো ১০/১৫ জনকে আসামী করে সিরাজদিখান থানায় অপর আরো একটি কাউন্টার মামলা দায়ের করেন।
ভুক্তভোগী আওলাদ হোসেন তিনিসহ তার পরিবারের লোকজনের উপর হামলার ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানিয়েছেন। অভিযুক্ত কবীর হোসেনের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করা হলে তার ফোনটি বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিরাজদিখান থানার এসআই আশরাফুল ইসলামের মুঠোফোনে ফোন করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নি। তবে সিরাজদিখান থানায় উভয় পক্ষের পৃথক দুটি মামলা দায়েরের বিষয়টি পুলিশের সংশ্লিষ্ট সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
মোহাম্মদ রোমান হাওলাদার
মোবা-০১৮৩৩৯৬২১৫১
তারিখ-২৯/০৯/২০২৫ ইং।






















