
কে এম শাকীর, নীলফামারী প্রতিনিধিঃ নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় ঝড়ের কবলে পড়ে প্রায় ৫ শতাধিক পরিবারের ঘর বাড়ী গরু ছাগলসহ ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে,সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে উপজেলার গাড়াগ্রাম ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের বাবুর বাজার থেকে শুরু হয়ে গাড়াগ্রাম বড়বাড়ী,গাড়াগ্রাম হাট এলাকা,বানিয়াপাড়া, চেয়ারম্যান পাড়া,ডিসির মোড়,ডিসির মোড় বানিয়া পাড়াসহ কয়েকটি বিস্তৃত এলাকার বাড়ী ঘর গাছ পালা,জমির ফসল গরু ছাগল হাস মুরগীসহ ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এতে শিশুসহ শতাধিক আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান ঝড়ের তীব্র গতিতে নিমিষেই বাড়ী ঘর তছনছ হয়ে গেছে। এতে বিদ্যুৎতের খুঁটি,মাদ্রাসা,ইন্টারনেট সংযোগের তারসহ ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সর্বস্ব হারিয়ে অনেক পরিবার বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছে। উপজেলা প্রশাসন খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ভাবে পুলিশ,ফায়ার সার্ভিস,মেডিকেল টিম,কৃষি বিভাগ,প্রাণী সম্পদ বিভাগ ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মাঠে কাজ করছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রীতম সাহা তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য কয়েকটি দপ্তরকে নির্দেশ দেন। বিশেষ করে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন শ্রম কল্যাণ পাবলিক পাঠাগার, ভোরের শালিক গ্রন্থাগার ও রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির সদস্যরা বিপদগ্রস্ত পরিবারকে উদ্ধারে দ্রুত কাজ করেন।
ক্ষতিগ্রস্থ অবসরপ্রাপ্ত মৎস্য কর্মকর্তা এনামুল হক (৬২) বলেন,আমার বাড়ীর ৫ টি রুম ভেঙ্গে চুড়মার হয়ে গেছে। আমার ভাতিজা আব্দুল বাকীর ছেলে আহত হয়েছে এবং তার গরু মারা গেছে। তবে মফছারের স্ত্রীর মাথায় আঘাত পেয়ে ২২ টি শেলাই দেয়া হয়েছে।
সর্বঃস্ব হারিয়ে শেরিনা বেগম (৭০) বলেন,বাবা আমরা আজ কোথায় থাকবো ভিটে বাড়ী ছাড়া যে আমার কিছু নাই। বাবা হামার জন্য কিছু করেন।
বিকাল ৩ টায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর উপজেলা আমীর আব্দুর রশীদ শাহ্’র নেতৃত্বে একটি টিম ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন এবং বিকাল ৪ টায় জামায়াত মনোনীত নীলফামারী-৪ আসনের প্রার্থী হাফেজ আব্দুল মুনতাকিম ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বস্ত করেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রীতম সাহা বলেন,আমরা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকল ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য শুকনা খাবারের ব্যবস্থা করার চেষ্টা করছি। স্বাস্থ্য বিভাগ,ত্রান শাখা,বিদ্যুৎ বিভাগ,কৃষি বিভাগ,ফায়ার সার্ভিস,পুলিশ বিভাগ,প্রাণী সম্পদ বিভাগসহ একযোগে কাজ করছি।

















