

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সামনের জাতীয় নির্বাচনে প্রমাণ হয়ে যাবে কার জনপ্রিয়তা বেশি। খালেদা জিয়ার ৬টি জন্মদিন জানা গেছে। যে দলের নেতার ৬টি জন্মদিন, তাদেরকে কি বিশ্বাস করা যায়, প্রশ্ন এই আওয়ামী লীগ নেতার।
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ১৮তম বার্ষিকী উপলক্ষে রোববার (২১ আগস্ট) সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে এক সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
কাদের বলেন, বিএনপি মিথ্যাচার করছে যে, আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা নাকি তলানিতে। এ কয়েকদিন তো আমরা কিছু করিনি। কিন্তু শেখ কামালের মাজারে, বঙ্গমাতার মাজারে, বঙ্গবন্ধুর ৩২ নম্বরে ও টুঙ্গিপাড়ায় জনতার ঢল বিএনপি কি দেখছে না? পল্টন আর প্রেসক্লাবের নির্দিষ্ট জায়গায় সমাবেশ করে আমাদের জনপ্রিয়তা তলানিতে দেখছেন তারা (বিএনপি)। আমি বলব, এই মুহূর্তে বাংলাদেশের ৭৫-পরবর্তীকালের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। এ সত্য শুধু বাংলাদেশ নয়, সারা বিশ্বই স্বীকার করে।
বিএনপি নেতাদের উদ্দেশ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, সামনে নির্বাচন। অপেক্ষা করুন। কে কত জনপ্রিয়, তা প্রমাণ হয়ে যাবে। অপেক্ষা করুন, বাংলাদেশের মানুষ কী চায়, তা প্রমাণ হয়ে যাবে। নির্বাচন দিয়ে তা প্রমাণ করতে হবে।
আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, বিএনপির ১৩ বছরের আন্দোলন দেখলাম। রোজার পর কোরবানি, আবার রোজা- এভাবে কত আন্দোলনের ডাক দিলেন তারা! কিন্তু জনগণ সাড়া দিল না। এর কারণ কী? কারণ হচ্ছে, শেখ হাসিনা জনপ্রিয়। তার সঙ্গে আছেন বাংলাদেশের মানুষ। তার অর্জন ও উন্নয়নে বাংলাদেশের মানুষ খুশি। এ দেশের মানুষের বিবেকের কাছে একটি প্রশ্ন রাখতে চাই, এই দলটি চিরদিন আমাদের শত্রু ভেবে এসেছে। এত উদারতা দেখানোর পরও এই দলটি শেখ হাসিনাকে শত্রু হিসেবে বেছে নিয়েছে। এই দলের নেতারা সত্য কথা বলে না। তারা মিথ্যাবাদী।
খালেদা জিয়ার জন্মদিন বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘একজন মানুষের কয়টা জন্মদিন থাকে। করোনাকালে পাওয়া গেল ষষ্ঠ জন্মদিবস। যে দলের নেতার এত জন্মদিবস, তাকে কি বিশ্বাস করা যায়?’
সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘এবার ভেবেছিলাম খালেদা জিয়া জন্মদিবস পালন করবে না। কিন্তু পরদিন ১৬ তারিখে জন্মদিনের দোয়া মাহফিলের কেক কেটেছেন বিএনপি নেতারা। একজন মানুষের কয়টা জন্মদিবস? সবশেষ করোনা টেস্টে পাওয়া গেল তার ষষ্ঠ জন্মদিবস। এই ভুয়া জন্মদিবসের জবাব দিতে হবে। জনগণকে বলব, যে দলের নেতার এত জন্মদিবস, তাদেরকে কি বিশ্বাস করা যায়, আস্থা রাখা যায়?’