• আজ ৩রা আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
 মির্জা ফখরুলের সাথে বৈঠক করলেন ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূত ফেরেস | ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে ইসরাইলের হামলা, ভিডিও প্রকাশ! | ইরানের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করল পাকিস্তান | সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ পুনর্বিবেচনার সুযোগ আছে: আইন উপদেষ্টা | একেকজনের মৃত্যুতে জেগে উঠবে শত শত বীর: ইরানের প্রেসিডেন্ট | ডেঙ্গু ও করোনা প্রতিরোধে  শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিশেষ নির্দেশনা | বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বাড়ি লক্ষ্য করে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা | ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে হামলাকারী চেয়ারম্যানের কারাগারে ‘আত্মহত্যা’ | ইসরায়েলের হামলাকে ‘বর্বর’ আখ্যা দিয়ে তীব্র সমালোচনা চীনের | ইসরাইলে নতুন করে মিসাইলের বহর ছুঁড়ল ইরান |

চারদিন আগে জ্বর হইছিল, এহন ছেলে কথা কয় না

| নিউজ রুম এডিটর ৫:৫৬ অপরাহ্ণ | জুলাই ২০, ২০২৩ জাতীয়

‘চারদিন আগে জ্বর হইছিল, এহন ছেলে কথা কয় না। আমার ছেলে কথা কয় না কেন? ও কিছুতেই আমাকে ছেড়ে যেতে পারে না’ ৮ বছর বয়সী নিজের মৃত সন্তানকে জড়িয়ে চিৎকার করে কান্না করছিলেন আর কথাগুলো বলছিলেন মা রুপা আক্তার।

বৃহস্পতিবার(২০ জুলাই) বিকেলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) নেওয়ার পথে মৃত্যু হয় শিশু আহনাফের।

পরিবারসূত্রে জানা যায়, চারদিন আগে জ্বরে আক্রান্ত হলে আহনাফকে (৮) লালবাগের চান্দিঘাট শিশু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার ডেঙ্গু পরীক্ষা করানো হলে পজিটিভ আসে। হাসপাতালে ভর্তি ছিল চারদিন। পরে অবস্থার অবনতি হলে বিকেল সোয়া চারটার দিকে তাকে ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশু আহনাফকে মৃত ঘোষণা করেন।

এসময় হাসপাতাল প্রাঙ্গণেই মৃত ছেলেকে জড়িয়ে কাঁদছিলেন আর বিলাপ করছিলেন মা রুপা আক্তার।

কান্নারত রুপা বলেন, ‘চারদিন আগে জ্বর হইছিল, এহন আমার ছেলে তো কথা কয় না। বাবা তুই আমাকে ছেড়ে যেতে পারিস না! ভাই আমার ছেলে কথা কয় না কেন এ কথা বলছিলেন আর বারবার মূর্ছা যাচ্ছিলেন রুপা আক্তার।’

‘আমার ইচ্ছা ছিল ছেলেকে কোরআনের হাফেজ বানানোর, তাই তাকে হেফজখানায় ভর্তিও করেছিলাম। কিন্তু হলো না।’

প্রতিবেশী নাসির বলেন, এত সুন্দর একটি ছেলে সামান্য ডেঙ্গুতে মারা যাবে বিষয়টির ভাবতেই অবাক লাগে। এটি আসলে কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। লালবাগ থানার খাজেদেওয়ান ফার্স্ট লেনে তাদের বাসা।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া বলেন, ডেঙ্গু আক্রান্ত এক শিশুকে মেডিকেলের জরুরি বিভাগে নিয়ে এলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। অভিযোগ না থাকায় মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।