দলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করা প্রায় ২০ জন নেতাকে ক্ষমা করে দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে দলটির কার্যনির্বাহী সংসদের সভা শেষে একথা জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
সভা শেষে গণভবনের মূল ফটকে দাঁড়িয়ে সাংবাদিকদের বৈঠকের বিষয়বস্তু তুলে ধরেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, পাবনায় গত পৌরসভা নির্বাচন উপলক্ষে অনেকেই বিদ্রোহ করেছিলেন, পৌর এবং সদর এলাকার নেতারা। তারা ক্ষমা চেয়ে একটা চিঠি পাঠিয়েছেন; প্রায় ২০ জন নেতা।
তাদের ক্ষমা করে দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। আবার উনি (শেখ হাসিনা) এটাও বলেছেন, যারা দলের ডিসিপ্লিনের (শৃঙ্খলা) বাইরে কাজ করেছেন, বিভিন্ন জায়গায় তাদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক শাস্তির ব্যবস্থা নিতে হবে। তাদের ব্যাপারে ছাড় দেওয়া যাবে না।
বৈঠকে আলোচিত সাংগঠনিক বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরে ওবায়দুল কাদের বলেন, যেখানে যেখানে সাংগঠনিক সমস্যা আছে এবং যেগুলো সমাধান করা দরকার, সেগুলোর ব্যাপারে নির্দেশনা দিয়েছেন দলীয় সভাপতি। কিছু কিছু ছোটখাটো কলহ-বিবাদ আছে, সেগুলোও মীমাংসা করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
নোয়াখালীর রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠকে কোনো আলোচনা হয়নি বলে জানান ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, এ ব্যাপারে এখানে কোনো কথা হয়নি। সাংগঠনিক সম্পাদক স্বপন (আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন) আলাপ-আলোচনা করে একটা কাঠামো তৈরি করেছেন নোয়াখালীর কমিটি নিয়ে। এ ব্যাপারে নেত্রীও অবহিত আছেন। স্বপন এখন দেশের বাইরে আছেন। ফিরে এলে প্রকাশ করা হবে।
আবদুল কাদের মির্জা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দাবি করেছেন, সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে আপনি অব্যাহতি চেয়েছেন- সাংবাদিকরা এ বিষয়ে জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমি কিছুই জানি না।’
জাতীয় সম্মেলন নিয়ে সভায় কোনো কথা হয়েছে কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘এ বিষয় এজেন্ডাতে ছিল না।’
পিএন/জেটএস