• আজ ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

একটি অঞ্চলের মুক্ত দিবস ও সাত বীর যোদ্ধার আআত্মত্যাগ ,

| নিউজ রুম এডিটর ৬:৪৪ অপরাহ্ণ | ডিসেম্বর ৭, ২০২১ সারাদেশ

হাবিব সরোয়ার আজাদঃ সাত শহীদের সমাধীস্থল, ফুলবাড়ি, লেংগুরা শূন্যরেখা(০), কলমাকান্দা, নেত্রকোনা একটি অঞ্চলের মুক্ত দিবস ও সাত বীর যোদ্ধার আকত্মত্যাগ, সেই সাত শহীদের সমাধীস্থল নিয়ে আমার যথ ‘না বলা কথা,৭১’ এর মহান স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের অর্জন অনুসন্ধান করলেই উঠে আসে স্বাধীন বাংলাদেশ কতটা ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছিলো।

দেশের প্রতিটি অঞ্চলেই বীর সন্তানদের রক্তের ছাপ আত্বত্যাগের গৌরবমময় ইতিহাস রয়েছে। তেমনি আজ ৭ ডিসেম্বর নেত্রকোনা জেলার কলমাকান্দা উপেজেলারও মুক্ত দিবসের একটি গৌরবময় ইতিহাস রচিত করে গেছেন সাত বীর শহীদ যেদ্ধা।

১৯৭১ সালের ০৭ ডিসেম্বর এই দিনে কলমাকান্দা পাক-হানাদার মুক্ত হয়। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ২৬ জুলাই নেত্রকোনা জেলার কলমাকান্দা উপজেলার নাজিরপুর নামক স্থানে পাক বাহিনীর সঙ্গে বীর মুক্তিযোদ্ধাগণের দামাল সম্মুখ যুদ্ধ সংগঠিত হয়। সম্মুখ যুদ্ধে বহু পাক বাহিনীর সদস্যরা বীরযোদ্ধাদের প্রতিরোধের মুখে নিহত হয়।

অপরদিকে পাক বাহিনীর বুলেটে ওই দিন একে একে ০৭ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা নেত্রকোনার ডাঃ আব্দুল আজিজ, মোঃ ফজলুল হক , ময়মনসিংহের মুক্তাগাছার মোঃ ইয়ার মাহমুদ , ভবতোষ চন্দ্র দাস, মোঃ নুরুজ্জামান, দ্বিজেন্দ্র চন্দ্র বিশ্বাস ও জামালপুরের জামাল উদ্দিন পাক বাহিনীর বুলেট বিদ্ধ হয়ে শহীদ হন।

০৭ ডিসেম্বর এভাবেই রক্তাক্ষয়ী অর্জনের মধ্যদিয়ে মুক্তিযোদ্ধারা গোটা কলমাকান্দা অঞ্চল পাক বাহিনীকে প্রতিরোধের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করে।

এরপর লাল সবুজের স্বাধীন পতাকা উড়িয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়া সোনার বাংলার মুক্তিকামী বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ কলমাকান্দাকে পাক-হানাদার মুক্ত অঞ্চল ঘোষণা করেন।

এর পর সাত শহীদ বীর সন্তানকে ভারত সীমান্তবর্তী লেংগুরা ইউনিয়নের ফুলবাড়ি নামক স্থানে সমাধিস্ত করা হয়।

এভাবেই টানা নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত হয় গোটা লাল সবুজের পতাো ও স্বাধীন বাংলাদেশ।

আজকের এই দিনে জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, শহীদ জাতীয় চার নেতা এবং সকল প্রয়াত ও জীবিত বীর মুক্তিযোদ্ধাগণকে জানাই বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলী।

নোট: টানা কয়েকবছর সীমান্তজরপদে ঘুরেবেড়ানোর সুবাধে বেশ কয়েকবার সাত মঞীদের সমাধীস্থল আমার যাতায়াত হয়েছে। অনুধাবন করার চেষ্টা করেছি কতটা ত্যাগ আর কত মায়ের বুক খালী হওয়ার পর এই বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। আমার প্রয়াত পিতা ছিলেন আওয়ামী লীগ সংগঠন এবং সহধর্মীনি একজন প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। গেল কয়েকবছর পু্র্বে আমার স্ত্রী শিক্ষক মনোয়রা বেগম, শিশু সন্তান শিহাব সরোয়ার শিপু, কনিষ্ট শিশু কন্যা শিশু তাহমিন সরোয়ার আদ্রিতা, নিকটাত্বীয় চাচা পংকজ সরকার সহ পুরো পরিবারের সদস্যদের নিয়ে গিয়ে শ্রদ্ধাঞ্জলী নিবেদন করেছিলাম সাত বীর শহীদের সমাধীস্থলে।

সেই সময় সার্বিক ভাবে সহযোগিতা করেছিলেন বেসরকারি টেলিভিশন চ্যাণেল ৭১ প্রতিনিধি কলমাকান্দার সিনিয়র সাংবাদিক শামীম ভাই, ছোট ভাই দৈনিক যুগান্তর প্রতিনিধি বিভাস ,সাংবাদিক কাজল, ছোট ভাই এমদাদুল হক সহ অনেকেই।। সেই দূর্গম যাত্রায় কলমাকান্দায় স্পীডবোট রেখে পরবর্তীতে মোটর সাইকেলের বহর নিয়ে সীমান্ত নদীর কূল ঘেষে আমাদেরকে যেতে হয়েছে সমাধীস্থলে।