আজিজুল ইসলাম বারী,লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলায় পাওনা টাকা চাওয়ায় নারীকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলা দায়েরের পর স্ত্রীসহ প্রধান অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) মধ্যরাতে ছয়জনের নামসহ অজ্ঞাত আরও একজনকে আসামি করে আদিতমারী থানায় হত্যা মামলাটি দায়ের করেন নিহত রহিমার ছেলে আব্দুর রহিম।
এর আগে মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে উপজেলার সাপ্টিবাড়ি ইউনিয়নের দুরারকুটি কলোনি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। গ্রেপ্তাররা হলেন-উপজেলার সাপ্টিবাড়ি ইউনিয়নের দুরারকুটি কলোনি এলাকার আব্দুল গণির ছেলে প্রধান অভিযুক্ত সাইফুল ইসলাম (৩০) ও তার স্ত্রী।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, উপজেলার দুরারকুটি কলোনি এলাকার আব্দুল গণির ছেলে সাইফুল ইসলাম (৩০) বাড়ির পাশে একটি গালামালের দোকান করতেন। সেই দোকানে মালামাল কেনার সময় প্রতিবেশী আব্দুল মান্নানের স্ত্রী রহিমা বেগমের কাছ থেকে কিছুদিনের জন্য ৭০ হাজার টাকা ঋণ নেন।
কিন্তু সেই টাকা পরিশোধ করতে দেরি করেন সাইফুল। টাকার জন্য চাপ দিলে উল্টো রহিমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করেন সাইফুল।
পুলিশ সেই মামলার তদন্তে গেলে বিষয়টি জানাজানি হয়।
মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে সাইফুলের দোকানে গিয়ে মামলা করার কারণ ও পাওনা টাকা চাইলে রহিমার ওপর ক্ষিপ্ত হন তিনি। একপর্যায়ে দোকানে থাকা লাঠি দিয়ে রহিমাকে বেধম মারধর করেন সাইফুল।
পরে স্থানীয়রা আশঙ্কাজনক অবস্থায় রহিমাকে উদ্ধার করে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে আদিতমারী থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে লালমনিরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত সাইফুল ও তার স্ত্রীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চালায় পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে আব্দুর রহিম বাদী হয়ে ছয়জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত একজনের বিরুদ্ধে আদিতমারী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। সে মামলায় আটক সাইফুল ও তার স্ত্রীকে গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ।
এ বিষয়ে আদিতমারী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোক্তারুল ইসলাম বলেন, রহিমা হত্যা মামলায় প্রধান অভিযুক্তকে সস্ত্রীক গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদেরও গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’