• আজ ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভোলায় ভাঙা ব্রীজ দিয়ে চলাচলে যানবহন দূর্ভোগে ও শিক্ষার্থীরা মরণফাঁদে

| নিউজ রুম এডিটর ৪:৩৭ অপরাহ্ণ | ফেব্রুয়ারি ৫, ২০২২ সারাদেশ

মোঃ ফরিদুল ইসলামঃ ভোলা সদর উপজেলাধীন ২নং পূর্ব ইলিশা ইউনিয়ন ১নং ওয়ার্ডের পন্ডিত বাড়ি সামনের ব্রীজটি ভেঙে চলাচলে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে ২০ গ্রামের প্রায় ৩০ হাজার জনগণ। ৪ বছর ধরে ব্রীজ ভেঙে পড়ে থাকলেও দেখার যেন কেউ নেই। বিশেষ করে কৃষকের উৎপাদিত ফসল আনা-নেওয়া ও মৌলভীর হাট হোসাইনিয়া ডিগ্রি (ফাযিল) মডেল মাদ্রাসা, গাজীপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ইলিশা ইসলামিয়া মডেল ডিগ্রী কলেজ ও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সহ শিক্ষার্থীদের চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, চর আনন্দ পাঠ ৩ গ্রামের সড়কের ব্রীজ ভাঙা। ভাঙা অংশেয় কয়েকবার মেরামত করা হলোও এখন বর্তমানে খুবই ঝুঁকিপূর্ণ ভাবে রয়েছে। আর সেখান দিয়ে প্রতিনিয়তই ঝুঁকি নিয়ে চলছেন যানবাহন ও শিক্ষার্থীসহ এলাকার সাধারণ মানুষ। যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী জানায়।

ব্রীজ নির্মাণ করে এলাকাবাসী জানায় আনুমানিক ২০০১ সালে কিন্তু প্রায় ৪ বছর ধরে ব্রীজটি ভেঙে গেলেও দেখার যেন কেউ নেই।

স্থানীয় মৎস্য ব্যবসায়ী আবু জাহের, ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সালাউদ্দিন খলিফা, ব্রীজের গোঁড়ায় মুদি ব্যবসায়ী মোঃ সিরাজ, মোঃ জামাল, শাজাহান, কামাল খলিফা সহ আরও অনেকে বলেন এই সড়ক দিয়ে রোদের হাট, জনতা বাজার, ক্লোজার বাজার, আনন্দ বাজার, রাজাপুর বাজার, শান্তির হাট বাজার সহ আরও কয়েকটি এলাকায় এই ব্রীজটি সড়ক রাস্তা দিয়ে স্কুল ছাত্র ছাত্রী ও যানবাহন রপ্তানি হয়। এবং প্রায় ২০ টি গ্রামের জনগণ চলাচল করে। এছাড়া মৌলভীর হাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বেসরকারি স্কুল ও কলেজে শিক্ষার্থীরা এই সড়ক দিয়ে যেতে হয়। ব্রীজ ভেঙে যাওয়ায় এলাকাবাসী দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন কেননা যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কাজনক বলেন এলাকাবাসী।

এসময় মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজ ছাত্র ছাত্রীরা জানান মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ যেভাবে উন্নয়ন করে আসছে তার কোন তুলনা হয় না। সেই সুবাদে আকুল আবেদন করেন বিদ্যালয়, কলেজে যাওয়া আসার সময় ব্রিজ দিয়ে পার খুবই আতঙ্ক থাকতে হয় আমাদের এই ব্রীজটি যে দ্রুত ভাবে নির্মাণ করা হয় এই দাবি করেন শিক্ষার্থীরা