• আজ ৩০শে শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
 নির্বাচনকালীন সরকারে থাকছেন না আসিফ মাহমুদ | যুক্তরাষ্ট্র যাচ্ছেন মোদি, ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে জোর চেষ্টা | ভোলাগঞ্জের সাদা পাথর কোথায় গেল? | ‘আজকাল মানুষ অন্যায়ের প্রতিরোধ না করে ভিডিও করতে ব্যস্ত থাকে’ | সাংবাদিক তুহিন হত্যায় জড়িতদের বিচারের আওতায় আনা হয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা | ‘জিরো ট্যাক্স রিটার্ন’ দাখিল আইনত দণ্ডনীয়, এনবিআরের সতর্কতা | নির্বাচন ঘিরে প্রধান উপদেষ্টার নতুন নির্দেশনা | সাংবাদিক হত্যায় সিসিটিভির ফুটেজ দেখে স্বামী-স্ত্রীসহ গ্রেফতার ৫ | হলে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করা হলো: ঢাবি উপাচার্য   | চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানে শুধুমাত্র রাজধানীতেই গ্রেফতার ৫ হাজার! |

বাবা-ছেলে-মেয়ে-নাতি একসঙ্গে এইচএসসি পাস!

| নিউজ রুম এডিটর ৭:৪৯ অপরাহ্ণ | ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২২ শিক্ষাঙ্গন

২০২১ সালের উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে আজ রবিবার। এবারের প্রকাশিত ফলাফলে খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাঙ্গা উপজেলার তাইন্দং ইউনিয়নের একটি পরিবার নজর কেড়েছে সারাদেশের মানুষের। সেখানে বাবা-ছেলে-মেয়ে ও নাতি একসঙ্গে এইচএসসি পাস করেছেন!

জানা গেছে, ৫০ বছর বয়সে উচ্চ মাধ্যমিক (আলিম) পাস করেছেন তাইন্দং ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. সিরাজুল ইসলাম। শুধু তাই নয় তার ছোট মেয়ে, একমাত্র ছেলে এবং বড় মেয়ের ঘরের নাতিও পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন এবার। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাদের শুভেচ্ছায় সিক্ত করছেন স্থানীয়রা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সিরাজুল ইসলামের ছয় মেয়ে এক ছেলে। এবার পরীক্ষায় ছোট মেয়ে মাহমুদা সিরাজ খাগড়াছড়ি সরকারি কলেজ থেকে মানবিক বিভাগ থেকে জিপিএ ৪.১৭ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন। একমাত্র ছেলে হাফেজ নেসার উদ্দিন আহম্মেদ চট্টগ্রাম বাইতুশ শরফ কামিল মাদ্রাসা থেকে জিপিএ ৪.০০ পেয়েছেন। সিরাজুল ইসলামের বড় মেয়ের ঘরের নাতি নাজমুল হাসান খাগড়াছড়ি সরকারি কলেজ থেকে মানবিক বিভাগে জিপিএ ৪.৬৭ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন। আর সিরাজুল ইসলাম খাগড়াছড়ি ইসলামিয়া সিনিয়র আলিম মাদ্রাসা থেকে জিপিএ ২.১৪ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন।

চমক দেখিয়ে এ বয়সে কেন পরীক্ষা দিলেন এমন প্রশ্নের জবাবে সিরাজুল গণমাধ্যমকে বলেন, ‘দোলনা থেকে কবর পর্যন্ত শিক্ষার কিন্তু শেষ নেই। আমার আগ্রহ ছিল বটেই, আমাকে দেখে অন্যরাও উৎসাহ পাবে এ ভাবনা থেকে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছি।’ উল্লেখ্য, পেশায় ব্যবসায়ী সিরাজুল ইসলাম ১৯৯২ থেকে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত মাটিরাঙ্গার তাইন্দং ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য ছিলেন। পরবর্তীতে ২০০৩ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।