মোঃ ফরিদুল ইসলামঃ ভোলায় সদর উপজেলার ধনিয়া ইউনিয়ন ২নং ওয়ার্ড বাসিন্দা মুরগি ব্যবসায়ী মোঃ ইসমাইলকে পাশুপাতি ওয়ার্ডের আবদুল হাই ওরফে আবি আব্দুল্লাহ ও তার বড় ভাই ভূমি অফিসের দালাল কালিমুল্লাহ সহ ভোলা পৌরসভার কিচেন মার্কেটের ২২৮ নং কক্ষটি স্বাক্ষর জাল করে এবং ইসমাইলের ব্লান্ক চেকে ৮ লাখ টাকা লিখে স্বাক্ষর জাল করে দাবি করে আসছে বলে অভিযোগ করেন উঠেছে।
এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী মুরগি ব্যবসায়ী ইসমাইল লিখিত অভিযোগ করেন ২৭/১/২০২২ইং তারিখে ভোলা পৌরসভার থেকে কিচেন মার্কেটে একটি দোকান খরিদ করেন তার বাবা নাছির আহমেদ ৮ লাখ ৫৫ হাজার টাকা দিয়ে। তাদের বাড়ির পাশুপাতই মুদি ব্যবসায়ী আবি আব্দুল্লাহ ওরফে আব্দুল হাই ও তার বড় ভাই কালিমুল্লাহ সহ আল আরাফা ইসলামী ব্যাংকের চেকের স্বাক্ষর ও ৩৫০ টাকার স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর জাল করে এবং ইসমাইলকে প্রতারণার ফাঁদে ফেলিয়ে দোকান হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটে বলে জানান।
এ ব্যাপারে ১৪/২/২০২২ইং তারিখে সরজমিনে গিয়ে দেখা শোনা যায় কালিমুল্লাহ, আবি আব্দুল্লাহ এমন ঘটনা শুধু মুরগী ব্যবসায়ী ইসমাইলের সাথে ঘটে নাই এমন অসংখ্য অভিযোগ এদের বিরুদ্ধে পাওয়া গেছে। ভোলার লালমোহন উপজেলার দলিলপত্র জাল-জালিয়াতি করে আদালতে মিথ্যা মামলা দিয়ে সাধারণ মানুষকে হয়রানি করে আসছে। এবং পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়ন, ভেদুরিয়া, ভেলুমিয়া সহ আরও কয়েকটি ইউনিয়নের মানুষের সাথে, ভূমি অফিসের দালাল সেজে সাধারণ মানুষের জমি হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
আবি আব্দুল্লাহ ও তার ভাই কালিমুল্লার গল্প এখানেই শেষ নয়, ধনিয়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের ফারুক (৫৫) হাওলাদারের বসতি বাড়ি ও বাগানের ১ একর ১৬ শতাংশ জমির কাগজ জালিয়াতি করে জজ আদালতে মামলা করেন ভূমিদস্যু কালিমুল্লাহ বাদী হয়ে যার নং ১৪১/২০১৮ সালে আদালতে কালিমুল্লাহ কোন কাগজপত্র উপস্থাপন করতে পারছেন না বলে ভুক্তভোগী বলেন তারা এভাবে প্রতিনিয়ত হয়রানি হয়ে আসছে বলে জানান। তিনি আরও বলেন এই মুরগি ব্যবসায়ী ইসমাইল ও তার বাবা নাসির আহমেদের সাথে প্রতারণা করে তাদের শেষ সম্পর্কও ছিনিয়ে ও জাল-জালিয়াতি করে নিয়ে যাই। এরা বিভিন্ন জায়গায় এভাবে মানুষকে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে আদালতের বারান্দায় যেতে হয় এবং তাদের করা মিথ্যা মামলার হাজিরা দিতে হয়। শুধু তাই নয় এখন আবার আবি আব্দুল্লাহ ও তার বড় ভাই কালিমুল্লাহ সহ আবারো জাল-জালিয়াতি করে ইসরাইলের বিরুদ্ধে দুই দুইবার উকিল নোটিশ করেন ৭ লাখ টাকা দাবি করে। কিসের ভিত্তিতে কোন ডকুমেন্টস দেখিয়ে এই নোটিশ করা হয়েছে তা মহামান্য আদালতের কাছে আমরা এলাকাবাসী জোর দাবী করছি এগুলো সঠিকভাবে তদন্ত করে অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হোক।
এই ঘটনার লিখিত অভিযোগ ও ভিডিও বক্তব্যসহ দীর্ঘদিন ধরে আমরা তথ্য সংগ্রহ করতে থাকি। আব্দুল্লাহ ও তার বড় ভাই কালিমুল্লাহ সহ তাদের অনেকের বিরুদ্ধে প্রতারণা, জাল-জালিয়াতি, অন্যের জমি দখল, স্বাক্ষর জাল করে টাকা আদায়, তাদের মূল উদ্দেশ্য হলো ঘরে ঘরে সুদের উপর স্ট্যাম্পে মাধ্যমে টাকা লেনদেন করে মানুষকে প্রতারণার ফাঁদে ফালানো সহ বিভিন্ন ধরনের অনিয়ম চালিয়ে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। এবং তাদের গল্প শুধু এখানেই শেষ নয় তারা এই ধরনের ব্যবসা চালিয়ে আঙ্গুর ফলে কলাগাছ, আলিশান বাড়ি ও কোটি টাকার মালিক সেই তথ্যও উঠিয়ে এসেছে আমাদের হাতে।
এ ব্যাপারে মুরগির ব্যবসা ইসমাইল বলেন আমাকে ৮ লাখ টাকার ভুয়া স্ট্যাম্প দেখায় আমাকে জীবন নাশের হুমকি, মিথ্যা মামলা দিয়ে আজীবন জেল খাটাবে। এই ভয়-ভীতি দেখিয়ে আমার থেকে কিচেন মার্কেটের ২২৮ নং কক্ষটি এরা কাগজপত্র এবং স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নিয়ে যায়। এর দুই তিন মাস পরে তারা আবার অজিউল্লাহকে দিয়ে ৭ লাখ টাক পাবে বলে আমাকে উকিল নোটিশ করেন। প্রথম নোটিশের তারিখ ২৫/১১/২০২১। দ্বিতীয় নোটিশ ১৮/১/২০২২ইং তারিখ নোটিশে উল্লেখ করেছে ভোলা কাঁচাবাজার রোডস্হ প্লাজা মার্কেটের মেসার্স আব্দুল্লাহ স্টোরে, ৭ লাখ টাকা পাবে ইসমাইলের কাছে। সেখানে উল্লেখ করেছে খামারের মুরগীর অর্থ্যৎ টাকা নেওয়ার পরবর্তী ৬ মাসের মধ্যে আপনি আমার মক্কেলের টাকা সঠিকভাবে পরিশোধ করবেন। কিন্তু সুদৃশ্য সময় অবহিত হওয়ার পরও আপনি আমার মোয়াক্কেলেরপাওনা টাকা পরিশোধ করেন নাই। মুরগি ব্যবসায়ী ইসমাইল বলেন কিসের টাকা এবং কখন কোন সময় আমাকে দিয়েছে সেটা এই টাকার প্রমান ও সাক্ষী ও ডকুমেন্ট দেখে মহামান্য আদালতের কাছে আমি বিচার চাই। ইসমাইল আরও বলেন আমার স্বাক্ষর, স্ট্যাম্প ও চেকে জাল করে আমার সাথে এই প্রতারণা করেছে এর বিরুদ্ধে আমি বাদী হয়ে মামলা করব আদালতে।
এমন অসংখ্য অগণিত এলাকায় এদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে এবং গরীব অসহায় মানুষের বসতভিটা জালিয়াতি করে তারা ভোগ দখলে যাওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত আবি আব্দুল্লাহ সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে তার বড় ভাই কালিমুল্লাহ সাথে যোগাযোগ করার কথা বলেন। আমরা আবার কালিমুল্লাহ সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করে এই বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি নিজে সাধু সেজে তার ছোট ভাই আবি আব্দুল্লাহ এগুলো করেছে বলে জানান। এবং তার ভাইকে তিনি ভালো হয়ে যাওয়ার জন্য কয়েকবার বারণ করা হয়েছে এবং অসহায় মানুষের সাথে এধরনের কাজ থেকে দূরে থাকার জন্য আহ্বান করেছেন বলে জানিয়েছেন কালিমুল্লাহ।
কালিমুল্লাহ ও তার ভাই আবি আব্দুল্লাহ ওরফে আব্দুল হাইয়ের উপযুক্ত বিচার চাই পুরো এলাকাবাসি এবং সেই সাথে প্রশাসনের সঠিক তদন্ত করে এদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবি করেছেন।