• আজ ২৬শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
 ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের প্রস্তুতি শেষ করার নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার | কুড়িগ্রামে তিস্তায় নিখোঁজের একদিন পর শিশুর মরদেহ উদ্ধার | বাংলাদেশের ওপর ভারতের অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্ব নির্ভরশীল: নাহিদ ইসলাম | ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দ্বিতীয় দফায় বৈঠকে ট্রাম্প-নেতানিয়াহু | চট্টগ্রামে প্রথম দুই ব্যক্তির শরীরে জিকা ভাইরাস শনাক্ত | তাজিয়া মিছিলে হাজারো মানুষ, সতর্ক অবস্থানে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী | আজ ১০ই মহররম, পবিত্র আশুরা | নতুন বাংলাদেশে মাফিয়াতন্ত্রের সরকার গড়তে দেওয়া হবে না: নাহিদ ইসলাম  | শুধু ক্ষমতা পরিবর্তনের জন্য জুলাই আন্দোলন হয়নি: নাহিদ ইসলাম | কুমিল্লায় ধর্ষণের শিকার নারীকে নিরাপত্তা ও চিকিৎসার নির্দেশ |

ভোলার মেঘনার মোহনা বন্ধ করে দেওয়ায় স্রোতহীন বেতুয়া নদী

| নিউজ রুম এডিটর ২:২৩ অপরাহ্ণ | ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২২ সারাদেশ

মোঃ ফরিদুল ইসলামঃ শুকিয়ে যাওয়া বেতুয়া নদী দ্বীপজেলা ভোলার লালমোহনের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত খরস্রোতা বেতুয়া নদী এখন মরা খালে পরিণত হয়েছে। এ খালটি নিয়ে ভোলাবাসীর অনেক স্মৃতিবিজড়িত ইতিহাস রয়েছে। বেতুয়া নদীর একাংশের পানি সম্পূর্ণ শুকিয়ে ফেটে চৌচির হয়ে যাচ্ছে।

এতে বেতুয়ার দু’কুলের বসবাসরত হাজারো কৃষকদের পোহাতে হচ্ছে দুর্ভোগ। জানা গেছে, বেতুয়ার পানি সেচের মাধ্যমে কৃষকেরা এ শুষ্ক মৌসুমে ইরি ও বোরো ধান চাষ করত। কিন্তু পানি শুকিয়ে যাওয়ায় কৃষকেরা ধান চাষ করতে পারছেন না।

এ মৌসুমে ভোলার দক্ষিণাঞ্চলের ইরি ও বোরো ধান দেশের অধিকাংশ খাদ্য চাহিদা মেটানোর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখত। কিন্তু খাল শুকিয়ে যাওয়ার কারণে সেই চাহিদা মেটানো অনেকটা কমে গেছে।

স্থানীয়রা জানান, বেতুয়া নদী যেন ভোলা দ্বীপের বর্তমান রূপকথা। আগে মেঘনা আর পশ্চিমে তেঁতুলিয়া নদীর মাঝে খবরাখবর আদান প্রদান করা, সংযোগ স্থাপনকারী বেতুয়া নদী এখন মরা খালে পরিণত হয়েছে।

এক সময়ের খরস্রোতা এ নদীর বুকে ফসল ফলায় গড়ে উঠেছে বসতি। কিন্তু নতুন প্রজন্মের কাছে বেতুয়া নদী এখন রূপকথার গল্পের মত। অনেকেই ভুলে গেছে বেতুয়া নদীর নাম। ১৯৪০ সালে মেঘনার মোহনা বন্ধ করে দেওয়ার কারণে স্রোতহীন হয়ে পড়ে বেতুয়া নদী। আস্তে আস্তে নদীটি মরে যায়।

এ অঞ্চলের মানুষজনের ধারণা, খরস্রোতা মেঘনা নদী থেকেই বেতুয়া নদীর সৃষ্টি হয়েছে। লালমোহন উপজেলার দক্ষিণ ও চরফ্যাশন উপজেলার উত্তর সীমান্তবর্তী স্থলে বেতুয়া নদী প্রবাহিত হয়েছিল। কিছু স্থানে এখনো বেতুয়া নদীর অস্তিত্ব বিদ্যমান রয়েছে। যা বেতুয়া খাল নামে পরিচিত। উপজেলার রমাগঞ্জ, জিএম বাজার, অন্নদা প্রাসাদ গ্রামসহ কয়েকটি স্থানে এখনো বেতুয়ার সরু খাল রয়েছে। যা একসময় প্রশস্ত ছিল।

রমাগঞ্জ ইউনিয়নের বাসিন্দারা বলেন, বেতুয়া দিয়ে যখন জোয়ার ভাটার পানি আসত তখন ফসল উৎপাদনের জন্য ওই নদীর পানি সেচ দেওয়া হতো। এখন নদীটি মরে যাওয়ায় ইরি-বোরো ধান চাষ করা বন্ধ করে দিছি। সরকার যদি নদীটি খনন করে দেয় তাহলে আমরা আবার ধান চাষ করতে পারব। তাই বেতুয়া নদীর যেটুকু অস্তিত্ব আছে তা খনন করে দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।

এ বিষয়ে লালমোহন পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী আব্দুল মোমেন বলেন, আমরা বেতুয়ার খাল (সাবেক নদী) খননের ব্যাপারে অবগত আছি। খালটি সরকারের উন্নয়নমূলক প্রজেক্ট হিসেবে ধরা আছে। একনেকে পাস হলে কাজ শুরু করা হবে।