বরিশাল প্রতিনিধি: বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মলিনা মন্ডলের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক সংবর্ধনা আদায় ও চাঁদাবাজীর অভিযোগ পাওয়া গেছে। সম্প্রতি বরিশাল জেনারেল হাসপাতালের দেড় শতাধিক নার্সের কাছ থেকে জোরপূর্বক এমন সংবর্ধনা করা হয়েছে।
এখানকার কর্মরত নার্সদের অভিযোগ, দুই বছর আগে মলিনা মন্ডল বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক পদে পদন্নোতি পেয়েছেন। কিন্তু দুই বছর পরে মলিনা মন্ডল জোরপূর্বক সংবর্ধনা আদায় ও চাদাবাজী করেছে। আর এসব চাদাবাজীর কাজে সহযোগিতা করেছে বরিশাল জেনারেল হাসপাতালের ডেপুটি নার্সিং সুপারিন্টেন্ডেন্ট (ভারপ্রাপ্ত) মাজেদা আক্তার। মলিনা মন্ডল ও মাজেদা আক্তার যোগসাজশে এমন চাঁদাবাজী করেছে।
জানা গেছে, বরিশাল জেনারেল হাসপাতালে ১৭৪ জন নার্সের কাছ থেকে সম্প্রতি সংবর্ধনার নামে ১৭৪০০ টাকা চাদা উত্তোলন করা হয়। এমনকি করোনা মহামারির মধ্যেও স্বাস্থ্যবিধি ভঙ্গ করে এমন সংবর্ধনা দেওয়া হয়। বরিশাল জেনারেল হাসপাতালের নার্সিং সুপারিন্টেন্ডেন্ট মজিদা মাজেদ বলেন, ‘কারও কাছ থেকে চাদাবাজী করা হয়নি। তবে নার্সদের কাছ থেকে চা-নাশতার খরচ নেওয়া হয়েছে। তাছাড়া করোনা প্রাদুর্ভাব হ্রাস পাওয়ার কারনে অনেক দিন পরে আমরা একসাথে মিলিত হওয়ার জন্য এরকম সংবর্ধনার আয়োজন করেছি’।
এদিকে বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মলিনা মন্ডল এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমি জানতাম না, আমাকে সংবর্ধনা দেওয়া হবে। তাছাড়া এখন মোটামুটি করোনা নেই। সে হিসেবে এরকম সংবর্ধনা দেওয়া বা নেওয়া অন্যায় নয়। সহকারী পরিচালক মলিনা মন্ডল বলেন, চাঁদাবাজীর টাকায় সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে কিনা সেটাও আমার জানা নেই’। অন্যদিকে বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য কার্যালয়ের পরিচালক হুমায়ন কবীর শাহিন খান বলেন, “স্বাস্থ্যবিধি মেনে সংবর্ধনা দেওয়া বা নেওয়া যেতে পারে। কিন্তু সংবর্ধনার নামে চাঁদাবাজী করলে সেক্ষেত্রে ব্যবস্থা নেওয়া হবে”।