• আজ ৭ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
 সংসদের আসন বাড়িয়ে ৬০০ করার সুপারিশ | মানবিক বাংলাদেশ গড়ার হাতিয়ার শিক্ষার্থীরা; সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিএনপি নেতা আমিনুল হক | বাংলাদেশকে তাবেদারী রাষ্ট্র হিসাবে মনে করতো ভারত –রুহুল কবির রিজভী | রেলপথ ব্লকেড কর্মসূচি শিথিল, ১১টায় বৈঠক | সুনামগঞ্জের মধ্যনগরে মামলার ভয়ে যুবককের আত্নহত্যা! | যে যাই বলুক, জুনের পরে নির্বাচন যাবে না: আসিফ নজরুল | মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী আবদুল্লাহ মারা গেছেন | ফ্যাসিস্টরা নববর্ষকে দলীয় হাতিয়ারে পরিণত করেছিল: নাহিদ | দেশ থেকে অশুভ দূর হয়েছে, যতটুকু আছে তাও চলে যাবে: প্রেস সচিব | ড: ইউনূস পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকবেন কীভাবে, প্রশ্ন মান্নার |

কোচ হওয়ার সিদ্ধান্ত স্থগিত রেখে যুদ্ধে যাবেন সাবেক ফুটবলার

| নিউজ রুম এডিটর ৯:০৮ অপরাহ্ণ | ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২২ আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, লিড নিউজ

ওলেহ লুঝনি, এই ইউক্রেনিয়ান ফুটবলার ১৯৯৯-২০০৩ সাল পর্যন্ত খেলেছেন ইংলিশ ক্লাব আর্সেনালে। সেখানে স্বাদ পেয়েছেন লিগ শিরোপা ও এফ এ কাপ জয়ের। খেলোয়াড়ি জীবনের শেষে বেছে নিয়েছেন কোচিং পেশা। এই ইউক্রেনিয়ান ২০১৯ এ ছেড়েছেন স্বদেশী ক্লাব ডায়নামো কিয়েভের সহকারী কোচের পদ। নতুন করে কোচ ভাগ্য যাচাইয়ের জন্য তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ইংল্যান্ডে পাড়ি দেওয়ার। কিন্তু রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা চালানোর পার তিনি কোচ হওয়ার আশাটা আপাতত মুলতবি রেখে যোগ দিচ্ছেন রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে।

সোভিয়েত ইউনিয়নের হয়ে ৮ ম্যাচেই ক্যারিয়ার থেমে যায় ওলেহ লুঝনির। তাতে তার মন খারাপ হওয়ার চেয়ে আনন্দই হয়েছিল বেশি। কারণ স্বাধীনতা লাভ করেছিল তার দেশ ইউক্রেন। ইউক্রেন জাতীয় দলের হয়ে আরো ৫২ বার মাঠে নামার সৌভাগ্য হয়েছিল লুঝনির। এর মধ্যে ৩৭ ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়েছেন দলকে। ডায়নামো কিয়েভের হয়ে ৮ বার সোভিয়েত লিগ জয়ী লুঝনির দুর্দান্ত পারফরম্যান্স বজায় ছিলো ১৯৯১ সালে ইউক্রেন স্বাধীন হওয়ার পরেও। ১৯৯৯ সালে আর্সেন ওয়েঙ্গার তাকে নিয়ে আসেন আর্সেনালে। ‘দ্য ইনভিন্সিবল’ টিমের হয়ে একবার লিগ জয়ের সৌভাগ্য হয় তার।

কোচিং ক্যারিয়ারে তিনি ফিরে আসেন ইউক্রেনে। দুদফায় পালন করেন ডায়নামো কিয়েভের সহকারী কোচের দায়িত্ব।

‘পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর’ বলছেন লুঝনি। তাই নিজের কোচিং ক্যারিয়ার স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ইংল্যান্ডে ফের ক্যারিয়ার শুরু করার অপেক্ষায় থাকা এই ইউক্রেনিয়ান ডিফেন্ডার। লুঝনি এখন খেলার চেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন দেশোদ্ধারকে। তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যুদ্ধে যোগ দেওয়ার। লুঝনি বলছেন, ‘আমি কোচ হতে ইংল্যান্ডে যাওয়ার কথা ভাবছিলাম কিন্তু সবকিছুর আগে আমি দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হয়ে লড়বো আমার মানুষ, আমার দেশ ও আমার গণতন্ত্রকে রক্ষা করতে।’

লুঝনি আবেগ তাড়িত গলায় আরো বলেন, ‘আমরা আশা করি দ্রুত এসব বন্ধ হবে। নিষ্পাপ জীবন নষ্ট হচ্ছে, অনেক পরিবার ছিন্নবিচ্ছিন হয়ে গেছে।একটি দেশে কীসের জন্য এই আক্রমণ ও ধ্বংসসাধন? আমাদের সকলের ঐক্যবদ্ধ হয়ে রুখে দাঁড়াতে হবে এবং এই অন্যায় যুদ্ধ থামাতে হবে।’