আবুল কাশেম রুমন,সিলেট: সিলেটে জীবন বীমার আঞ্চলিক অফিসে থেকে ৩০ কোটি ৬২ লাখ টাকা নিয়ে উধাও হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ কান্ড ঘটিয়েছে প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা আব্দুল লতিফ চৌধুরী ও গিয়াস উদ্দিনের নেতৃত্বে চক্রটি । বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় চক্রটির বিরুদ্ধে এ পর্যন্ত ২৯টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সর্বশেষ ২২ মার্চ (মঙ্গলবার) জীবন বীমার সিলেটের আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক গিয়াস উদ্দিনসহ ৬ কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, সিলেট আঞ্চলিক অফিসে কর্মরত থেকে উচ্চমান সহকারী ওয়াহিদুর রহমান মজুমদার ২২টি পলিসির মাধ্যমে ৮৮ হাজার ১০৯ টাকা, ওয়াহিদুর রহমান মজুমদার ও দেলোয়ার হোসেন মিলে ১টি পলিসির ৩ হাজার ৪৪৫ টাকা, ওয়াহিদুর রহমান মজুমদার ও জাবেদুল ইসলাম মিলে ১টি পলিসির ৩ হাজার ৬০ টাকা, দেলোয়ার হোসেন ৩টি পলিসির ৪৯ হাজার ৭২ টাকা, ম্যানেজার গিয়াস উদ্দিন ১৩০ পলিসির ১৫ লাখ ৫০ হাজার ৫০১ টাকা, আমিরুল ইসলাম ৮টি পলিসির ৯৯ হাজার ৩৩৮ টাকা ও ফিরোজ আলম মিলে ২টি পলিসির ৮ হাজার ৪৫৪ টাকা আত্মসাৎ করেন। এছাড়াও, কর্মকর্তা আব্দুল লতিফ চৌধুরী ও ওয়াহিদুর রহমান মজুমদার মিলে ৫৭০টি পলিসির ১ কোটি ২১ লাখ ১৭ হাজার ৮৪৯ টাকা, আব্দুল লতিফ চৌধুরী ও দেলোয়ার হোসেন মিলে ৬১টি পলিসির ৫ লাখ ৮১ হাজার ৫১৪ টাকা, আব্দুল লতিফ চৌধুরী ও আমিরুল ইসলাম মিলে ১টি পলিসির ৬ হাজার ৬০০ টাকা এবং আব্দুল লতিফ চৌধুরী ও নুরুল ইসলাম ২টি পলিসির ৪৭ হাজার ১৫৫ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। দুদকের প্রধান কার্যালয়ের মানি লন্ডারিং ই/আর নং-৪২/২০২০ এর অভিযোগ বিষয়ে দুদকের সহকারী পরিচালক মো. আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে ৩ সদস্য বিশিষ্ট টিম অনুসন্ধান করে। দুদকের দীর্ঘ অনুসন্ধানে এই টাকা আত্মসাতের পুরো কাহিনী ধরা পড়ে। প্রাথমিক তদন্তে সত্যতা নিশ্চিতের পর ২২মার্চ (মঙ্গলবার) জীবন বীমার সিলেট আঞ্চলিক অফিসের ম্যানেজার গিয়াস উদ্দিনসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধি আইনের৪০৯/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯ তৎসহ ১৯৪৭ সনের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় মামলাটি দায়ের করা হয়।