• আজ ২রা কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
 ভূমিকম্পে কাঁপল ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থান | লালমনিরহাটে ৬ প্রতিষ্ঠানে কেউ পাস করেনি | মামলা-গ্রেফতার থেকে দায়মুক্তির প্রশ্ন আসছে কেন, কারা পাবেন? | দুর্গাপূজা উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির শুভেচ্ছা বিনিময় আজ | অন্তর্বর্তী সরকারকে কড়া হুঁশিয়ারি দিলেন সমন্বয়ক সারজিস | সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করার সুপারিশ মন্ত্রণালয়ে | ছাত্র আন্দোলনে শহীদদের নামে  মিনি স্টেডিয়াম করা হবে: ক্রিয়া উপদেষ্টা  আসিফ মাহমুদ  | রাজপথে পরাজিত হয়ে এখন অনলাইনে শক্তি দেখাচ্ছে : তথ্য উপদেষ্টা | মালয়েশিয়ার বিমানবন্দরে আটক আজহারী, ফেরত পাঠাতে পারে দেশে | উপরের নির্দেশে সব করেছেন, দাবি ডিবি হারুনের |

কিশোরগঞ্জে বদলী ও অবসরে যাওয়া শিক্ষকদের শ্রান্তি বিনোদন

| নিউজ রুম এডিটর ৯:৫৬ অপরাহ্ণ | মে ১, ২০২২ কিশোরগঞ্জ, সারাদেশ

খাদেমুল মোরসালিন শাকীর, নীলফামারী প্রতিনিধি :
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার অনিয়মকে নিয়ম করে বদলী ও অবসরে যাওয়া শিক্ষকদের শ্রান্তি বিনোদন ভাতা মঞ্জুর করেছেন। এ নিয়ে গোটা উপজেলার অপেক্ষমান শিক্ষকদের বাদ দিয়ে তালিকা করায় শিক্ষকরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। হৈ চৈ শুরু হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা দপ্তরের সূত্রে জানা গেছে,গত ২৪ এপ্রিল’ ২০২২ তারিখে কিশোরগঞ্জ প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার (চলতি দায়িত্ব) শরিফা আখতার স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে ৯২ জন শিক্ষকের শ্রান্তি বিনোদন ভাতা মঞ্জুর করা হয়। যার স্বারক নং উশিঅ/কিশোর/নীল/১৬১।

ওই আদেশে ৫ জন বদলী হয়ে যাওয়া শিক্ষক ও অবসরে ১জন শিক্ষকের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়। বদলী হয়ে যাওয়া শিক্ষকরা হলেন, যথাক্রমে উত্তর বড়ভিটা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মমতাজ, গাড়াগ্রাম ধাইজানপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সাধনা সরকার, খিলালগঞ্জ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রুজিনা বেগম, বাফলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিঘাত পারভিন, কালিকাপুর শালডাঙ্গা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আসমা বেগম ও অবসরে যাওয়া সহকারী শিক্ষক গৌরী চক্রবর্তী। তাদের ওই ভাতা প্রদান সম্পুর্ণ নিয়ম পরিপন্থি।

অপেক্ষমান শিক্ষকরা শ্রান্তি বিনোদন ভাতার তালিকা থেকে বাদ পরে যান। এতে ক্ষোভে ফেটে পড়েন শিক্ষকরা। এ নিয়ে শিক্ষকদের বিভিন্ন ম্যাসেঞ্জার গ্রæপে পক্ষে-বিপক্ষে লেখালেখি হয়। শিক্ষকদের ক্ষোভের বিষয় জানতে পেরে কর্তৃপক্ষ এখন ওই আদেশকে খসড়া আদেশ বলে প্রচারণা চালাচ্ছেন। ৩ পৃষ্ঠার আদেশটির প্রতিটি পৃষ্ঠায় উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শরিফা আখতারের সীল ও স্বাক্ষর রয়েছে। তারিখ ও স্বারক নম্বরও দেয়া আছে।

এ ব্যাপারে কিশোরগঞ্জ প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার (চ.দা) শরিফা আখতারের সাথে কথা হলে তিনি বলেন কাজ করতে গিয়ে ভূল ভ্রান্তি হতে পারে। ভুলক্রমে ওই তালিকায় স্বাক্ষর করা হয়েছে এবং সেই তালিকা খসড়া করা হয়েছে। খসড়া তালিকায় কর্মকর্তারা স্বাক্ষর করতে পারেন কি না? জানতে চাইলে তিনি বলেন ভুল করে হয়ে গেছে। আমরা ওই তালিকা বাতিল করেছি এবং উপজেলা হিসাব রক্ষণ অফিসেও সেই তালিকা পাঠাইনি। অফিস খুললে সেই তালিকা সংশোধন করে আবার পাঠানো হবে।