মুহাম্মাদ তসলিম উদ্দিন রুবেল: গণ কমিশন তারা গণ দুশমন। তারা এদেশের ইসলামপ্রিয়, দেশপ্রেমিক ও শান্তিপ্রিয় উলামায়ে কেরামের বিরুদ্ধে দুদকে শ্বেতপত্র জমা দিয়ে এদেশের সকল শান্তিকামী মানুষের বিরুদ্ধে দুশমনি ঘোষণা করেছে।
এই তথাকথিত গণ কমিশন ইসলাম বিদ্বেষী। যারা ইসলাম চর্চা করে ও প্রচার-প্রসার করে তাদেরকে সহ্য করতে পারে না এই ইসলাম বিদ্বেষী গোষ্ঠী এরই বহিরপ্রকাশ এই শ্বেতপত্র। আলেম ও উলামাদের বিরুদ্ধে তাদের এই গর্বিত কাজ ও কর্মকান্ডকে চরমভাবে ঘৃণা ও প্রত্যাখ্যান করেছেন এদেশের শান্তিপ্রিয় জনগণ।
আজ শুক্রবার (২০ মে) পুরানা পল্টনস্থ আইএবি মিলনায়তনে ইসলামী যুব আন্দোলন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আয়োজিত ঈদ পূর্ণমিলনী অনুষ্ঠানে ইসলামী যুব আন্দোলন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি আলহাজ্ব মুহাম্মাদ শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মুহাম্মাদ আল-আমিন সোহাগের সঞ্চালনায় ইসলামী যুব আন্দোলন এর কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা মুহাম্মাদ নেছার উদ্দিন এই সব কথা বলেন।
নেছার উদ্দিন আরও বলেন, ওয়াজ মাহফিল দেশের হাজার বছরের সংস্কৃতি। ওয়াজ মাহফিল শান্তি-সমৃদ্ধি, আদর্শ সমাজ গঠন ও সমাজসংস্কারের অন্যতম মাধ্যম। সমাজের সব অনাচার, অন্যায় ও ভুল থেকে ফিরিয়ে মানুষকে সৎ পথে ও কল্যাণের পথে চলতে উদ্বুদ্ধ করে ওয়াজ মাহফিল। এ সংস্কৃতি ধ্বংস করতে যাঁরা কাজ করছেন, তাঁরা আর যাই হোক দেশপ্রেমিক হতে পারেন না। সেই সাথে আমরা বলতে চাই মৌলবাদী তৎপরতা, সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস, অনিয়ম, দুর্নীতি ও মানি লন্ডারিংয়ের সাথে এদেশের আলেম-ওলামাদের কখনো কোনো সম্পর্ক ছিল না এবং এখনো নেই। দেশের আলেম সমাজ সর্বদাই দেশ ও জাতির পক্ষে। তাঁরা ঈমান, ইসলাম, ধর্মীয় মূল্যবোধ এবং ইসলামী সংস্কৃতির পক্ষে সোচ্চার ভূমিকা পালন করেছেন। আমরা বুঝতে পারছি ইসলাম ও ওলামা-মাশায়েখদের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে একশ্রেণীর কথিত বুদ্ধিজীবী মহল শ্বেতপত্র প্রকাশ করেছে। সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে এসব ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে দেশের তৌহিদী জনগণকে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
তিনি বলেন, গণকমিশনের অভিযোগের আইনগত কোনো ভিত্তি নেই বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আমরা তাকে ধন্যবাদ জানাই। যে কমিশনের আইনগত ভিত্তি নেই তাদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবি জানাই।
তিনি আরও বলেন, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে বাংলাদেশের নিম্নবিত্ত, নিম্ন মধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্ত মানুষ চরম সংকটে পড়েছে। এমনিতেই জনজীবন দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে একটি খারাপ পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে। বাংলাদেশ যেমন দেউলিয়া হতে পারে আবার দেশের মানুষও দুর্ভিক্ষ অবস্থায় পড়তে পারে। তিনি সরকারকে এ বিষয়ে দৃষ্টি দেওয়ার জন্য আহ্বান জানান।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ এর জয়েন্ট সেক্রেটারি ডাঃ মুহাম্মাদ শহিদুল ইসলাম, ইসলামী যুব আন্দোলন ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুফতী শওকত ওসমান, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মুহাম্মাদ নাজিমুদ্দিন, দফতর সম্পাদক মুহাম্মাদ ওয়ালিউল্লাহ তালুকদার, অর্থ সম্পাদক ক্বারী মুহাম্মাদ নাছির উদ্দীন, প্রচার সম্পাদক মুহাম্মাদ তসলিম উদ্দিন রুবেল, যুব কল্যাণ ও কর্মসংস্থান সম্পাদক মাওলানা মুহাম্মাদ গোলামুর রহমান আজম, শিক্ষা ও সংস্কৃতি সম্পাদক মুহাম্মাদ আবু বকর সিদ্দিক, মহিলা ও পরিবার সম্পাদক মুহাম্মাদ আব্দুল ওয়াহাব, সংখ্যালঘু সম্পাদক মুহাম্মাদ আবুল কাশেম, উপ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহ আল মামুন, মাওলানা মুহাম্মাদ আনোয়ার হোসাইন, মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান হিমেল, মাওলানা মুহাম্মাদ শফিকুল ইসলাম, বিভিন্ন থানা ও ওয়ার্ডে দায়িত্বশীলবৃন্দ।