• আজ ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সিরাজদিখানে পল্লী বিদ্যুতের মনগড়া বিদ্যুৎ বিলে দিশেহারা গ্রাহক

| নিউজ রুম এডিটর ৭:৫৫ অপরাহ্ণ | মে ২৪, ২০২২ সারাদেশ

মোহাম্মদ রোমান হাওলাদার : মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের মনগড়া তৈরি বিলে দিশেহারা হয়ে হয়রানির শিকার হচ্ছেন সহস্রাধিক গ্রাহক। মিটার রিডারদের এমন খামখেয়ালিপনায় গ্রাহকদের হয়রানির শিকার হওয়ার পাশাপাশি গুনতে হয় অতিরিক্ত মাশুল। চলতি মাসের বিদ্যুৎ বিলে মনগড়া ইউনিট বসানোর একাধিক অভিযোগ উঠেছে মুন্সিগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সিরাজদিখান জোনাল অফিসের মিটার রিডারদের বিরুদ্ধে। উপজেলার রশুনিয়া ইউনিয়নের চোরমর্দ্দন গ্রামের পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহক মোঃ হালিম বলেন, একটি ফ্যান ও একটি এনার্জি বাল্ব ব্যবহার করে সচরাচর প্রত্যেক মাসে তার মিটারে ৪০-৫৫ ইউনিটের বিল আসে।

চলতি মাসে বিদ্যুৎ বিলে ১০০ ইউনিটের বেশী ইউনিট ও ব্যবহারের সাথে ৬৩৬ ইউনিট ব্যবধান থাকায় তিনি পল্লী বিদ্যুতের সিরাজদিখান জোনাল অফিসের গিয়ে মৌখিক ভাবে বিল বেশী এবং ইউনিটের গড়মিলের অভিযোগ করেন। মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে তার বিলটি সংশোধন করে দেওয়া হয়। কিন্তু বিল সংশোধনের পরও ব্যবহারের তুলনায় ৫৮৬ ইউটের গড়মিল রয়েই যায়। সরেজমিনে গত ২২ মে পর্যন্ত মোঃ হালিমের মিটারে ২১১৩৯ ইউনিট দেখা গেলেও পল্লী বিদ্যুতে বিলে ২১৭২৫ ইউনিট উল্লেখ থাকতে দেখা যায়। অর্থাৎ সে হিসেবে প্রতি মাসে গড়ে এ পর্যন্ত মোঃ হালিমের কাছ থেকে ৫৮৬ ইউনিট অগ্রিম আদায় করেছে পল্লী বিদ্যুৎ অফিস।

যার স্পষ্ট কোন ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি। এছাড়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকার সহস্রাধীক গ্রাহক পল্লী বিদ্যুতের মিটার রিডারদের মনগড়া ইউনিটের কারণে হয়রানীর শিকার হয়েছেন মর্মে অভিযোগ তুলে সাংবাদিকদের অবহিত করেছেন। এদের মধ্যে সিংহভাগ গ্রাহকের মিটারের ইউনিটের জটিলতা সমাধান হয়নি বলেও জানিয়েছেন তারা। পল্লী বিদ্যুৎ সিরাজদিখান জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) খোন্দকার মোঃ মোশারফ বলেন, হয়তো রিডারদের ভুল হতে পারে। যারা অভিযোগ করেছে তাদেরকে বলুন আমার কাছে আসতে। এ বিষয়ে তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।