• আজ ২৯শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
 প্রধান ফটকে তালা দিয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে কমপ্লিট শাটডাউন ঘোষণা | ভারতীয় হাইকমিশনারকে তলব | ভারত বেড়া নির্মাণ বন্ধে বাধ্য হয়েছে বিজিবির শক্ত অবস্থানে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা | গুচ্ছ থেকে বের হয়ে স্বতন্ত্র পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষায় একাত্মতা কুবি শিক্ষকদের | গণহত্যার দায়ে কনস্টেবল সুজনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ | সাকিব ও লিটনকে বাদ দেয়ার যে ব্যাখ্যা দিল বিসিবি | ‘জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচন একসাথে করা বাস্তবসম্মত নয়’ | সীমান্তে ফের উত্তেজনা, বিএসএফের নতুন সিদ্ধান্ত | ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর সাথে নৈশভোজ আ. লীগের পলাতক নেতার  | ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের নাম ফেরত চেয়ে বাকৃবিতে বিক্ষোভ |

অবশেষে বহু অপকর্মের হোতা প্রশাসনের বিভিন্ন শাখার কতিত সোর্স কাওছার আটক : মিষ্টি বিতরণ

| নিউজ রুম এডিটর ১১:১৭ পূর্বাহ্ণ | জুন ১, ২০২২ সারাদেশ, সিলেট

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি ঃ অবশেষে বহু অপকর্মের হোতা ডিবির কতিথ সোর্স ও জান্নাতুল ইসলাম কাওছার (৩৫) কে আটক করেছে হবিগঞ্জ সদর থানা পুলিশ।
মঙ্গলবার রাতে সদর থানার এসআই মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শহরের সিএনজি স্টেশন রোড এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করেন।

সে মোহনপুরে নানার বাড়িতে থেকে এসব কু’কর্ম পরিচালনা করত। তার পিতা আসল বাড়ি কোথায় সে নিজেই জানে না। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তার পিতার নাম আবু তৈয়বের । সে কখনো পুলিশের অফিসার, কখনো র‌্যাবের অফিসার, কখনো সিআইডির বিশেষ অফিসার, কখনো গোয়েন্দা পুলিশের বিশেষ লোক
পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন অপরাধীদের কাছ থেকে টাকা পয়সা হাতিয়ে নিতো।

স্থানীয় এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়,
কাওছারের নেতৃত্বে নারীদের দিয়ে দেহ ব্যবসা ও ইয়াবা,গাঁজাসহ সকল মাদক ব্যবসার এক সম্রাজ গড়ে উঠে। সে ফ্ল্যাট বাসা নিয়ে এসব ব্যবসা চালিয়ে যেতো।
পুলিশের/ডিবি/সিআইডির সোর্স হওয়ার কারণে কেউ তার বিরুদ্ধে মুখ খোলতে সাহস পেতো না। যারা প্রতিবাদ করতো তাদেরকে মামলার ভয় দেখিয়ে ম্যানেজ করে নিত।

এ ছাড়াও খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এর আগেও সে তার ১ম স্ত্রীর দায়ে করা নারী-শিশু নির্যাতন দমন আইনে ২০১৫ সালের ১১ নভেম্বর সন্ধ্যায় সদর থানার এসআই কৃষ্ণ মোহন দেবনাথ ও এএসআই সুরুজ আলী তাকে ও তার মাকে আটক করে কারাগারে প্রেরণ করে। সে সময় হবিগঞ্জের সিআইডি ইন্সপেক্টর আব্দুর রাজ্জাকের সাথে সে কাজ করতো। তখন থেকে মানুষ তাকে সিআইডি হিসেবে জানতো।

সে দীর্ঘদিন ধরে নিজেকে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) কর্মকর্তা পরিচয়ে চাকুরী ও গ্রেফতারের ভয়সহ বিভিন্ন অপরাধমুলক কর্মকা- চালিয়ে আসছিল। টাকা না দিলে সিআইডিকে ভুল তথ্য দিয়ে শহরের নিরীহ যুবকদের গ্রেফতার করিয়ে টাকা পয়সা হাতিয়ে নিত। তার খপ্পরে পড়ে নির্যাতিত হওয়া ব্যক্তিদের একজন শহরের অনন্তপুর এলাকার শাহজাহান মিয়া নামের জনৈক ব্যক্তি। চাকুরীর প্রলোভন দিয়ে তার কাছ থেকে সে হাতিয়ে নেয় লাখ টাকা। পরে চাকুরী দিতে না পারায় ওই ব্যক্তি টাকা ফেরত দাবি করলে ৪৩ হাজার টাকা ফেরত দিলেও অবশিষ্ঠ টাকা এ ফেরত দেয়নি কাউছার।

এ ব্যাপারে, হবিগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মতুর্জা গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। পরবর্তীতে বিস্তারিত জানানো হবে। এ সময় তিনি আরো বলেন, কিছু অসাধু সোর্স, দালাল ও মাদক ব্যবসায়ীদের তালিকা তৈরি করছি সবার বিরুদ্ধেই দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।