হবিগঞ্জ প্রতিনিধি ঃ হবিগঞ্জে একাধিক অভিযান চালায় র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র্যাব-৯ । মাদক বিরোধী পৃথক পৃথক বিশেষ অভিযান চালিয়ে করে ৬৬ কেজি গাঁজাসহ ৭ ব্যবসায়ী ও পাচারে ব্যবহৃত ১ টি ট্রাক- প্রাইভেট করা ও সিএনজিসহ গ্রেফতার করা হয়েছে।
র্যাব-৯ এর পক্ষ থেকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে পৃথক পৃথক অভিযান চালিয়ে মোট ৬৬ কেজি গাঁজা ও
মাদক পাচারে পরিবহনে ব্যবহৃত ১ টি ট্রাক- সিএনজি এবং প্রাইভেট কার সিএনজিসহ র্যাব-৯ এর মোট ৭ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৯, শায়েস্তাগঞ্জ ক্যাম্পের ১ টি বিশেষ টিম হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ থানাধীন অভিযান পরিচালনা ১১ নং ব্রাহ্মণডোরা ইউনিয়নের অলিপুর বেস্টবাই আরএফএল শোরুমের সামনে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে চেক পোস্ট বসিয়ে সিলেট থেকে ঢাকাগামী ১টি ট্রাক ও ১টি প্রাইভেট কার তল্লাশী করে বিশেষ কৌশলে লুকিয়ে রাখা ৪৬ কেজি গাঁজাসহ ২ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে।
অপরদিকে, র্যাব-৯, সদর ক্যাম্প, সিলেটের ১ টি বিশেষ টিম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মাদক বিরোধী বিশেষ আভিযানে হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ থানাধীন মিনাজপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ২০ কেজি গাঁজা পাচারকালে পাচারে ব্যবহৃত ১টি সিএনজিসহ ৫ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে।
আটককৃত মাদক ব্যবসায়ী হলঃ-
১ :- হবিগঞ্জের নোয়াপাড়া জগদীশপুর চা বাগানের
পলাশ দাসের পুত্র জগন্নাথ দাস (২১), ২ :- হবিগঞ্জের তেলিয়াপাড়া চা বাগানের মৃত সাধন দাসের পুত্র সাগর দাস (১৯), ৩ :- হবিগঞ্জের কালিকাপুর গ্রামের আব্দুল ছোবাহানের পুত্র মোঃ আবক রহিম (২৩), ৪:- গোয়াইনঘাটের মৃত মানিক দাসের পুত্র সজল দাস (৩৫), ৫:- সিলেটের উত্তর বালুচরের বাদল দাসের পুত্র বিপন দাস (২০), ৬:- সিলেটের দলদলী চা বাগানের দীলিপ দাসের পুত্র দীপক দাস (২৫), এবং ৭:- ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা থানার পদমদী শেখপাড়া গ্রামের আব্দুল মালেক পুত্র মোঃ ইমরান (২৭)।
আটককৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অবৈধভাবে মাদক চোরাচালান ব্যবসার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে।
মাদক ব্যবসায়ীদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী হবিগঞ্জের বিভিন্ন সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে ভারত থেকে এনে হবিগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে দীর্ঘদিন ধরেই মাদক চোরাচালান করে আসছিল।
আর এসব মাদক ব্যবসায়ীদের বিশাল সিন্ডিকেট আছে বলে জানায়।
এ ব্যাপারে, র্যাব-৯ এর পক্ষ থেকে উল্লিখিত মাদক পাচারকারী গ্রেফতার এবং বিপুল মাদক উদ্ধার করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করা হয়েছে এবং এ সময় আরো জানানো হয়, সরকার ঘোষিত মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স বাস্তবায়নে র্যাব-৯ কয়েকটি ভাগে বিভক্ত করে বিশেষ অভিযানিক টিম তৈরি করা হয়েছে মাঠে নজরদারিতে অনেক বাড়ানো। বিশেষ টিম যারা সব-সময় মাঠে কাজ করাছে একই সাথে গোয়েন্দা তৎপরতা এবং বিশেষ অভিযানও আরো কঠোর ভাবে পরিচালনা চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে র্যাব-৯।
পরে গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা দায়ের পূর্বক আসামীদ্বয় ও জব্দকৃত আলামত সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।