• আজ ১৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

করোনায় আক্রান্ত অ্যান্থনি ফাউসি

| নিউজ রুম এডিটর ৭:১০ পূর্বাহ্ণ | জুন ১৬, ২০২২ আন্তর্জাতিক, লিড নিউজ

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রধান চিকিৎসা উপদেষ্টা ডা. অ্যান্থনি ফাউসি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। বুধবার (১৫ জুন) যুক্তরাষ্ট্রের অ্যালার্জি ও সংক্রামক রোগ বিষয়ক জাতীয় ইনস্টিটিউট (এনআইএআইডি) এমন তথ্য দিয়েছে।

তবে দেশটির এই শীর্ষ চিকিৎসা বিজ্ঞানীর করোনা উপসর্গ মৃদু বলে জানা গেছে। এক বিবৃতিতে ইনস্টিটিউটটি বলছে, তিনি দুবার বুস্টার ডোজ নিয়েছেন। প্যাক্সলোভিড ওষুধ দিয়ে তার চিকিৎসা চলছে। র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টে তার করোনা পজিটিভ এসেছে।

এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মহামারিতে সংক্রমিত হওয়ায় বাসা থেকে অফিস করবেন এনআইএআইডিরপ্রধান। করোনা পরীক্ষায় নেগেটিভ আসার পরেই তিনি জাতীয় স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটে ফিরবেন।

কোভিড-১৯ মোকাবিলায় মার্কিন কেন্দ্রীয় সরকারের পদক্ষেপ ও পরিকল্পনা নিয়ে কথা বলতে বৃহস্পতিবার সিনেটের স্বাস্থ্য, শিক্ষা, শ্রম ও পেনসন কমিটির শুনানিতে তার অংশ নেওয়ার কথা ছিল। করোনার কারণে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তিনি এতে অংশ নেবেন।

সাম্প্রতিক সময়ে বাইডেন কিংবা হোয়াইট হাউসের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শে আসেননি তিনি। মহামারির বড় বড় ঢেউয়ের সময়ে তিনি লোকজনকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে আসছিলেন। ব্যক্তিগত ঝুঁকি থাকায় গেল এপ্রিলে হোয়াইট হাউসের করেসপন্ডেন্টস ডিনারেও তাকে অংশ নিতে দেখা যায়নি।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে তিনি বলেন, আমাদের সবাইকে ব্যক্তিগতভাবে ঝুঁকি মূল্যায়ন করা উচিত। আমরা যাতে সহজে আক্রান্ত না হই, সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। সাধারণত, ঝুঁকি কম হলেও আমি নিজের একটি ব্যক্তিগত মূল্যায়ন দাঁড় করিয়েছি। আমার বয়স ৮১ বছর। যদি আমি আক্রান্ত হই, তবে তাতে অনেক ঝুঁকি আছে।

মহামারি নিয়ন্ত্রণে বিরতিহীন কাজ করে গেছেন অ্যান্থনি ফাউসি। গেল মে মাসে এই বিজ্ঞানী বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে করোনা হানা দেওয়ার পর থেকে সাপ্তাহিক ছুটি কাটাতে পারেননি তিনি।

১৯৮৪ সাল থেকে এনআইএআইডির পরিচালকের দায়িত্ব পালন করছেন ফাউসি। যুক্তরাষ্ট্রের সাতজন প্রেসিডেন্টের স্বাস্থ্যবিষয়ক উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করেন এই চিকিৎসক। এ ছাড়া ১৯৮১ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রে হওয়া প্রতিটি মহামারি মোকাবিলায় নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। এইডসের বিরুদ্ধে প্রাথমিক লড়াইয়ে নেতৃত্বের জন্য বিশ্বজুড়ে প্রশংসিত হয়েছেন।

চীনে প্রাদুর্ভাবের পর বিশ্বজুড়ে যখন করোনা শনাক্ত হতে থাকে, তখন মানুষ উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। এসব মানুষের কাছে তখন করোনা নিয়ে বিশ্বাসযোগ্য তথ্যের উৎসের ক্ষেত্রে আস্থা রাখার মতো একজন হয়ে ওঠেন চিকিৎসা বিজ্ঞানী অ্যান্থনি ফাউসি।