করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা নিয়ে প্রতারণার মামলায় জেকেজি হেলথ কেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা চৌধুরী ও তার স্বামী আরিফুল হক চৌধুরীসহ আট আসামিকে পৃথক তিন ধারায় ১১ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) দুপুরে ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেনের আদালত এ রায় দেন।
রায়ের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে আদালত প্রাঙ্গণে ডা. সাবরিনা চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, আমার কোনো প্রতিক্রিয়া নেই। একটা কথাই বলবো। আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সঙ্গেই আছেন। একদিন মানুষ জানবে সাবরিনার অপরাধ ছিলো না। আমার আর কিছু বলার নেই।
এসময় এক আইনজীবী বলেন, বের হয়ে যাবেন ইনশাআল্লাহ। তখন সাবরিনা বলেন, আমি তো সেদিনই মরে গেছি। যেদিন আমাকে এখানে ঢোকানো হয়েছে। আমি বের হবো কি না সেটা বড় কথা না। বড় কথা হলো দেশবাসী জানলো আমি অপরাধী।
তিনি বলেন, একদিন প্রমাণ হবে সাবরিনা নির্দোষ। আমি নির্দোষ কিন্তু দেশবাসী জানলো আমি অপরাধী। শুধু বলব, আল্লাহ একদিন এর বিচার করবেন।
এর আগে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে সাবরিনাসহ অন্যান্য আসামিদের কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। তাদের ঢাকা সিএমএম আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়। দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে আসামিদের এজলাসে তোলা হয়। গোলাপী রঙের শাড়ি পরা সাবরিনাকে কয়েকজন নারী পুলিশ এজলাসে নিয়ে যান। তাকে আসামির কাঠগড়ায় রাখা হয়। সেখানে ঢুকেই বসে পড়েন সাবরিনা। রায় পড়া শুরু হলে তিনি উঠে দাঁড়ান। রায় ঘোষণার সময় তাকে স্বাভাবিকই দেখা যায়। তবে রায় পড়া শেষে তাকে কিছুটা বিমর্ষ দেখাচ্ছিলো। এসময় তিনি আইনজীবী এবং তার স্বামীর সঙ্গে কথা বলেন। পরে তাকে আবার কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।