• আজ ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কুলিয়ারচরে জমি সংক্রান্ত বিরোধে মারামারি: ৩ নারীসহ দু’পক্ষে আহত ৭

| নিউজ রুম এডিটর ৮:১৩ অপরাহ্ণ | অক্টোবর ২১, ২০২২ সারাদেশ

ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি, মোঃ মাইন উদ্দিন : কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে দুই চাচাতো ভাইয়ের পরিবারের মধ্যে মারামারির ঘটনায় ৩ জন নারীসহ দুই পক্ষের ৭ জন আহত হয়েছেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে উপজেলার সালুয়া ইউনিয়নের উত্তর চরকামালপুর গ্রামে মোঃ খুরশিদ মিয়া ও মোঃ ইসলাম উদ্দিনের পরিবারের মাঝে এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় খুরশিদ মিয়ার পক্ষে ৩ নারীসহ ৫ জন ও মোঃ ইসলাম উদ্দিনের পক্ষের ৩ জন আহত হয়েছে।

খুরশিদ মিয়ার পক্ষের আহতরা হলেন খুরশিদ মিয়ার পুত্র মোঃ অলি মিয়া (২১), মৃত রমজান মিয়ার পুত্র মোঃ রুবেল মিয়া (২৫) ও তার কন্যা মোছাঃ মনি আক্তার (২৪), মোঃ কুদ্দুস মিয়ার কন্যা মোছাঃ স্মৃতি আক্তার সামান্তা (১৯) ও মোছাঃ হালিমা আক্তার (৫৫)। আর মোঃ ইসলাম উদ্দিনের পক্ষের আহতরা হলেন ইসলাম উদ্দিনের পুত্র মোঃ ফজলুর রহমান (৬০) ও মাহফুজুর রহমান (১৮)। উভয় পক্ষের আহতদের কুলিয়ারচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ভাগলপুর জহিরুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজ এণ্ড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
খুরশিদ মিয়া ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, মোঃ খুরশিদ মিয়ার দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল তার চাচাতো ভাই ইসলাম উদ্দিনের সাথে। খুরশিদ মিয়ার অভিযোগ, তার বাড়ির পৈত্তিক জমি ইসলাম উদ্দিনরা তার বাপদাদার সময়ে করা দলিলের দিন-তারিখ হতে আর দুই বছর পরে করা একটি দলিলের দোহাই দিয়ে জোরপূর্বক ভোগদখল করে আসছে। ঘটনার ১/২ দিন আগে খুরশিদ মিয়া এই জমিতে ঘর বাধতে গেলে ইসলাম উদ্দিন ও তার পুত্ররা বাধা দেয়। পরে প্রতিকার চেয়ে খুরশিদ মিয়া কুলিয়ারচর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগ তদন্ত করতে বৃহস্পতিবার বিকেলে পুলিশ যায় ঘটনা স্থলে। ঘটনাস্থল হতে পুলিশ চলে যাওয়ার পরই দুই পক্ষের মধ্যে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে উভয় পরিবারের সদস্যরা মারামারিতে জড়িয়ে পড়ে। এতে খুরশিদ মিয়ার পক্ষের ৩ নারীসহ ৫ জন ও ইসলাম উদ্দিনের পক্ষের ৩ জন আহত হয়।

এ ব্যাপারে মোঃ ইসলাম উদ্দিনের ভাই মোঃ আনিছুর রহমান বলেন, এই জমির সকল কাগজপত্র আমাদের নামে। খুরশিদ ভুয়া দলিল করে এই জমি দাবি করে আসছে। ঘটনার দিন ও সময়ে তারা আমাদের গোয়াল ঘরের বেরা ভাংচুর করে আমাদের উপর হামলা চালিয়েছে। এতে ৩ জন আহত হয়ে হাসপালে ভর্তি আছে।

তবে এলাকার বেশ কয়েকজন বলছেন, ইসলাম উদ্দিনরা দাঙ্গা ও মামলাবাজ। খুরশিদ মিয়া অত্যন্ত নিরীহ প্রকৃতির মানুষ। তারা মনে করেন, খুরশিদ মিয়ার লোকজনের উপর এভাবে আক্রমণ করা তাদের ঠিক হয়নি।

এ ব্যাপারে নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় এক সালিশিয়ান বলেন, বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার সালিশে বসা হয়েছে। সালিশের ভাষ্য অনুযায়ী যেহেতু খুরশিদ মিয়ার দলিল ইসলাম উদ্দিনদের দলিলের আরো দুই বছর আগের, সেহেতু এ জমির উপর খুরশিদ মিয়ার অধিকার বেশি থাকার কথা। কিন্তু সালিশে এমন প্রশ্ন আসলেই ইসলাম উদ্দিনের পক্ষ সালিশ মানে না।

মোঃ ইসলাম উদ্দিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার এখন বয়স হয়েছে, কানে কম শুনি, কথাও বলতে পারিনা।

থানায় অভিযোগ হয়েছে কি-না জানতে অভিযোগ করবেন বলে জানান উভয় পক্ষ।