• আজ ২৮শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
 চাঁদা না দেওয়ায় ব্যবসায়ীকে পাথর মেরে হত্যা যুবদল নেতার, ভিডিও ভাইরাল | পানিহাটা সীমান্তে ১০ বাংলাদেশীকে বিএসএফের পুশইন | ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের প্রস্তুতি শেষ করার নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার | কুড়িগ্রামে তিস্তায় নিখোঁজের একদিন পর শিশুর মরদেহ উদ্ধার | বাংলাদেশের ওপর ভারতের অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্ব নির্ভরশীল: নাহিদ ইসলাম | ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দ্বিতীয় দফায় বৈঠকে ট্রাম্প-নেতানিয়াহু | চট্টগ্রামে প্রথম দুই ব্যক্তির শরীরে জিকা ভাইরাস শনাক্ত | তাজিয়া মিছিলে হাজারো মানুষ, সতর্ক অবস্থানে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী | আজ ১০ই মহররম, পবিত্র আশুরা | নতুন বাংলাদেশে মাফিয়াতন্ত্রের সরকার গড়তে দেওয়া হবে না: নাহিদ ইসলাম  |

দেশে প্রথমবার মৃত মানুষের কিডনি অন্যের দেহে প্রতিস্থাপন

| নিউজ রুম এডিটর ৭:২৫ অপরাহ্ণ | জানুয়ারি ১৯, ২০২৩ জাতীয়, বাংলাদেশ

দেশে প্রথমবার মৃত মানুষের কিডনি অন্যের দেহে সফলভাবে প্রতিস্থাপন (ক্যাডাভেরিক ট্রান্সপ্লান্ট) করা হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক‌্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) রেনাল ট্রান্সপ্লান্ট সার্জন অধ্যাপক ডা. হাবিবুর রহমান দুলালের নেতৃত্বে একজন মৃত ব্যক্তির দেহ থেকে নেওয়া দুটি কিডনি দুজনের শরীরে সফলভাবে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) বিএসএমএমইউয়ের জনসংযোগ শাখা থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিএসএমএমইউয়ের জনসংযোগ শাখা থেকে জনা গেছে, ক্লিনিক্যালি ডেথ বা ব্রেইন ডেথ রোগীদের থেকে সাধারণত কিডনি প্রতিস্থাপন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়ে থাকে। ১৯৫৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রে, এরপর যুক্তরাজ্য থেকে শুরু করে পাশের দেশ ভারত ও শ্রীলঙ্কায় ব্রেইন ডেথ রোগীদের থেকে কিডনি নিয়ে প্রতিস্থাপন করা হলেও বাংলাদেশে আগে কখনো তা করা হয়নি। নতুন এই প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশে অনেক কিডনি রোগীর জীবন বাঁচানো সম্ভব হবে বলে মনে করেন চিকিৎসকরা।

এ বিষয়ে অধ্যাপক হাবিবুর রহমান বলেন, বিএসএমএমইউয়ে ২০ বছর বযসী এক জেনেটিক ডিজিজে আক্রান্ত রোগীর সার্জারি হয়। সার্জারির পর তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে আইসিইউতে রাখা হয়। যখন বুঝতে পারি সে ব্রেন ডেথের দিকে যাচ্ছে, তখন তার মাকে কাউন্সিলিং করি। তার স্কুল শিক্ষক মা ব্রেন ডেথ মেয়ের দুটি কিডনি ও দুটি কর্নিয়া ট্রান্সপ্লান্টের অনুমতি দেন। আমরা কিডনি দুটি ট্রান্সপ্ল্যান্ট করেছি। তবে কর্নিয়া দুটি এখনও সংরক্ষিত আছে।

ক্যাডাভেরিক ট্রান্সপ্লান্ট প্রসঙ্গে বিএসএমএমইউ উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ব্রেইন ডেথ একজন রোগী থেকে আট জনের প্রাণ বাঁচানো সম্ভব। ক্যাডাভেরিক ট্রান্সপ্লান্ট অন্যান্য ট্রান্সপ্লান্ট থেকে সহজ। একজন ব্রেইন ডেথ রোগীর দুটি কিডনি দুই জনকে, একটি লিভার একজনকে, দুটি ফুসফুস দুই জনকে, হৃদযন্ত্র একজনকে, অন্ত্র একজনকে, অগ্ন্যাশয় একজনকে দান করে মোট আট জন মানুষের জীবন বাঁচানো সম্ভব।

উপাচার্য বলেন, ক্যাডাভেরিকের মতো একটি মহৎ কার্যক্রমকে সামাজিক আন্দোলনে পরিণত করতে হবে। এ কার্যক্রম সফল করতে রোগীর পরিবারের সদস্যদের যেমন সহায়তা প্রয়োজন, তেমনি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ দানের উৎসাহ দেওয়ার ক্ষেত্রে ধর্মীয় নেতাদেরও এগিয়ে আসতে হবে।

ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, আমরা ক্যাডাভেরিক ট্রান্সপ্লান্টের কাজে সবার সহযোগিতা কামনা করি। বিশেষ করে গণমাধ্যমের ভূমিকা এখানে অনেক বেশি। গণমাধ্যম যদি ক্যাডাভেরিক ট্রান্সপ্লান্টের গুরুত্ব প্রচার করে তাহলে আমাদের কাজ সহজ হবে। জনগণও এতে উপকৃত হবে।

তিনি আরও বলেন, ক্যাডাভেরিক ট্রান্সপ্লান্ট আন্দোলন শুরু হয়ে গেছে। আমরা প্রতি মাসে এক এক ইনস্টিটিউটে আলাদা করে ক্যাডাভেরিক ট্রান্সপ্লান্ট নিয়ে আলোচনা সভা করার আহ্বান করছি। এর ফলে আমরা কেন ক্যাডাভেরিক ট্রান্সপ্লান্ট করবো, কাদের কাছে করবো, ক্যাডাভেরিক ট্রান্সপ্লান্টের গুরুত্ব সবাইকে বোঝাতে পারবো।