• আজ ১০ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সিরাজদিখানে সাপের উপদ্রব বেড়েছে!

| নিউজ রুম এডিটর ৩:১৪ অপরাহ্ণ | জুন ১০, ২০২৩ সারাদেশ

মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে বর্ষা মৌসূম শুরুর সাথে সাথে বসত বাড়ী ও চরাঞ্চলে বিষধর সাপের উপদ্রব বেড়েছে। ফলে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার মানুষের মধ্যে সাপে কাটার আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। গোখড়া, কেউটে ও ধোরা সাপসহ অন্যান্য সাপের উপদ্রব বেড়ে যাওয়ার কারণে সাম্প্রতিক সময়ে সাপের দংশনে কারো হতাহতের খবর পাওয়া না গেলেও একাধিক ব্যক্তি বিষধর সাপের দংশনের শিকার হয়ে চিকিৎসা নেওয়ার খবর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে পাওয়া যাচ্ছে। এদিকে সাপে কামড়ানো রোগীকে দ্রুত সময়ের মধ্যে অ্যান্টিভেনম ইনজেকশন দিলে একটি নির্দিষ্ট বিষের মধ্যে থাকা টক্সিনগুলিকে নিষ্ক্রিয় করতে পারে এবং অ্যান্টিভেনম শতভাগ কার্যকরি হিসেবে মানুষের দেহে কাজ করলেও সিরাজদিখান উপজেলার মানুষের কাছে সাপে কামড়ানো রোগীকে কবিরাজি চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ্য করে তোলাকেই বেশী গুরুর পাচ্ছে। সাপে কামড়ানো রোগীর ক্ষেত্রে কবিরাজি চিকিৎসা কার্যকর হলেও রোগীকে কবিরাজের কাছে পৌঁছানোর সময় ও দীর্ঘক্ষনের চিকিৎসা পদ্ধতিতে অনেক রোগীকেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পরতে হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে সাপে কাটা রোগীকে অ্যান্টিভেনম ইনজেকশন প্রয়োগের মাধ্যমে সুস্থ্য করে তোলার প্রবণতা বাড়াতে পারলে সাপের কামড়ে মৃত্যু অনেকটাই কমিয়ে আনা সম্ভব। অন্যদিকে সাপ কামড়ানো রোগীর জন্য অ্যান্টিভেনম আছে কিনা উপজেলার সিংহভাগ ফার্মেসিতে এমন তথ্য জানতে চাওয়া হলে দশ ভাগের এক ভাগ ফার্সেসির মালিক অ্যান্টিভেনম ইনজেকশন না থাকার কথা জানিয়েছেন। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার উপজেলার ইছাপুরা ইউনিয়নের পশ্চিম রাজদিয়া (মোকামখোলা) গ্রামে সিয়াম (১৬) নামে সপ্তম শ্রেণী পড়ুয়া স্কুল ছাত্র বাড়ীর পাশে আম পারতে গিয়ে সাপের দংশনের শিকার হন। পরে তাকে স্থানীয় এক কবিরাজের কাছে নিয়ে গিয়ে কবিরাজি পদ্ধতিতে শরীর থেকে বিষ বের করা হয়। বর্তমানে ওই যুবক সুস্থ্য আছেন মর্মে পরিবার সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে। এর আগে গত মাসের প্রথম দিকে একই যুবক বিষাক্ত সাপের দংশনের শিকার হয়ে কবিরাজি চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ্যতা লাভ করেন। উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য বলছে, সিরাজদিখান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সাপের কামানো রোগীর জন্য অ্যান্টিভেনম আছে। তবে পর্যাপ্ত পরিমাণে আছে কিনা তা নিশ্চিত ভাবে খোদ স্বাস্থ্য কর্মকর্তাও বলতে পারেন নি।

সিরাজদিখান উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার আনজুমান আরা মুঠোফোনে বলেন, আমাদের এখানে সাপে কাটা রোগীদের জন্য অ্যান্টিভেনম আছে। তবে কি পরিমাণে আছে সেটা স্টোর কিপারের সাথে আলাপ না করে বলা যাচ্ছে না। এছাড়া গত এক সপ্তাহে সাপের কামড়ে কারো মৃত্যু হয়নি মর্মে জানান এই কর্মকর্তা।