

তানোর(রাজশাহী)প্রতিনিধিঃ রাজশাহীর তানোরে আলোচিত ভূমিগ্রাসী চক্রের বিরুদ্ধে সনাতন ধর্মাবলম্বী এক অসহায় প্রতিবন্ধীর বসতঘর হামলার অভিযোগ উঠেছে। গত ২১ জুন বুধবার তানোর পৌর সদরের শিবতলা হিন্দুপাড়া মহল্লায় এই ঘটনা ঘটেছে। এঘটনায় সনাতন ধর্মাবলম্বী অধ্যুষিত শিবতলা হিন্দুপাড়া মহল্লার বাসিন্দাদের মাঝে নিরাপত্তাহীনতা ও চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
জানা গেছে, তানোর পৌর সদরের ৪ নম্বর ওয়ার্ড শিবতলা হিন্দুপাড়া মহল্লার প্রয়াত স্বপনের প্রতিবন্ধী স্ত্রী এবং দুই পুত্র অচিন্ত কুমার ও বাদলকে মারপিট এবং বসতঘর ভাঙচুর করে জোরপুর্বক দখলে নিতে চাই পৌরসভার ধানতৈর গ্রামের জালাল উদ্দীন মোলার পুত্র ভূমিগ্রাসী মাহফুজ মোল্লা। এদিকে প্রকাশ্যে দিবালোকে ফিল্মি স্টাইলে প্রতিবন্ধী পরিবারের উপর হামলার ঘটনায় এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে চরম আতঙ্ক।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এদিন মাহাফুজ মোল্লা বহিরাগত নারী-পুরুষ নিয়ে দেশীয় অস্ত্র সজ্জিত হয়ে প্রতিবন্ধীর বাড়িতে হামলা করে। কিন্ত্ত মহল্লাবাসীর প্রতিরোধের মুখে তারা প্রতিবন্ধীর বসতঘর দখলে নিতে ব্যর্থ হয়। তবে যাবার আগে তাদের হুমকি দিযে বলেন ভালভাবে বাড়ি না ছাড়লে তাদের বসতঘর জ্বালিয়ে এলাকা ছাড়া করা হবে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের অন্তিম মুহুর্তে সনাতন ধর্মাবলম্বী অধ্যুষিত পল্লীতে এমন হামলা অত্যন্ত নিন্দীয় এবং এটা একটা ষড়যন্ত্র, সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতেই বিএনপি মতাদর্শী ভূমিগ্রাসী মাহাফুজ এমন জঘন্য কাজ করেছে।
এবিষয়ে প্রতিবন্ধী বিধবার পুত্র অচিন্ত ও বাদল বলেন,তারা দীর্ঘ প্রায় তিনযুগ ধরে সেখানে পরিবারসহ বসবাস করছেন। তারা বলেন, এই জায়গা তানোর পৌর ভবন স্থাপনের সময় উপজেলা প্রশাসন থেকে বিনিময় করে তাদের দেয়া হয় এবং তাদের রেকর্ডিও জায়গা নিয়ে সেখানে পৌর ভবন স্থাপন করা হয়। কিন্ত্ত হঠাৎ করে ধানতৈড় গ্রামের জালাল মোল্লার পুত্র ভূমিগ্রাসী মাহফুজ মোল্লা এই জায়গা ক্রয় করেছেন বলে দাবি করেন। ঘটনার দিন কোন কথা ছাড়াই বহিরাগত নারী-পুরুষ নিয়ে দেশীয় অস্ত্র সজ্জিত হয়ে তাদের বাড়িতে হামলা করে বসতঘর ও বৈদ্যুতিক দুটি মিটার ভাংচুর করেন। এ সময় তারা বাঁধা দিতে গেলে দেশীয় অস্ত্র নারী-পুরুষ তাদের বে-ধড়ক মারপিট করেছে। তারা এবিষয়ে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন, ভারতীয় হাই কমিশনার, জেলা প্রশাসক (ডিসি), পুলিশ সুপার (এসপি), উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও তানোর থানার অফিসার ইনচার্জের (ওসি) জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এবিষয়ে জানতে চাইলে মাহফুজ মোল্লা সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,এই জায়গা তিনি ক্রয় করেছেন, এখানে কোনো আপস নাই প্রয়োজনে বাড়িঘর উচ্ছেদ করে জায়গা বুঝে নেয়া হবে। এবিষয়ে তানোর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি কামরুজ্জামান মিয়া জানান, অভিযোগ পাওয়া গেছে, তদন্ত সাপেক্ষ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।