• আজ ১০ই শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
 দিল্লিতে সংবাদ সম্মেলন ঘোষণা দিয়ে পিছু হটল আ. লীগ | ‘স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রতীক থাকছে না’ | রাশিয়ায় বিমান বিধ্বস্ত, বেঁচে নেই কেউ | বিমান বিধ্বস্ত ঢাকায় এসেছেন ভারতের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দল | ড. ইউনূসের স্বজনপ্রীতির সবচেয়ে বড় উদাহরণ স্বাস্থ্য উপদেষ্টা : হাসনাত আবদুল্লাহ | বার্ন ইনস্টিটিউটে ৮ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক, গুরুতর ১৩ | যে ১০ দলের সঙ্গে বৈঠক করছেন প্রধান উপদেষ্টা | নিজের প্রাণ বিলিয়ে শিক্ষার্থীদের বাঁচানো সেই মাহরিন প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাতিজি | মাইলস্টোন স্কুলের ঘটনায় ৩১ জন নিহত; ইবিতে গায়েবানা জানাজা | বিমান বিধ্বস্তে নিহতদের জন্য উত্তরার ১২-এ কবরের জায়গা নির্ধারণ |

বাংলাদেশিদের যাচাইয়ের আহ্বান অ্যামনেস্টির

| নিউজ রুম এডিটর ১২:২৪ অপরাহ্ণ | জুন ২৪, ২০২৩ জাতীয়

বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে নিয়োগের ক্ষেত্রে মানবাধিকার সংক্রান্ত বিষয় যাচাই-বাছাইয়ের আহ্বান জানিয়েছে মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। শুক্রবার এক বিবৃতিতে জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল জ্যঁ পিয়েরে ল্যাক্রোইক্সের প্রতি এই আহ্বান জানানো হয়। ল্যাক্রোইক্সের আসন্ন ঢাকা সফরে বিষয়টি বিবেচনায় নিতে বলা হয়েছে। সংস্থাটি বলেছে, শান্তিরক্ষা বাহিনীর মানবাধিকার লঙ্ঘনের ট্র্যাক রেকর্ড থাকা উচিত নয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশ তিন দশক ধরে জাতিসংঘের শান্তি রক্ষা মিশনে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের পাঠাচ্ছে। বিশ্বের যেসব দেশ সবচেয়ে বেশি শান্তিরক্ষী পাঠায়, সেগুলোর একটি বাংলাদেশ। বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনীগুলোর বিশেষ করে অতীতে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা উদ্বেগের।

বিবৃতিতে বলা হয়, র্যাব কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যা, নির্যাতনসহ নানা খারাপ আচরণের অভিযোগ রয়েছে। এ ক্ষেত্রে বিরোধী রাজনীতিক, মানবাধিকারকর্মী, ভিন্নমতাবলম্বী ও প্রতিবাদকারীদের লক্ষ্যবস্তু করা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র যখন র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিল, তখন তারা গুমের শিকার ব্যক্তিদের পরিবার, মানবাধিকারকর্মী ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের হুমকি, ভয় দেখানো ও হয়রানি শুরু করে বলে খবর রয়েছে। র্যাব কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ বিবেচনায় নিয়ে জাতিসংঘে র্যাব সদস্যদের শান্তি রক্ষা মিশনে নেওয়া স্থগিত রাখা উচিত। যতক্ষণ পর্যন্ত মিশনে অংশগ্রহণকারীদের মানবাধিকার লঙ্ঘনে সম্পৃক্ততা না থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করা যায়, সে পর্যন্ত এটা স্থগিত রাখার পক্ষে অ্যামনেস্টি।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, শান্তিরক্ষী বাহিনীতে সদস্যদের অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্রে মানবাধিকার লঙ্ঘনসংক্রান্ত বিষয় যাচাই-বাছাই করে জাতিসংঘ। এই যাচাই-বাছাই শুধু উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের মধ্যে সীমিত রাখা উচিত হবে না।

সংস্থাটির ভাষ্যমতে, বাংলাদেশে নিরাপত্তা বাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে যুক্তদের দায়মুক্তি দেওয়ার রেকর্ড রয়েছে। তাদের পদোন্নতিও দেওয়া হয়। বাংলাদেশকে এসব মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা আমলে নিয়ে অপরাধীদের জবাবদিহির আওতায় আনা উচিত।

জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল জ্যঁ পিয়েরে ল্যাক্রোইক্স আগামী ২৫-২৬ জুন বাংলাদেশ সফর করবেন। তার এই সফর সামনে রেখে এর আগে হিউম্যান রাইটস ওয়াচের (এইচআরডব্লিউ) পক্ষ থেকেও একই ধরনের বিবৃতি দেওয়া হয়।